Anti ccp test টেস্ট কি

আমরা যখন অসুস্থ হই তখন সরাসরি চিকিৎসকের কাছে বিভিন্ন পরামর্শ নেওয়ার জন্য। পরামর্শ দিতে গেলে চিকিৎসকের সবার প্রথমে যে কাজটা সবথেকে ভালোভাবে করতে হয় সেটা হচ্ছে সঠিক রঙ নির্ণয়। সঠিক রোগ নির্ণয় না করে কোনভাবে কখনো কোন চিকিৎসা পরামর্শ দিতে পারবেন না এবং সঠিক নির্ণয় যদি রোগীর শরীরে থাকা উপসর্গগুলো যথেষ্ট না হয় তখন অবশ্যই তিনি তাকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে বলতে পারেন। আজকে তেমনি একটি পরীক্ষার কথা আমরা আলোচনা করব যেখানে এই পরীক্ষার বিভিন্ন খুঁটির তথ্য আপনারা পেয়ে যাবেন।

Anti ccp test টেস্ট আপনি কেন করাবেন অর্থাৎ এই টেস্ট করালে কি সমস্যা ধরা পড়তে পারে এবং এই টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কি এই সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থেকে জেনে নিন সকল তথ্য। সাধারণত বিশেষ কিছু সমস্যা থাকে কোন রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা নিশ্চিতভাবে আছে কিনা সেটা নির্ণয়ের জন্যই মূলত ডাক্তাররা এই টেস্ট করতে বলেন । রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নির্ণয়ের জন্য এন্টি সিসিপি টেস্ট করানো হয় এটাকে সিসিপি অ্যান্টিবডি টেস্টো বলা হয়ে থাকে।

এন্টি সিসিপি কোন রক্ত পরীক্ষা

আপনি ঠিকই ধরেছেন এটা এক ধরনের রক্ত পরীক্ষা এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এমন একটি মান নির্ধারণ করা হয় যার মাধ্যমে চিকিৎসকেরা কিছু রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। এখানে রোগীর রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর রক্তে থাকা অ্যান্টিবডি এর মাত্রা নির্ণয় করার জন্য এই টেস্ট করানো হয় মূলত এখানে এক ধরনের আর্থ্রাইটিস এর সক্রিয় এন টি উপাদান রক্তে আছে কিনা সেটা নির্ণয় করা হয়। সাধারণত এই ধরনের সমস্যার জন্য রোগীর শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা অনুভূত হতে পারে যেমন শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা এবং টিস্যুতে ব্যথা এবং এই ব্যথাগুলো এতটাই সাংঘাতিক যে রোগী প্রচন্ড যন্ত্রণা এবং বেদনায় ভোগে সবসময়।

এই রোগের যে লক্ষণ গুলো রয়েছে বা এন্টিসিসিপি টেস্ট করার জন্য যে উপসর্গগুলো রোগীর শরীরে প্রয়োজন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা বা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং সব থেকে বেশি দেখা যায়। শুধুমাত্র যে বয়স্ক মানুষের মধ্যে এই সমস্যা আছে এমন নাই কম বয়সের মানুষের মধ্যে বা মাঝারি বয়সের মানুষের মধ্যেও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথার প্রবণতা অনেক বেশি। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে শরীরের একজোড়া ব্যথা কমে আরেকজোড়া আক্রান্ত হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে মূলত এই টেস্ট করতে হয়।অনেকের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে রক্তশূন্যতা আসতে পারে এবং জ্বর আসতে পারে এই ধরনের সমস্যা থাকলেও এই টেস্ট করাতে হবে এবং শীতের সময় শরীরের জোড়ায় ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে এই ধরনের সমস্যা থাকলেও সাধারণত করাতে পারে।

এন্টি সিসিপি টেস্ট কিভাবে করা হয়

এন্টি সিসিপিতে সাধারণত রক্তের মাধ্যমে করাতে হয় তাই রোগীকে এখানে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। আপনি যেই ল্যাবের মাধ্যমে টেস্ট করাতে চাচ্ছেন সরাসরি সেই ল্যাবে উপস্থিত হতে হবে। তারপরে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে কিছু সিম্পল ব্লাড সেখানে দিতে হবে এবং তারপরে চলে আসতে হবে। ল্যাব কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত কর্মীর মাধ্যমে তাদের টেস্ট করাবেন এবং রিপোর্ট একদিন অথবা দুই দিন পরে আপনাকে দেবেন। সাধারণত এই টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না শুধুমাত্র রক্ত দিলে হয় বাকিটুকু ল্যাব কর্তৃপক্ষ করিয়ে নেয়।

এন্টিসিসিপি এর কাজ কি

এর মাধ্যমে শরীরে কোন ধরনের আর্থ্রাইটিক জনিত সমস্যা বা অ্যান্টি বডি আছে কিনা সেটা চিহ্নিত করা যায় আমরা যদি সহজ ভাষায় বলি তাহলে বাতজ্বর যেটা আমাদের গ্রামের ভাষায় অত্যন্ত সহজ একটি ভাষা এই বাজ্জার পরীক্ষার জন্যই মূলত এনটি সিসিপি টেস্ট করানো হয়। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এনটি সিসিপি টেস্ট করাতে বর্তমানে খরচ হতে পারে ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার মতো।