ক্যান্সার হচ্ছে একটি মরণঘাতী রোগ কোন প্রতিকার। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখে বোঝা যায় তারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে আশা করছি আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থেকে এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। অবশ্যই যার শরীলে এই লক্ষণগুলো দেখা দিবে সে একটু গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে যাবেন।
ক্যান্সারের রোগের চিকিৎসায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কৃত হচ্ছে এবং প্রতিদিনই বড় বড় গবেষণা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এই রোগের সরাসরি কোন ঔষধ পাওয়া যায়নি। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব সেই ক্যান্সারের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ যে লক্ষণ গুলো জানা থাকলে অনেকেই নিজের ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে সেগুলো বুঝতে পারবেন।
ক্যান্সারের বেশ কয়েকটি লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না
সাধারণত যে লক্ষণগুলো রয়েছে সেই লক্ষণগুলো বুঝতে হবে রোগীকে নিজে রোগী যদি নিজে এই জিনিসগুলো উপলব্ধি না করতে পারে তাহলে কিছু করার নেই। বর্তমান বিশ্বে ক্লান্তিক প্রতিদিনের একটি সঙ্গীত কিন্তু যদি সে ক্লান্তি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে এটা ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ। সাধারণত মলাশয় এর ক্যান্সার অথবা রক্তে ক্যান্সার হলে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়াই কোন অসুস্থতা ছাড়াই যখন ওজন কমতে শুরু করে। একজন মানুষ সুস্থ আছে কিন্তু হঠাৎ করে তার শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি হয় এবং ওজন কমতে শুরু করে এটা ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ।
ক্যান্সারের লক্ষণ গুলোর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা। শরীরে যে কোন স্থানে দীর্ঘস্থায়ী যদি ব্যথা থাকে এবং সেই ব্যথা নিরাময়ের চেষ্টা করার পরেও যদি সেটা না যেতে চায় তাহলে সেটা ক্যান্সারের বড় একটি লক্ষণ। যেমন মাথায় ব্যথা ব্রেন টিউমারের একটি লক্ষণ এছাড়াও পেটে ব্যথা পায়ুপথে ব্যথা এবং মলাশয় ব্যথা এখানকার ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ।অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড অর্থাৎ শরীরের কোন অংশে অস্বাভাবিক কোন মাংসপিণ্ড দেখতে পাওয়া বা মাংস জমাট হতে দেখতে পাওয়া ক্যান্সারের বড় লক্ষণ। এটা সাধারণত রোগী নিজেই উপলব্ধি করতে পারে এবং এই অনাকাঙ্ক্ষিত মাংসপিণ্ড স্বাভাবিক হলেও এটার পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন রয়েছে যাতে করে এটা কোন ক্যান্সারের ভাইরাস বহন না করে।
কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ঘন ঘন জ্বর আসার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। জ্বরের বহু চিকিৎসা দেওয়ার পরেও সেই জ্বর ঠিকঠাক ভাবে সেরে ওঠেনা আবার কিছুদিন পরে আবার ফিরে আসে এই ধরনের লক্ষণ যদি থাকে তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে এটা ক্যান্সারের একটি লক্ষণ।
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ
এছাড়াও কিছু কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় অর্থাৎ যারা ত্বক ব্যাপারে সচেতন নন তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের অবস্থা খুব খারাপ এবং যারা সচেতন তাদের ক্ষেত্রেও ত্বকের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।অনেক রোগীর ক্ষেত্রে মলমূত্রত্য ত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন শুরু হতে পারে। পরিবর্তন বলতে বোঝানো হয়েছে যেখানে প্রতিদিন দুইবার মলত্যাগ করতেন সেখানে প্রতিদিন তিন থেকে চারবার বা হঠাৎ করে ডায়রিয়া আবার কোন কোন দিন আছে পায়খানা হয় না এমন অনিয়মিত অভ্যাস গড়ে উঠতে পারে যেটা ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।অকারণে রক্তক্ষরণ অর্থাৎ কাশির মাধ্যমে অথবা মলত্যাগের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্তক্ষরণ ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো যদি অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
খাবার গ্রহণের সমস্যা ক্যান্সারের অন্যতম। হঠাৎ করে খাবার গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করা এবং ক্ষুধামান্দার সৃষ্টি হওয়া ক্যান্সারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। তাই সবসময় এই লক্ষণগুলো যদি কোন রোগের ক্ষেত্রে দেখা দেয় তাহলে বাড়িতে বসে না থেকে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।