কোন বয়সে প্রেসার কত হওয়া উচিত

রক্তচাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস মানব শরীরের জন্য। যারা সব রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তারাই কেবলমাত্র সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে। আপনাকে কোন বড় গবেষণার দিকে চোখ দিতে হবে না আপনাকে শুধু নিজের আশেপাশে তাকাতে হবে এবং নিজের আশেপাশে যারা বয়স্ক এবং বৃদ্ধ আছে তাদের সমস্যা দেখে লক্ষ্য করতে হবে। অবশ্যই আপনি তাদের মধ্যে এমন মানুষ সব থেকে বেশি পাবেন যাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ছিল না কম বয়সে যার কারণে তারা বৃদ্ধ বয়সে এসে অনেক বেশি অসুস্থ।

মূলত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না থাকলে শুধুমাত্র যে উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকবে এমন নয় এর পাশাপাশি সমস্যা তৈরি হবে বড় ধরনের যেটাকে আমরা হার্টের রোগ বলে থাকি। এছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে এই রক্তচাপের কারণে। তাই কম বয়স থেকেই নিজেকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যেখানে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং রক্তচাপের কারণে কোনদিন যাতে কোন সমস্যা না হয়।

বর্তমানে এমন অনেক ঘটনা দেখা গেছে যেখানে খুব অল্প বয়সে মৃত্যুর ঘটনার পেছনে রয়েছে হৃদরোগ। এই হৃদরোগ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ তাই অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে কম বয়স হোক বা বেশি বয়স হোক যে কোন বয়সে উচ্চ রক্তচাপ না হয় এবং রক্তচাপ সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এটা বলা যতটা সহজ করা তার থেকে কয়েক হাজার গুণ কঠিন তাই নিজেকে সবসময় ফিট রাখার চেষ্টা করুন এবং সব সময় ভালো খাবার এবং শারীরিক পরিশ্রমের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

ব্লাড প্রেসার চার্ট

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে জানতে হবে আপনার বয়স এবং আপনার ওজনের উপর নির্ভর করে রক্তচাপ কত হলে সেটা স্বাভাবিক। এটা জানার জন্য অবশ্যই একটি চার্ট আপনার সামনে দিতে পারলে সেটা দেখে আপনি এই বিষয়ে খুব সহজেই অবগত হতে পারবেন। তাই আমরা আপনাদের জন্য রক্তচাপের একটি চার্ট নিয়ে হাজির হয়েছি যেটা আপনি সেভ করে রাখতে পারেন এবং পরবর্তীতে নিজের প্রয়োজনে যেকোনো সময় এটা দেখতে পারেন।

আপনারা যারা এই চার্ট সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তারা ঝটপট আমাদের দেখানোর লিংক অর্থাৎ google.com ব্যবহার করে এই চার্ট এর ছবিটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রাখুন। ছবিটা একবার দেখলে আপনারা সবকিছু খুব সহজে বুঝতে পারবেন আমাদের আলাদাভাবে কিছু বুঝিয়ে দিতে হবে না আপনাদের এই বিষয়ে জানানোর জন্য।

হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত

হাই প্রেসার হলে সাধারণত কি খাওয়া উচিত এই প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলতে হয় যে হাই প্রেসারে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। হাই প্রেসারে আক্রান্ত রোগীদের সবার প্রথমে বর্জন করতে হবে সেটা হচ্ছে গরুর মাংস এবং যেকোনো ধরনের লাল মাংস।হাই প্রেসারে আক্রান্ত রোগীদের বর্জন করতে হবে খাবারের সঙ্গে লবণ খাওয়া তার কারণ হচ্ছে লবণ অত্যন্ত খারাপ একটি জিনিস হাই প্রেসার রোগীদের জন্য। হাই প্রেসারে আক্রান্ত রোগীদের চিনি খাওয়া বর্জন করতে হবে। যদি সম্ভব হয় হাই প্রেসারে আক্রান্ত রোগীরা একেবারে স্বাভাবিক খাবার খাবে যার মধ্যে থাকবে প্রচুর পরিমাণে সবজি।

এখন অনেকেই বলতে পারেন প্রতিদিন সবজি খেলে দেহে প্রোটিনের উৎস কিভাবে পূরণ হবে আর প্রোটিনের অংশ পূরণ না হলে সুস্থ থাকা অসম্ভব। আপনাকে ভালো প্রোটিন খেতে হবে এবং সবজির মধ্য থেকে প্রোটিন খাওয়ার উৎস হিসাবে আপনি ডাল বেছে নিতে পারেন এছাড়াও কিছু সবজি আছে যেখানে সরাসরি প্রোটিন পাওয়া যায় সেগুলো খেতে পারেন।

নরমাল প্রেসার কত

অনেকে জানতে চাই নরমাল প্রেসার কত। আপনার বয়স যতই হোক না কেন নরমাল প্রেসারের মাপ হচ্ছে ১২০ বাই ৮০। এটা হচ্ছে স্বাভাবিক এবং একেবারে পারফেক্ট রক্তচাপের পরিমাপ।