মেয়েদের জীবনের সবথেকে বড় চাওয়া এবং বড় পাওয়া হচ্ছে মা হওয়া। তবে সকলের এত সুখ সহ্য হয় না। তবে যারা ভাগ্যবান তারা অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার ওপর সব সময় শুকরিয়া আদায় করবেন এই বিষয়গুলো নিয়ে। আজকে আমরা সকল মেয়েদের উদ্দেশ্যে কিছু বিষয় নিয়ে এসেছি যেটা অনেকেই সহজে বুঝতে চায় না তাদেরকে আরো সহজ ভাবে বোঝাতে চাই।প্রেগনেন্সি জার্নির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যেগুলো গর্ভবতী মাকে জানতে হবে এগুলো জানলে সে অনেক কিছুতেই এক ধাপ এগিয়ে থাকবে। সাধারণত প্রথম প্রেসেন্ট হওয়ার পরে কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে সেটা জানা যায় এরকম প্রশ্ন অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কতদিন পর সেটা কিসের কতদিন পরে এরকম প্রশ্ন আছে করেছেন অর্থাৎ অনেকে এটাও জানেন না মাসিকের কতদিন পরে টেস্ট করতে হবে না মিলনের কতদিন পরে টেস্ট করতে হবে এই বিষয়গুলো।
মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয়
মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয় এ প্রশ্ন একেবারেই ভুল প্রশ্ন। প্রেগনেন্সি টেস্ট এর ক্ষেত্রে মিলনের সময়টা গুরুত্বপূর্ণ না অর্থাৎ এখানে মিলনের সময়ের উপর নির্ভর করে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয় না। এখানে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয় যিনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে চাচ্ছেন তার মাসিকের তারিখ এর ওপর। তা এখানে যারা এই চিন্তা-ভাবনা করছেন তাদেরকে বলব আপনি সবার প্রথমে সঠিক চিন্তা করতে শিখুন তারপরে আপনি সঠিক উত্তর পাবেন।
প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়
প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পরে মাসিক বন্ধ হয় এটা সঠিক বলা যাবে না তবে মাসিকের ডেট যেদিন মিস হবে সেদিন ধরতে হবে প্রেগন্যান্সির সময় ৩০ দিন। সাধারণত এই হিসেব ধরেই গোটা পৃথিবীতে প্রেগনেন্সির বয়স ধরা হয় তার কারণ হচ্ছে এখানে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না কোন মিলনে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মিলনের কোন দিন রাতে স্ত্রী গর্ভবতী হয়েছেন সেটা সঠিকভাবে বলা যায় না। তাই বৈজ্ঞানিকভাবে এমন একটি পদ্ধতি বের করেছেন। এই পদ্ধতিতে মাসিক বন্ধ হওয়ার দিনটাকেই ধরা হয় ৩০ তম দিন গর্ভে থাকা সন্তানের। এটা সকলের ক্ষেত্রে একই বিষয়।তাহলে এখানে আপনি যদি প্রশ্ন করেন মাসিক বন্ধ হওয়ার কতদিন আগে প্রেগন্যান্ট হওয়া যায় তাহলে বলবো এটা ভুল আপনাকে এটা জানতে হবে যে আপনি প্রেগন্যান্ট হবার পরের মাস থেকে মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে এবং সেই দিন হবে আপনার সন্তানের এক মাস।
প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর বোঝা যায়
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা আছে তবে গর্ভবতী মায়েরা সবার আগে বুঝতে পারেন তার যেদিন মাসিকের ডেট মিস হয়ে যায় সেদিন থেকে। গর্ভবতী মায়ের বোঝার ক্ষমতা তখন বেশি থাকে এবং তিনি সবার আগে হালকা হালকা বুঝতে পারেন বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখে। প্রথম প্রধান লক্ষণ হচ্ছে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং তারপরে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া অনেকের ক্ষেত্রে ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি হতে পারে।এই ধরনের জিনিসগুলো থেকে গর্ভবতী মা বুঝতে পারেন তার গর্ভে সন্তান এসেছে ছাড়াও অনেকের বমি হতে পারে বা খাবারের গন্ধ লাগতে পারে। তবে পরীক্ষা করার সবথেকে উত্তম সময় হচ্ছে ৪৫ দিন অতিক্রম হওয়ার পরে অর্থাৎ যেই দিনে মাসিক মিস হয়েছে সেটাকে ৩০ দিন ধরে ৪৫ দিন পরে আপনি যদি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান তাহলে সঠিক রেজাল্ট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি বর্তমান পৃথিবীতে কোন কিছুই স্থায়ী নয় তাই এই ক্ষেত্রে কোন কোন রোগীরে দেখা যায় যে 45 দিনে প্রেগন্যান্সি টেস্টে কোন রেজাল্ট আসে না কিন্তু গর্ভে সন্তান ঠিকই থাকে। তাই অধৈর্য হলে চলবে না এবং মন খারাপ করলে চলবে না চেষ্টা করতে হবে এবং সুরক্ষিত পথে কিভাবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায় সেগুলো দেখতে হবে।