কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয়

সাধারণত মেয়েরা যখন প্রেগন্যান্ট হয় তারা বিভিন্ন ধরনের লক্ষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারে সে প্রেগনেন্ট হয়েছে। তবে গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে উত্তম জিনিস হচ্ছে একটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গর্ভবতী হয়েছেন কিনা। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব গর্ভবতী হওয়ার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা এবং বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ সম্পর্কে।গর্ভবতী হওয়ার পরীক্ষা করার সময় নির্ভর করে সাধারণত মেয়েদের মাসিকের তারিখের ওপর। সাধারণত মেয়েদের মাসিকের একটি নির্ধারিত তারিখ থাকে এবং প্রতিমাসের সেই তারিখেই সাধারণত মাসিক শুরু হয়। কিন্তু যদি গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করে থাকেন কোন মেয়ে তাহলে যে মাসে তার মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে তখন তাকে ভেবে নিতে হবে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন।

এর জন্য মাসিক মিস হওয়ার যে তারিখ রয়েছে সেই তারিখ ৩০ দিন ধরে 45 দিন পরে প্রেগন্যান্সি টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় বাকি জিনিসগুলো। আশা করছি বিষয়টি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন তবে এ বিষয়গুলো এতটা সহজ হলেও অনেকে সহজে বুঝতে চায় না।

প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করতে হয়

প্রেগনেন্সি টেস্ট এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় গর্ভবতী মায়ের ইউরিন। এখানে প্রেগনেন্সি টেস্ট এর ক্ষেত্রে বাজারে বর্তমানে কিছু কিট পাওয়া যাচ্ছে যে কিট গুলো ব্যবহার করে আপনি বাসাতে বসে নিশ্চিত ভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন। এটার ব্যবহার সম্পর্কে খুব সহজেই সেই কিট এর প্যাকেটে দিকনির্দেশনা দেওয়া থাকবে আপনি যদি সেটাও না করতে পারেন তাহলে ফেসবুক অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে ভিডিও টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।

এটা ছিল সবথেকে সহজ পদ্ধতি এর বাইরে রয়েছে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে উপস্থিত হয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা। এক্ষেত্রে আপনাকে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে উপস্থিত হয়ে ইউরিন প্রদান করতে হবে এবং সেখান থেকে তারা টেস্ট করে রেজাল্ট দেবে। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সমস্যা থাকার কারণে এখানে পজিটিভ নাও আসতে পারে তখন এই রোগীদের ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানোর চেষ্টা করা হয় এবং আল্ট্রাণাসনোগ্রাফি দেওয়া হয়। এই সকল পদ্ধতি সমন্বয় করলে অবশ্যই নিশ্চিত ভাবে জানা যাবে মেয়েটি প্রেগন্যান্ট হয়েছে কিনা।

কিভাবে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী হয়েছেন

যে মেয়েটি গর্ভবতী হয়েছে সেই মেয়েটি যদি নিজে থেকে কিছু কিছু বিষয় খেয়াল করে তাহলে অনায়াসে বুঝতে পারবে সে গর্ভবতী হয়েছে কিনা। এজন্য সবার প্রথমে যে বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে সেটা হচ্ছে মাসিক এর তারিখ। সাধারণত ঋতুচক্রের এই তারিখ প্রতিমাসে একই থাকে যার কারণে মেয়েরা এই বিষয়গুলো মনে রাখতে পারে। এই তারিখ যদি সঠিকভাবে মনে রাখতে পারে তাহলে সবার আগে সে নিজেই বুঝতে পারবে প্রেগনেন্ট হয়েছে কিনা অর্থাৎ যেই মাসে সে প্রেগন্যান্ট হবে সেই মাসে মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে।এছাড়াও বেশ কিছু লক্ষণ আছে যে লক্ষণ গুলো আমরা নিচে আলোচনা করব আশা করছি আপনারা সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানবেন।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

গর্ভবতী মায়ের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে তার মাসিক মিস হয়ে যাওয়া। এরপরে যে লক্ষণটি সে বুঝতে পারবে সেটা হচ্ছে তার প্রস্রাব ঘনঘন হতে শুরু করবে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েরা বুঝতে পারবে তার গর্বের সন্তান আসলে তার খাওয়ার রুচি কমে যাবে অনেকের ক্ষেত্রে বমি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এ বিষয়গুলো যত দিন যাবে তত বাড়তে থাকবে এবং এইভাবে ৪৫ দিন পরে যদি একটি প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করা হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে সেই গর্ভবতী মা তার গর্ভে থাকা সন্তান সম্পর্কে অবগত হতে পারবে।আশা করছি আপনি সুস্থ আছেন এবং আপনার সন্তান সুস্থ আছে। গর্ভকালীন সময়টা অত্যন্ত জটিল একটি সময় এখানে কিছু ছোট ছোট ভুল আপনার জীবনে বড় ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে তাই সবসময় নিজেকে সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন। আর একটা বিষয় কখনোই সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যাবেন না সবসময় তিনি আপনার পাশে আছেন।