আমরা সকলে অবগত আছি যে ক্যান্সার একটি মরণঘাতী রোগ। যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে শুষ্ক হয়ে বেঁচে আছেন এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। তার কারণ হচ্ছে এখন পর্যন্ত সরাসরি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এমন ঔষধ কোন বিজ্ঞানী বা কোন ডাক্তার আবিষ্কার করতে পারেনি এবং এটা এখন পর্যন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর এখন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যে চিকিৎসাগুলো করা হয় সেগুলো অনেক ব্যয়বহুল যা সাধারন মানুষের পক্ষে করানো সম্ভব নয়।
ক্যান্সারের ক্ষেত্রে আরেকটি জটিল সমস্যা হচ্ছে বাইরে থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ক্যান্সার গুলো জানা যায় বা ধরা পড়ে তাহলে কিছু চিকিৎসা আছে যার মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায়। যারা কোলন ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছেন এবং কোলন ক্যান্সারের ছবি সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য উদাহরণস্বরূপ আমরা কিছু ছবি সংগ্রহ করেছি। আপনারা চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলের লিংক ব্যবহার করে অর্থাৎ ww.google.com ব্যবহার করে আপনারা কোলন ক্যান্সারের ছবিগুলো সংগ্রহ করতে পারেন।
তবে আরো যদি ভালোভাবে আপনারা এই ক্যান্সার সম্পর্কে বুঝতে চান তাহলে আপনারা আপনাদের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করে ইউটিউব এর মাধ্যমে এনিমেশন ভিডিও দেখে এই ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা পাবেন। আমরা কিছু এনিমেশন ভিডিওর লিংক শেয়ার করব আশা করছি আপনারা সেখান থেকে অ্যানিমেশন ভিডিওর মাধ্যমে কোলন ক্যান্সারের অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন যেটা একেবারেই বাস্তবিক।
কোলন ক্যান্সার কি
কোলন ক্যান্সার সহজ ভাষায় বলতে গেলে মলদ্বারে ক্যান্সার। যারা কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে তারাই কেবল এর কষ্ট সম্পর্কে বলতে পারবে। এই ক্যান্সারের সবথেকে খারাপ দিক হলো প্রাথমিক পর্যায়ে এটা বুঝতে পারা যায় না আস্তে আস্তে এমন পর্যায়ে এটা বুঝতে পারা যায় যে পর্যায়ে চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে যায় এবং সেটা অত্যন্ত উচ্চমানের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।সাধারণত বিভিন্ন কারণে এই ক্যান্সার হতে পারে তার প্রধান কারণ হচ্ছে পাইলস। পাইলশে আক্রান্ত রোগীদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কষ্ট করতে হয় এবং সেই কষ্টের কারণেই আস্তে আস্তে যদি সেটা ইনফেকশনের রূপ নেয় তাহলে সেখান থেকে কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া আরো অনেক কারণ রয়েছে যার কারণে একজন রোগীর কোলন ক্যান্সার হতে পারে।
কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ
কোন ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে প্রথমে যেটা ধরা দেয় সেটা হচ্ছে মলদ্বার থেকে রক্ত পড়া। যাদের পাইলস আছে তাদের স্বাভাবিকভাবেই মলদ্বারে রক্ত পড়তে থাকে তাই তারা বুঝতে পারে না এটা পাইলসের জন্য রক্তক্ষরণ না ভেতরে ইনফেকশনের কারণে ক্যান্সার হয়ে গেছে তার কারণে রক্তক্ষরণ।এরপরে যে লক্ষণ দেখা দেয় সেটা হচ্ছে অনিয়মিত পায়খানা অর্থাৎ কোন কোন সময় হঠাৎ করে ডায়রিয়া আবার কোন কোন সময় কষা পায়খানা। পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া থেকে শুরু করে অত্যন্ত জলা এটা হচ্ছে কোলন ক্যান্সারের আরও একটি প্রাথমিক লক্ষণ।অনেক রোগী চিকিৎসকের কাছে আসে তলপেটে ব্যথা নিয়ে এটাও করুন ক্যান্সারের আরো একটি লক্ষণ। তলপেটে ব্যথার পাশাপাশি দেখা যায় যে রোগীর রক্তশূন্যতা রয়েছে এবং সেখান থেকে ডাক্তারেরা ধারণা করে যে তার শরীর থেকে রক্ত কোন না কোন পথে বেরিয়ে যাচ্ছে।
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা
করুন ক্যান্সারের বর্তমানে অত্যাধুনিক চিকিৎসা আছে তবে সেটা নিশ্চিত করছে রোগ নির্ণয়ের পর্যায়ে পর্যন্ত। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে এমন একটি পরিস্থিতিতে ক্যান্সার ধরা পরল যেখানে চিকিৎসা করে কোন লাভ হবে না সেখানে এই চিকিৎসার কোন দরকার নেই। তবে অবশ্যই এমন কিছু পর্যায়ে আছে যে এই পর্যায়ে নিয়মিত চিকিৎসা এবং ল্যাপারোস কপি সার্জারির মাধ্যমে অপারেশন করে এই ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আশা করছি বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদের ভালো একটি ধারণা হয়েছে।