পেস্তা বাদাম অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। সাধারণত বাংলাদেশে এই বাদাম খুব একটা পরিচিত নয় তার কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে এই বাদাম উৎপাদন হয় না। কিন্তু আস্তে আস্তে এই পেস্তা বাদাম বাংলাদেশের উৎপাদন হওয়া শুরু হয়েছে এবং যার কারণে এখন প্রত্যেকটি বাজারেই এই বাদাম পাওয়া যায়। আগের দিনে আমরা চিনা বাদাম খেতাম কিন্তু বর্তমানে পেস্তাবাদাম পাওয়া যাচ্ছে তাই আমরা চেষ্টা করব চিনাবাদামের পাশাপাশি অল্প পরিমাণ করে হলেও পেস্তা বাদাম খেতে।
পেস্তা বাদামের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা আছে যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি সাহায্য করে। আপনি প্রতিদিন যদি পেস্তা বাদাম খান তাহলে কোন কোন উপকারিতা আপনি পাবেন সেটা বলে শেষ করা যাবে না। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল এই পেস্তা বাদাম এতটাই উপকারী জিনিস যে আপনি যে কোন খাবারের সঙ্গে এই বাদাম ব্যবহার করতে পারেন। এই পেস্তা বাদাম অত্যন্ত উপকারী বাদাম তাই যেকোনো খাবারে এর ব্যবহার করা হয় যেখান থেকে অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
রোজ পস্তা বাদাম খেলে যে উপকার পাওয়া যায়
ভাইস্তা বাদামের প্রধান উপকার হচ্ছে এটা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে এটা ব্যবহার করা যায়। সাধারণত আমাদের দেশে আইসক্রিম অথবা সন্দেশ এছাড়াও পায়ে স আরো অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন পিঠা এই প্রত্যেক ধরনের খাবারের সঙ্গে সুস্বাদু এ পেস্তা বাদাম ব্যবহার করা হয় যেটা খাবারের মান ও খাবারের স্বাদকে বৃদ্ধি করে পাশাপাশি পুষ্টিগুনে ভরপুর করে।
পেস্তা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। ফাইবার এবং প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কতটা প্রয়োজনীয় সেটা আমরা সকলেই জানি। আর সেটা যদি আমরা এক ধরনের বাদাম থেকে পেয়ে থাকি তাহলে কোন ভাবেই প্রাণী মাংসের ওপর আমাদের নির্ভরশীল হতে হবে না যেটা আমাদের শরীরের জন্য ভালো দিক।
পেস্তা বাদামের প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এই বাদামে দুই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুঁজে পাওয়া যায় একটি হচ্ছে পলিফেনাল ও আরেকটি হচ্ছে টোকোফেরোল। সাধারণত এই দুইটি এন্টিঅক্সিডেন্ট অত্যন্ত বেশি মাত্রায় পাওয়া যায় বলে এটা আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি পাওয়া যাবে এই পেস্তা বাদামে। সাধারণত এখানে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরির সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও পাওয়া যায় তাই আমাদের শরীরের ক্যালরি ঘাটতি পূরণে এবং হাই প্রোটিন খাবার হিসেবে এই পেস্তা বাদামের ঝুড়ি নেয় যেখানে এমন এসিডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে
যাদের ওজনের সমস্যা আছে তাদের ওজন কমাতে এবং এনার্জি জোগাতে এই পেস্তা বাদাম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সাধারণত হঠাৎ করে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য যদি আপনি সিদ্ধান্ত নেন তাহলে অবশ্যই পেস্তা বাদাম আপনাকে সাহায্য করবে। এছাড়াও পেটের খাদ্যনালীতে বিভিন্ন ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এই পেস্তা বাদাম যা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়।
আপনারা জানলে অবাক হবেন যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং যারা রোজ ডায়েটে পেস্তা বাদাম খান তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই বাদাম। এর পাশাপাশি রক্তনালীকে পরিষ্কার রাখতে এই পেস্তা বাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম
পেস্তা বাদাম খাওয়ার আলাদা কোন নিয়ম নেই আপনি যখন যেভাবে ইচ্ছে এই পেস্তা বাদাম খেতে পারেন। আপনি আলাদাভাবেও এ পেস্তা বাদাম খেতে পারেন আপনি পেস্তা বাদাম ভিজিও খেতে পারেন অথবা যেকোনো ধরনের খাবার উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন। এই রেসিপিগুলো নতুন ভাবে আপনাদের চিনিয়ে দিতে হবে না আপনারাই আমাদের থেকে বেশি ভালো জানেন পেস্তা বাদামের রেসিপি। আইসক্রিম থেকে সন্দেশ এবং যত মুখরোচক এবং মিষ্টি দামি দামি খাবার আছে প্রত্যেকটি খাবারে এই পেস্তা বাদাম ব্যবহার করা যেতে পারে।