একজন ব্যক্তির কোলন ক্যান্সার হয়েছে সে কিভাবে বুঝবে তার এই ক্যান্সার হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের নিজের শরীরের উপর একটি নিয়ন্ত্রণ আছে । আমাদের খুদা লাগলে আমরা বুঝতে পারি আমাদের শরীর খারাপ হলে আমরা বুঝতে পারি এবং আমরা এমনকি এটাও বুঝতে পারে আমাদের কখন ঘুমাতে যেতে হবে। আমরা যখন এই বিষয়গুলো বুঝতে পারি তখন শরীরে যদি কোন অসুখ হয় সেটাও আমরা বুঝতে পারবো।তবে কোলন ক্যান্সার এমন একটি জটিল সমস্যা যেটা বুঝতে একটু দেরি হয় এবং এটা বোঝার জন্য নিজে থেকে বড় ডাক্তার আর নেই। রোগীকে নিজে কিছু উপসর্গের মাধ্যমে উপলব্ধি করতে হবে করুন ক্যান্সার হয়েছে কিনা তার মধ্যে মলদ্বারের বিভিন্ন সমস্যা অন্যতম।
কোলন ক্যান্সার হলে কিভাবে বুঝবেন
সবার প্রথমে রোগী যেভাবে বুঝতে পারবে তার কোলন ক্যান্সার হয়েছে সেটা হচ্ছে তার মলদ্বারে যদি কোন সমস্যা হয় যেমন অনিয়ন্ত্রিত মলত্যাগ। যেখানে প্রতিদিন দুইবার করে মলত্যাগ করতেন সেখানে হঠাৎ করে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং সেটা খুব খারাপ কোষ্ঠকাঠিন্য এর পাশাপাশি হঠাৎ করে আবার পাতলা পায়খানা হওয়া কোলন ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।কিছুদিন পরে পায়খানার দ্বারে জ্বালাপোড়া এবং রক্তক্ষরণ এবং সেটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাওয়া বলুন ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ এবং পায়খানার পরিমাণ কমে আসা কোলন ক্যান্সারের আরো কিছু লক্ষণ।
অনেক সময় রোগীর তলপেটে ব্যথা হতে পারে কোলন ক্যান্সারের কারণে এবং অনেক সময় দেখা যায় যে রোগীর ওপর পেটে ব্যথা সহ বমি হতে পারে বলুন ক্যান্সারের কারণে।কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ দেখা দিতে পারে বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে। তার কারণ হচ্ছে বয়স্কদের শরীরের রক্তশূন্যতা এমনিই থাকে তার ওপর যদি মলত্যাগের মাধ্যমে মলদ্বার দিয়ে প্রচুর পরিমাণে রক্ত বের হয়ে যায় সেটা রক্তশূন্যতার অন্যতম কারণ।রক্তশূন্যতার পাশাপাশি শারীরিক দুর্বলতা এবং ক্ষুধামন্দা সৃষ্টি হওয়া করুন ক্যান্সারের আরো একটি বড় লক্ষণ।যখন একজন সুস্থ মানুষের হঠাৎ করে এই সমস্যাগুলো দেখা দিবে তখন ধারণা করে নেওয়া হয় তার কোলন ক্যান্সার হয়েছে তবে এটা নিশ্চিত করতে অবশ্যই কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে যেটা আমরা নিচে উল্লেখ করলাম।
কোলন ক্যান্সারের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা
ক্যান্সার সাংঘাতিক একটি রোগ এবং ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখার পরে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য যে পরীক্ষাগুলো করতে হবে সেগুলো হচ্ছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রথমত কোলোনোস্কোপি এবং বায়োপসির মাধ্যমে এখানে ইনফেকশন নির্ণয় করা হয় এবং পরবর্তীতে সিটি স্ক্যান করা হয়। এখান থেকে ক্যান্সার এবং ইনফেকশনের পরিমাণ দেখা যায় যেটা চিকিৎসা জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার।
তবে এরপরে আরো কিছু পরীক্ষা করতে হয় যেমন রক্তে এন্টিজেনের পরীক্ষা যার মাধ্যমে ক্যান্সারের পরিমাপ নির্ণয় করা হয় অর্থাৎ এই ক্যান্সারের জীবাণু রোগীর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এবং রক্তে পৌঁছে গিয়েছে কিনা সেটা নির্ণয় করা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ধাপগুলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হচ্ছে প্রাথমিক ধাপে যদি হয় তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা যাবে এবং সেটা হবে সন্তোষজনক। যদি এর ধরন স্টেজ তিন অথবা স্টেজ চার হয় তাহলে চিকিৎসার পরবর্তী ফলাফল আসা প্রদো হয় না।
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা
কোন ক্যান্সারে চিকিৎসা বলতে এক কথায় অপারেশন। অপারেশনের আগে কেমোথেরাপি দেওয়া হয় এবং অপারেশনের পরে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। তবে অপারেশনের সময় রেডিও থেরাপি যা দেওয়া যাবে কিনা সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত গবেষণা চলছে তার সঠিক সমাধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে অত্যাধুনিক ল্যাপরোস্কপি সার্জারির মাধ্যমে পেট না কেটে মলদ্বার না অপসারণ করেই কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা অপারেশন করা হয় যেটা সত্যি প্রশংসনীয়। তবে এর জন্য রোগীর প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ স্টেজ ওয়ান অথবা স্টেদ টু এর ক্যান্সার থাকতে হবে তাহলে সে সুস্থ হতে পারবে।