সাধারণত অসুস্থ হলে আমরা ওষুধ খায়। সেই ঔষধ আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাজে আসে। কিন্তু আমরা কখনো ভেবে দেখি না সেই ওষুধের মাধ্যমে আমরা যে উপকারটা পাচ্ছি সেটা আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়। অবশ্যই প্রয়োজন আছে কিন্তু আমরা যদি আগে থেকে এসে সমস্যার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি তাহলে হয়তো সেই প্রয়োজন না থাকে। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা রক্ত পরিষ্কার করা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানবো তবে এর পাশাপাশি আমরা এটাও জানব স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষের রক্ত কিভাবে দূষিত হতে পারে।
রক্ত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ঔষধ গুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় সিরাপ। এছাড়াও রক্ত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনি খেতে পারেন যে সম্পর্কে আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এ বিষয়ে জানুন।
রক্ত পরিষ্কার করার সিরাপ
হামদার্দ কোম্পানির কথা আমরা সকলেই শুনেছি। বর্তমানে বাংলাদেশে হারবাল যে ঔষধ কোম্পানিগুলো রয়েছে তার মধ্যে হামদাদ হচ্ছে এক নম্বর কোম্পানি। তারা দাবি করে তাদের ঔষধে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এই ওষুধ খেয়ে রোগীরা সুস্থ হতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। আমি এমন অনেক প্রেসক্রিপশন দেখেছি যেখানে এমবিবিএসসি কিছু আছে না হামদার্দের বিভিন্ন ধরনের সিরাপ খাবার পরামর্শ দিয়েছেন রোগীদের।
আমরা আজকে যে রক্ত পরিষ্কার করার বিষয়ে কথা বলছি হামদার্দের একটি সিরাপ আছে যেটা এই কাজে ব্যবহৃত করা হয়। সাধারণত বয়স এবং শারীরিক গঠনের উপর ভিত্তি করে এই সিরাপ গুলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়ার পরে সেই রোগী রক্ত দূষণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এছাড়াও আরো অন্যান্য হারবাল কোম্পানির আরও সিরাপ আছে যেগুলোর মাধ্যমে একই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রক্ত পরিষ্কার করার কিছু ভালো অভ্যাস
অভ্যাস আমাদের ভালো রাখতে পারে আবার সেই অভ্যাসে আমাদের নষ্ট করে দেয়। ভালো অভ্যাস কখনোই আপনাকে হতাশ করবে না আপনি যত ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন আপনি জীবনে তত বেশি সফল হবেন। চলার পথে বিভিন্ন কারণে আমরা আমাদের শরীরকে দূষিত করি তার মধ্যে রক্ত দূষিত হওয়া একটি বড় সমস্যা। তবে পুনরায় কিছু ভালো অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা যদি সেই রক্ত দূষণকে সম্পন্ন ভালো করতে পারি তাহলে সেটা কেমন হয়। অবশ্য কিছু ভালোবাসা অভ্যাস আছে চলুন সে ভালো অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
রক্ত দূষণের একটি বড় কারণ হচ্ছে বায়ু দূষণ আমরা যদি এর হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই তাহলে আমাদের একটি ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে সেটা হচ্ছে প্রতিদিন খুব ভোরে অর্থাৎ একেবারেই ফজরের নামাজের পরে ঘুম থেকে ওঠা এবং তারপরে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা বাইরে হাটাহাটি করা এবং শারীরিক ব্যায়াম করা।
রক্ত পরিশোধন করার ভালো অভ্যাসের মধ্যে আরেকটি অভ্যাস হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি পান করা পরিমিত পরিমাণে। একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা আমরা যদি এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পারি এবং প্রতিদিন এই পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খেতে পারি তাহলে রক্তের সঙ্গে আমাদের কিডনিও পরিচয় দিতে হবে।
বদ অভ্যাস ত্যাগ করা বিশেষ করে অ্যালকোহল এবং ধূমপান খাওয়া। আপনারা যদি এই অভ্যাস দুটি ত্যাগ করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার রক্ত এমনিতেই বিশুদ্ধ হয়ে গেছে। এটা ভালো অভ্যাসের মধ্যে একটি।
রক্তকে ভালো রাখতে এবং রক্তকে বিশুদ্ধ করতে হলে আপনাকে নিজের খাবারের পরিবর্তন আনতে হবে। এই অবস্থাতে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সকল ধরনের প্যাকেটজাত খাবার আপনি বর্জন করবেন তার কারণ হচ্ছে সেখানে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল এবং রঙের ব্যবহার করা হয় যেটা সরাসরি আমাদের রক্তকে দূষিত করে। নিজের বাজারে পাওয়া সবুজ শাকসবজি এবং রঙিন ফলমূল নিয়মিত খান এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন তাহলেই আপনি সুস্থ থাকবেন।