আপনাদের মধ্যে যারা নিজের বাচ্চাকে নিয়ে অনেক চিন্তা করেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনার বাচ্চা যদি অসুস্থ হয়ে যায় এবং তাকে যদি একটি টোফেন সিরাপ খেতে বলা হয় তাহলে অবশ্যই আপনার মনের চিন্তা হবে বাচ্চার না জানি কি হলো। এত চিন্তার কোন কারণ নেই অবশ্যই প্রত্যেকটি ওষুধ তৈরি করা হয় সকলের কথা মাথায় রেখে। আর যেহেতু টোফেন সিরাপ বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে অবশ্যই বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে এই সিরাপটি তৈরি করা হয়েছে।
তবে একটা জিনিস আপনাকে খেয়াল করতে হবে আপনার বাচ্চার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের জন্য কোন ভাবে একজন ভালো শিশু ডাক্তার ছাড়া আপনি ঔষধ খাওয়াতে পারবেন না। যেনতেনো ডাক্তারের কাছে গিয়ে যেনতেনো ঔষধ এনে খাওয়ালে আপনার শিশু আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যাবে। চলুন আজকে তাহলে টোফেন সিরাপ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং এই সিরাপ এর কার্যকারিতা ও খাওয়ার পরিমাপ সম্পর্কে জানি।
টোফেন সিরাপ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নির্দেশনা
বর্তমান বাজারে সাধারণত ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড বাজারজাতকরণ করছে। এই সিরাপ সাধারণত হাঁপানি প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে যেটাকে বলা হয় নিউমোনিয়া এবং কোন বাচ্চার যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার টোফেন সিরাপ তাকে খেতে বলবে। অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই যাচাই বাছাই করে নেওয়া উচিত।
কোন বাচ্চার শরীরে যদি এলার্জি কোন রিএকশন দেখা যায় যেমন রেশ থেকে শুরু করে চুলকানি কোটি কোটি হওয়া অথবা চামড়ার ওপরে লালচে আকার ধারণ করা তাহলে অবশ্যই আপনি একজন ডাক্তারের কাছে যাবেন। ডাক্তার যদি আপনাকে বলে বাচ্চাকে টোফেন সিরাপ খেতে বলে তাহলে আমি বলব ডাক্তার আপনাকে একেবারে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছে। এছাড়াও মাথায় চুলকানি এবং মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে ঘন ঘন হাঁচি হওয়া এই ধরনের কারণ জনিত অসুখে বাচ্চাদেরকে টোফেন সিরাপ দিতে পারে।
তাই আপনার বাচ্চার যদি এই ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে টোফেন সিরাপ খাওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। মূলত বাচ্চারা বেশি চঞ্চল থাকে তাই তাদের ঠিকঠাক ভাবে যত্ন নিতে গেলে অনেককে অনেক বেগ পেতে হয়। তারপরে তাপমাত্রার পরিবর্তন থেকে শুরু করে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা তো প্রচুর পরিমাণে আছে তাই এই সকল কারণে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। আপনি অভিভাবক হিসেবে আগে নিজে সতর্ক থাকুন দেখবেন আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকছে।
বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ার পরিমাণ
৩ বছরের অধিক বয়সের যে শিশুগুলো আছে তাদের জন্য টোফেন সিরাপ দেওয়া হবে ১ মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার আহারের সাথে। তবে বাচ্চাদের এট টোফেন সিরাপ খাওয়ার পর ঘুমের প্রবণতা দেখা দিতে পারে এবং আপনি লক্ষ্য করবেন তারা দিনের বেলায় খেলার মধ্যে ঝিম হচ্ছে কিনা। যদি ঔষধ খাওয়া অবস্থায় এই জিনিসটি হয় তাহলে সেই ওষুধের পরিমাণ কমিয়ে 0.5 থেকে 1 মিলিগ্রাম করা যেতে পারে তবে সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
এই গেল ৩ বছরের ওপরে শিশুদের কথা এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে সকল শিশুরা ৩ বছরের নিচে আছে তাদের ক্ষেত্রে কি করা যায়। তি৩ বছরের শিশু যারা আছে তাদের শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক তাই এই সময় একজন ভালো শিশু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেও এক ফোটা ওষুধ তাকে দেওয়া উচিত নয়। তাহলে ভেবে নিন আপনি কি করতে পারেন অবশ্যই আপনার বাচ্চা যদি এই ধরনের সমস্যা ফেস করে তাহলে দেরি না করে ছটফট একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান বাচ্চাকে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে টোফেন সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
টোফেন সিরাপ খাওয়া শুরু করার পরবর্তী সময় যদি বাচ্চার হঠাৎ করে বমি হয় অথবা পাতলা পায়খানা হয় তাহলে বলবো সঙ্গে সঙ্গে এই সিরাপ খাওয়ানো বন্ধ করে দিবেন। এটি একটি বড় সমস্যা। তবে যদি বাচ্চারা হালকা হালকা ঘুম অনুভব করে তাহলে এটা কোন সমস্যা না।