গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের যত্ন

আপনি যদি বুঝতে পারেন যে সবেমাত্র আপনি গর্ভবতী হয়েছেন তাহলে তখন থেকে আপনার প্রচুর পরিমাণে যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রথম মাস হতে শুরু করে শেষ মাস পর্যন্ত খাওয়া থেকে শুরু করে সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করতে এসেছি গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের যত্ন সম্পর্কে বিশেষ তথ্য গুলো নিয়ে।

একজন মায়ের গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে অবশ্যই খেয়াল রাখা প্রয়োজন এ সময়ে তার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা এবং বিষন্নতা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে আলোচনা করব। আপনারা যারা এ বিষয়ে জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।

গর্ভাবস্থার প্রথম মাস

একজন মেয়ে শেষ মাসিকের পর থেকে তৃতীয় সপ্তাহে গিয়ে গর্ভাবস্থার প্রথম মাস সাধারণত ভাবে শুরু হয়ে থাকে। পাস এবং ৬ সপ্তাহের মধ্যে একজন মা বুঝতে পারেন যে সে গর্ভবতী এবং শারীরিক উপসর্গগুলি তখন থেকেই আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে। গর্ভাবস্থার প্রথম মাসের সমস্যাবুলির মধ্যে রয়েছে একটা পিক গর্ভাবস্থা গর্ভপাত এবং টেরাটোজেন। আপনার গর্ভাবস্থায় আপনি যে পরিবর্তন গুলির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তার প্রতিক্রিয়া স্মারক মেজাজ পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক।

তাই গর্ভাবস্থার প্রথম মাসেই আপনি যখন জানতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী তখন কোন এক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী কিছু টেস্ট রয়েছে সেগুলি অবশ্যই করে নিতে হবে তাহলে নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার গর্ভের সন্তান সঠিক জায়গায় রয়েছে কিনা এবং সুস্থ রয়েছে কিনা।

প্রত্যেকটি মায়ের কাছে তার গর্ভাবস্থার প্রতিটি দিন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভের সন্তানের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য এ সময় গর্ভবতী মাকে নানা রকমের নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলতে হয়।। এ সময় থেকে নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করতে হয় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা আনটিনেটাল চেকআপ করাতে হয় এছাড়াও সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রথম মাস থেকে শুরু করতে হয়।

ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়া

সাধারণত স্বামী স্ত্রীর মিলনের পর স্বামীর শুক্রাণু ও স্ত্রীর ডিম্বানোর মধ্যে ফিউশন প্রক্রিয়াকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়া। এ ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়াটি সংঘটিত হয়ে থাকে স্ত্রীর শরীরে। এটি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে রাখা প্রয়োজন।

ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়াটি প্রথমে ডিম্বনালীতে স্থাপিত হয় এরপর শুক্রাণু কর্তৃক নিষিদ্ধ ডিম্বাণু ফেলাবিয়ান টিউব বা ডিম্বোনালি হয়ে ইউটেরাস বা গর্ভাশয় চলে আসে এবং ইমপ্ল্যান্টেশন প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। আর এই সময় হালকা রক্তপাত হতে পারে একে বলে ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং। এরপর থেকেই গর্ভবতী মায়ের শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। এটি গর্ভাবস্থার একটি সাধারণ প্রক্রিয়া।

প্রথম মাসে সমস্যা ও সর্তকতা

গর্ভবতী মায়ের প্রথম দিকের সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো একটা পিক প্রেগনেন্সি। নিষিক্ত ডিম মানুষ সাধারণত ইউটের রাস্তা প্রতিস্থাপিত হয়ে থাকে এর বাইরে অন্য কোথাও প্রতিস্থাপিত হলে তাকে একটোপিক প্রেগনেন্সি বলে।

সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম মাসেই এটি হয়ে থাকে। ডিম্বানু গর্ভাশয় এর বদলে ডিম্বনালিতে প্রতিস্থাপিত হলে ধীরে ধীরে তা আকারে বড় হয় এবং এক পর্যায়ে নালি ফেটে গিয়ে ব্লিডিং শুরু হয় এবং প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। এই গর্ভাবস্থার প্রথম মাসেই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু টেস্ট করে নিতে হবে।

গর্ভাবস্থার প্রথম মাসের যত্ন

গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে মায়েদের কিছু যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। গর্ভধারণের বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর মাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে। তিন বেলা পুষ্টিকর খাবার সঠিক পরিমাণে খেতে হবে তার সাথে সবুজ শাকসবজি রঙিন ফল মাছ মাংস ডিম দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।

এছাড়াও একজন গর্ভবতী মায়ের আশ জাতীয় খাবার কুষ্ঠ কাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে বলে খাবার তালিকায় আঁশ জাতীয় খাবার রাখতে হবে। শুধু খাবার খেলে হবে না, এর সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং তরল জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। এছাড়াও একজন গর্ভবতী মাকে রোজ অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।