ছোট বাচ্চাদের সর্দি কাশি হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। আজকে আমরা যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে চলেছি সেটা কোন প্রতিবেদন বা কোন গবেষণা থেকে নেওয়া নয় এটা শুধুমাত্র বাস্তবসম্মত তথ্য। আমরা বেশ কিছু অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে তাদের মনের কথাগুলো শুনেছি এবং সেইখান থেকেই মূলত এই আর্টিকেল তৈরি করছি। ছোট বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলে অবশ্যই বাবা মায়েরা চিন্তায় পড়ে যান তবে এখানে এত দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।
সাধারণ সর্দি কাশি হলে সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার তবে আপনাকে এটা ভালোভাবে বুঝতে হবে আপনার সন্তানের সর্দি কাশি কেন হচ্ছে এবং সেটা বারবার কেন হচ্ছে। সাধারণত সন্তানের মা যদি সুস্থ থাকে সে ক্ষেত্রে সন্তান সুস্থ থাকার প্রবণতা বেশি থাকে তাই চেষ্টা করতে হবে সন্তানের যেন সর্দি কাশি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে। আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে ছোটদের সর্দি কাশি হওয়ার কারণ এবং প্রতিকার খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।
শিশুদের সর্দি হওয়ার কারণ
শিশুদের সর্দি হওয়ার কারণ হচ্ছে ঠান্ডা লাগা। সাধারণত আমরা অবগত আছি যে শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ার সময় দুই বছর পর্যন্ত কেউ এর থেকে বেশি সময় ধরে বুকের দুধ খান। এই বুকের দুধ খাওয়া অবস্থাতে শিশুর মায়ের যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে তার প্রভাব পড়ে শিশুর ওপর। শিশুর সর্দি লাগার তাই বড় একটি কারণ হচ্ছে মায়ের সর্দি লাগা বা মায়ের ঠান্ডা লাগা।অনেক শিশুর জন্মগতভাবে ফুসফুসে সমস্যা থাকতে পারে বিশেষ করে যে শিশুগুলো পরিপক্কর না হয়ে পৃথিবীতে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে যেমন সাত মাসের ডেলিভারি হওয়া শিশুর। এদের ক্ষেত্রে একটু বিশেষ সাধ্যান্যতা অবলম্বন করতে হবে বাবা-মাকে তার কারণ হচ্ছে এরা অল্পতেই অসুস্থ হতে পারে এবং সেটা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে।
শিশুদের সর্দি কাশি হওয়ার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে এলার্জি। যেহেতু শিশুরা ছোটবেলা কিছু বলতে পারে না তাই বাবা-মাকে উপলব্ধি করতে হবে শিশুর এলার্জি আছে কিনা এবং যদি সেটা হয় তাহলে চেষ্টা করতে হবে তাকে সব সময় ধুলাবালি মুক্ত রাখতে যাতে করে এলার্জির কারণে তার সর্দির কাশি বৃদ্ধি না পায়।
বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম
আপনাদের মধ্যে যারা অভিভাবক আছেন তাদেরকে বলব শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সব সময় চেষ্টা করবেন যাতে করে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর এর জন্য একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিকল্প নেই আপনি যতই বাড়ির কাছের ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে আসুন না কেন আপনাকে সবার প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের হস্তক্ষেপ।আর শিশুদের সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য সাধারন ঔষধি দেওয়া উচিত যেমন মনে করুন প্যারাসিটামল এবং হিস্টাসিন। এই ওষুধগুলো সঠিক ব্যবহার আপনার শিশুকে সাধারণ সর্দি কাশি এবং জ্বর থেকে একেবারেই মুক্তি দেবে। তবে আপনার শিশু যদি গুরুতর ভাবে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয় তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে আরো বড় ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার উপায
বাবা মার কাছে তার সন্তান হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে বড় সম্পদ । সন্তান যখন অসুস্থ হয় তখন বাবা মায়ের মাথা কাজ করতে চায় না। কিন্তু এই সময় একটু ধৈর্য ধরতে হবে তার কারণ হচ্ছে আপনি যতটা অধৈর্য হয়ে যাবেন ততটাই আপনার সন্তান ভুল চিকিৎসার খপ্পরে পড়তে পারে। সর্দি কাশি থেকে নিজের সন্তানকে দূরে রাখতে হলে সব সময় চেষ্টা করবেন যাতে করে কোন ধরনের ঠান্ডা তাকে না লাগে।ছোটবেলা থেকেই গোসলের একটি সুন্দর অভ্যাস গড়ে তুলবেন এবং ঠিক একই সময় প্রতিদিন গোসল করানোর চেষ্টা করবেন। চেষ্টা করবেন সন্তানের মায়ের যেন কোন ধরনের ঠান্ডা না লাগে বিশেষ করে যতদিন সন্তান বুকের দুধ খাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত। আর এই সময়টুকুতে অর্থাৎ বুকের দুধ খাওয়ার সময়টুকুতে চেষ্টা করবেন বাড়ির বাইরে কম যেতে যাতে করে আবহাওয়ার পরিবর্তন কম হয় এবং সন্তান অসুস্থ কম হয়।