চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ আছে যেটা আমাদেরকে বেশ কয়েক ভাবে উপকৃত করে। যারা নিয়মিত চিনা বাদাম খায় তারা অবশ্যই আমার সঙ্গে একমত হবে যে চিনা বাদামের প্রচুর উপকারিতা আছে যেটা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের দেশের সবথেকে বেশি উৎপাদন হয় এই চীনা বাদাম এবং এটা আমাদের কাছে সবথেকে সহজলভ্য বাদাম। কাজুবাদাম বা কাঠবাদাম খুব অল্প পরিমানে উৎপাদন হয় এবং এগুলোর দাম অনেক বেশি যার কারণে সকলে এই বাদাম খেতে পারেনা কিন্তু আমাদের কাছে চীনা বাদাম সব থেকে পরিচিত।
শুধুমাত্র ক্ষুধা নিবারণের জন্য না এই চীনাবাদ আমাদের কাছে অনেক স্মৃতির উৎস। ছোটবেলাতে বন্ধু-বান্ধবের আড্ডায় এবং আরো কত জায়গাতে এ চিনা বাদাম আমাদের সময় কাটাতে সাহায্য করেছে সেটা কেউ বলতে পারে না। তবে এচেনা বাদাম সঠিকভাবে খেলে কি পরিমান উপকারিতা পাওয়া যাবে এবং এ চিলাবাদ কিভাবে খেতে হবে সে সম্পর্কে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব।
চীনা বাদামের পুষ্টিগুণ প্রতি 100 গ্রামে
আমরা একটি প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছি যে প্রতিবেদনে 100 গ্রাম চিনা বাদামে যে পুষ্টিগুণগুলো থাকে সেই পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন সেখান থেকে আমরা বিস্তারিত জানি যাতে করে চেনা বাদাম সম্পর্কে আমাদের অনেক চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন হয়ে যাবে।
১০০ গ্রাম চিনাবাদামে শক্তি পাওয়া যাবে ৫৬৭ টি ক্যালরি। এ ছাড়াও এখানে প্রোটিন পাওয়া যাবে 25.8 গ্রাম এবং শর্করা পাওয়া যাবে ১৬.১৩ গ্রাম। এটা ফাইবার যুক্ত খাবার তাই এখানে ফাইবারের পরিমাণ থাকবে ৮.৫ গ্রাম এবং চিনির পরিমাণ এখানে রয়েছে 4.72 গ্রাম। সাধারণত যে ফ্যাট গুলো আমাদের শরীরে উপকারী ফ্যাট সে ফ্যাট গুলোই চেনা বাদামে উপস্থিত যেমন মনোআনছ্যাচুরেটেড ফ্যাট ২৪.৪৩ গ্রাম এবং পলি আনসারুলেটেড হচ্ছে ১৫.৬ গ্রাম। এছাড়াও স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে ৬.২৮ গ্রাম।
চিনা বাদামে আরো কিছু উপাদান পাওয়া যায় যেমন পটাশিয়াম 705 মিলিগ্রাম এবং ফসফরাস ৩৭৬ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ১৬৮ মিলিগ্রাম । আপনারা এই চিনা বাদামে ক্যালসিয়াম পাবেন ৯২ মিলিগ্রাম এবং সোডিয়াম পাবেন ১৮ মিলিগ্রাম। আইরন রয়েছে এতে ৪.৫৮ মিলিগ্রাম এবং জিঙ্ক রয়েছে ৩.২৭ মিলিগ্রাম। এই জিনিসগুলো এতটাই উপকারী যে ১০০ গ্রাম চীনা বাদামে আমরা এতটা উপকারী জিনিস পাচ্ছি তাই আমাদের মতে চীনা বাদামের খাওয়ার মত অন্য কোন খাওয়ার উপকারিতা নেই।
খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা যারা খালি পেটে চিনা বাদাম খেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য উদাহরণস্বরূপ উপরের অংশটুকু একটু দেখে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। চিনা বাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যে ভুলটা করি সেটা হচ্ছে মুখরোচকভাবে চিনা বাদাম খাই ভেজে কিন্তু সেটাতে কোন উপকার নেই। আমাদের সব সময় কাঁচা চিনা বাদাম খেতে হবে সেটা হতে পারে পানিতে ভিজিয়ে অথবা পরিষ্কার করে।খালি পেটে চিনা বাদাম খেতে পারলে অবশ্যই সেটার কার্যকারিতা বেশি পাওয়া যাবে চেষ্টা করতে হবে যেই সময়ে আপনি অবসর আছেন এবং আপনার পেট একটু খালি আছে সেই সময় চিনা বাদাম খান। যদি এটা সম্ভব হয় চীনা বাদাম খাওয়ার আগে অথবা পরে আপনি শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করছেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের জন্য আরো বেশি উপকারী।
চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়
চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময় হিসেবে আমরা সকালের দিক অথবা বিকালের দিককে অনুমতি দেই। তার কারণ হচ্ছে এই সময় শরীর একেবারে রিলাক্স মোডে থাকে যাতে করে আপনার মস্তিষ্ক অনেক ফ্রি থাকে এবং আপনি যখন চেনা বাদাম খাবেন তখন সেই সেনা বাদামের সঠিক কার্যকারিতা আপনার শরীরে ছড়িয়ে পড়বে খুব দ্রুত। এই চিনাবাদাম থেকে উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম মেনে চেনা বাদাম খেতে হবে এবং তার সঠিক উপকারিতা খুঁজে বের করতে হবে এটার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে।