হেপাটাইটিস বি ও তথ্য সাংঘাতিক একটি সমস্যা। এটা ভাইরাসের মাধ্যমে বিভিন্ন শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে আমাদের অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় তাই আগে থেকে যদি এ বিষয়ে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য ভালো। হেপাটাইটিস বি রোগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অবস্থানে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হয় কিন্তু যারা এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি তারা কোন টেস্টের মাধ্যমে এই সম্পর্কে জানতে পারবেন সে সম্পর্কে আজকে জানব। হেপাটাইটিস বি টেস্ট এর জন্য বড় কোন পরীক্ষা করা হয় না এটা একেবারে সাধারণ পরীক্ষা।
সাধারণ একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি সম্পর্কে জানা যায় এবং পরীক্ষা করা যায়। আপনি যে কোন প্রতিষ্ঠানে বা যে কোন প্যাথলজিক্যাল ল্যাব হেপাটাইটিস বি পরীক্ষা টেস্ট পেয়ে যাবেন এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেই টেস্টের রেজাল্ট দেওয়া হয়। সাধারণত একটি ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয় যে পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষার মান পজেটিভ না নেগেটিভ সেটা নিশ্চিত হয়।
যারা হেপাটাইটিস বিভাগ আছে আক্রান্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে এই রেজাল্টের মান পজেটিভ এবং যারা এর আগে আক্রান্ত নয় তাদের ক্ষেত্রে এর মান পজেটিভ আসবেনা। যারা চিন্তায় আছেন এই পরীক্ষা করতে অনেক বেশি খরচ হয় তাদেরকে বলবো কোন ধরনের চিন্তা করার কোন কারনে তার কারণ হচ্ছে এই টেস্ট করতে খুব বেশি খরচ হয় না। সাধারণত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে এই টেস্ট করতে খুব বেশি হলে আপনার খরচ হতে পারে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা।
যারা এখন পর্যন্ত হেপাটাইটিস বি ভাইরাস এর টেস্টের নাম সম্পর্কে অবগত নন তাদের জন্য আমরা এটা সহজ করে দিচ্ছি।HBsAG হচ্ছে হেপাটাইটিস টেস্টের নাম। হেপাটাইটিস টেস্ট করিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময় আপনাকে এই টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত নিজের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য।
হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যাবে
সাধারণত এই ভ্যাকসিন আপনি বেসরকারিভাবে কোথাও পাবেন না এই ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে হলে আপনাকে সরকারিভাবে যোগাযোগ করতে হবে। সাধারণত সরকারিভাবে বিভাগীয় যে হাসপাতালগুলো রয়েছে সে হাসপাতালগুলোতে যোগাযোগ করলে আপনি হেপাটাইটিস বিয়ের ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হেপাটাইটিস এর সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে তারা বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই ভাইরাস নির্মূলের জন্য ভ্যাকসিন প্রদান করে।
হেপাটাইটিস বি এর প্রতিরোধ
হেপাটাইটিস বি ভাইরাস প্রতিরোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে এটা প্রতিরোধ করতে পারলে আপনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেন। আপনি হেপাটাইটিস বি ভাইরা যতটা ভালোভাবে প্রতিরোধ করতে পারবেন আপনি ততটাই সুস্থ থাকবেন বলে আমি মনে করি। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই আমাদের পরিবার এবং সমাজের মধ্যে। আমরা যতটা ভালোভাবে এর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারব ততটাই রোগ আমাদের সমাজ থেকে কমতে শুরু করবে তাই অবশ্যই এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
হেপাটাইটিস বি হওয়ার লক্ষণ
যাদের হেপাটাইটিস বি হয়েছে সাধারণত যে লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে সেটা বুঝতে পারা যায় সেটা হচ্ছে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা। অতিরিক্ত ক্লান্তির সঙ্গে বমি ভাব এবং পেটে ব্যথা হতে পারে হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে এ ছাড়াও চোখে হলদে হয়ে যাওয়ার মতন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ঘন ঘন জ্বর এবং মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত রোগীদের। শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে চুলকানি । সাধারণত যাদের শরীরে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায় তারা অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। আপনারা যতটা বেশি সচেতন হবেন এ বিষয়ে ততটাই সুস্থ থাকতে পারবেন। আশা করছি এ বিষয়ে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আপনারা সেটা আমাদের অবগত করবেন।