সাধারণত প্রস্রাবের ইনফেকশনের বেশ কয়েকটি কারণ আছে। সবার প্রথমে সঠিক কারণ বের করতে হবে এর জন্য যদি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে যেতে হবে। আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব বেশি উন্নত না তারপরও এখানে যে ব্যবস্থাগুলো আছে সেগুলো আমাদের পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছে তাদের একটি সমস্যা আছে তারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যায় না যার কারণে তাদের অসুস্থ হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রসাবের ইনফেকশন সাধারণ কিছু নিয়মে বা সাধারণ কিছু কারণে হয় কিন্তু আপনি যদি এটা সঠিকভাবে বের করতে না পারেন প্রসবের ইনফেকশনের কারণ তাহলে আপনি কোন সাহসে বাড়িতে বসে থাকেন আমি বুঝিনা। হতেও পারে বড় কোনো কারণে প্রসাবের ইনফেকশন হয়েছে সেটা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অবশ্যই আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে এবং পরীক্ষা করাতে হবে। আমার সব সময় সকলকে ভাল পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করি যাতে কোন ধরনের ভোগান্তিতে কেউ না পড়ে।
প্রসাবের ইনফেকশন কেন হয়
প্রসাবের ইনফেকশনে সাধারণ কিছু কারণ আছে যেমন মনে করুন গর্ভবতী মায়েদের প্রস্রাবের ইনফেকশন। গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক কিছু পরিবর্তন হয় এবং এই শারীরিক পরিবর্তনের কারণে আগে তারা যতটা হাইজিন মেন্টেন করে চলতো এই অবস্থাতে ততটা হাইজিন মেন্টেন করে চলা সম্ভব হয় না। যার কারণে বিভিন্ন সময় তাদের প্রস্রাবের ইনফেকশন দেখা দেয়। কিন্তু এখানে চিন্তার কোন কারণ নেই বেশিরভাগ মায়েরাই চিন্তিত হয়ে পড়েন কিন্তু চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা যখন বলেন চিন্তা করার কোন কারনে তখন তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। এইভাবে প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার।
সাধারণত যারা অতিরিক্ত গরমে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ান এবং রোদে বেশিক্ষণ অবস্থান করেন তাদের প্রসাবের ইনফেকশন হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেকের ক্ষেত্রে পানি কম খাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে আবার অনেকের যে খারাপ একটু অভ্যাস আছে তার কারণেও প্রস্তাবের ইনফেকশন হয় সে অভ্যাসটি হচ্ছে প্রস্তাব চেপে ধরে রাখা। এমন মানুষ অনেক আছে যাদের প্রস্রাব চাপে বাজারে কিন্তু তারা সে প্রস্তাব বাজারে না করে বাড়িতে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে এবং বাড়িতে আসার পরে প্রস্রাব করে। এই ধরনের অভ্যাস যদি নিয়মিত করে তাহলে সেখান থেকে প্রসবের ইনফেকশন হবে।
এখন আসি প্রস্তাবের ইনফেকশনের আসল কারণে যেগুলো সাংঘাতিক কারণ এবং যার কারণে মানুষ অসুস্থ হবে। একটি হচ্ছে কিডনিতে সমস্যা। কিডনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আমাদের শরীরের জন্য। আমাদের শরীরে যত তরল পদার্থ আছে প্রত্যেকটি তরল পদার্থ কিডনি পরিশোধিত করে এবং ভালো জিনিস গুলো শরীরের অভ্যন্তরে রেখে দেয় এবং খারাপ জিনিস গুলোর প্রস্রাব আকারে শরীর থেকে বের করে দেয়। সে কিডনিতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে প্রস্রাবের ইনফেকশন হবে এবং সেটা অত্যন্ত বড় ধরনের ইনফেকশন হবে যা প্রস্রাবের ইনফেকশনের রিপোর্ট দেখলে বোঝা যাবে।
অনেকের ক্ষেত্রে বয়স বেশি হলে প্রোস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধি পায় যার কারণে প্রোস্টেটের সমস্যা হয়। সাধারণত পোস্টেডের দেয়ালগুলো থাকে অত্যন্ত মসসিন এবং প্রোস্টেট হয় গোলাকার কিন্তু যখন এই সমস্যা তৈরি হয় তখন প্রোস্টেটের আকার পরিবর্তন হয় এবং দেয়াল মসৃণ অবস্থায় থাকে না। যার কারণে সেখানে প্রস্রাব আটকে থাকে এবং ইনফেকশন তৈরি হয়।
প্রসাবের ইনফেকশন টেস্ট
প্রসাবের ইনফেকশনের বিভিন্ন ধরনের টেস্ট আছে সাধারণভাবে প্রস্রাবে যে ইনফেকশন টেস্ট করা হয় তার নাম হচ্ছে ইউরিন আর ই। তবে এশারাও বড় কিছু প্রসাবের টেস্ট আছে যেমন মনে করুন ইউরিন কালচার যেটা করতে ৭২ ঘন্টা সময় লাগে সেটা নির্ভর করছে রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর। এ অবস্থাতে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। প্রসাবের ইনফেকশন কারো কারো ক্ষেত্রে সহজেই সেরে যায় কিন্তু এমন মানুষ অনেক আছে যাদের প্রস্রাবের ইনফেকশন এর কারণে বড় সমস্যা হয় এবং তারা অনেক কষ্ট করে।