রক্তের এলার্জির ঔষধ

এলার্জি এমন একটি সমস্যা যেটা হঠাৎ করে আমাদের শরীরে দেখা যেতে পারে। হঠাৎ করে দেখতে পাওয়া এই সমস্যাটা যদি আমাদের বড় কোন সমস্যা না হয় তাহলে ঠিক আছে কিন্তু এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড় ধরনের সমস্যা। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ঔষধ খেতে হবে এবং সেই ওষুধের সঠিক কাজ যদি আপনি পান তাহলে সেটা আপনাদের জন্য ভালো।

এলার্জির জন্য সাধারণত এন্টিহিস্টামিন যুক্ত ঔষধ গুলো বেশি দেওয়া হয়। সাধারণত এই ওষুধগুলো এলার্জিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক ভালো ভূমিকা রাখে। এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই ওষুধগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ঔষধ ব্যবহার করা হয় অনেক বেশি। আন্টি হিসামিন যুক্ত ওষুধের মধ্যে হিস্টাসিন এবং ফেক্সোফেনাডিন গ্রুপের ঔষধ সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় বাংলাদেশে। প্রতিনিয়ত এই ওষুধের ব্যবহার বৃদ্ধি বাঁচে যেটা অনেক ভয়ের কারণ।

তবে একেবারে গোড়া থেকে যদি আপনি অ্যালার্জি নির্মূল করতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে এলার্জির কারণ গুলো খুঁজে বের করতে হবে। আপনি যখন এলার্জির কারণ গুলো খুঁজে বের করতে পারবেন তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে কিছু এমন ঔষধ খেতে হবে যে ওষুধের কারণে ওই কারণগুলো চলে যায়। এইভাবে আস্তে আস্তে আপনাকে এনার্জি দূরে ঠেলে দিতে হবে।

রক্তের এলার্জির হোমিও ঔষধ

রক্তের এলার্জির ক্ষেত্রে অনেক মানুষ হোমিও ওষুধের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন। আমি এমন রোগী অনেক দেখেছি যারা দীর্ঘদিন হোমিও ঔষধ খাওয়ার পরে রক্তের এলার্জি থেকে অনেকটাই আরাম পেয়েছেন। তবে একটি বিষয় আপনাদের জানিয়ে রাখি রক্তের এলার্জি সাধারণত পুরোপুরি ভালো হয় না এটা অল্প থেকে যায় তবে এটা অল্পের জন্য কোন সমস্যা হয় না । তাই আপনি যদি মনে করেন এলার্জি ভালো করার জন্য হোমিও ঔষধ খাবেন তাহলে অবশ্যই আমি আপনাদের মানা করবো না।

কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে সমস্যাটা হয়েছে আমি ঔষধের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে হোমিও পড়াশোনার না করেই প্রায় ৯৯% ব্যক্তি হোমিও চিকিৎসা প্রদান করছেন। এরা হচ্ছে বাংলাদেশের হোমিও চিকিৎসার সবথেকে বড় ভয়ের কারণ যার কারণে রোগীরা সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা অসুস্থ বেশি হয়। তাই আপনাকে এই এক পারসেন্ট চিকিৎসক কে খুঁজে বের করতে হবে যিনি হোমিও চিকিৎসার ওপর দীর্ঘদিন পড়াশোনা করেছেন এবং যার উচ্চ পর্যায়ের ডিগ্রী আছে।

এই ধরনের চিকিৎসকেরা সাধারণত রোগীর সমস্যা বোঝে ঔষধ দেন এবং এই ওষুধগুলোতে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকেনা। দীর্ঘদিন সেবনের পরেও রোগী অসুস্থ হয় না তাই অবশ্যই এটা সতর্ক রেখে আপনাকে ওষুধ খেতে হবে। আর হোমিও ওষুধের ব্যাপারটা সাধারণত গোপন থাকে সেখানে কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয় সেটা গোপন রাখা হয় যার কারণে এখানে উল্লেখ করা যাচ্ছে না সরাসরি এলার্জির জন্য কোন ঔষধ আপনি খেতে পারেন।

রক্তের এলার্জির কমানোর ঘরোয়া উপায়

আপনি যদি রক্তের এলার্জি কমাতে চান তাহলে যে ঘরোয়া পদ্ধতি আপনি গ্রহণ করতে পারেন সেটা হচ্ছে সুস্থ জীবন যাপন। এই সুস্থ জীবন যাপনে থাকবে সুষম খাবার এবং থাকবে সঠিক শরীরচর্চা এবং থাকবে মানসিক সুস্থতা এর সঙ্গে থাকবে পর্যাপ্ত ঘুম।। এই কয়েকটা জিনিস যদি আপনি নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এলার্জি আপনার জীবন থেকে চলে যাবে চলুন আপনাদের একটু বিস্তারিতভাবে জানাই।

প্রথমত এমন খাবারগুলো খেতে হবে যেগুলো আপনার রক্তকে দূষিত করে না এবং এমন পরিবেশে থাকার চেষ্টা করতে হবে যাতে বাতাস অথবা পানি আপনাকে দূষিত করতে না পারে। প্যাকেটজাত খাবার বর্জন করুন এবং বিউটি প্রোডাক্ট বর্জন করুন। নিজেকে সময় দিন এবং প্রতিদিন খুব সকালের দিকে শারীরিক পরিশ্রম করুন। নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুম এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করতে পারলে সেটা খুব ভালো। পরিষ্কার পরিবেশে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন যেখানে ধুলাবালি একদম কম থাকবে।