সাধারণত আমরা যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সে খাবারগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাবার হয়ে থাকে কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু রোগ এমন আছে যেখানে বিশেষ কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। আপনার যদি কিডনি জনিত কোন রোগ হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিন্তাভাবনা করে খাবার খেতে হবে। আপনি যদি চিন্তাভাবনা করে খাবার খান তাহলে কিডনি রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই জানাশোনার ব্যাপার আছে।
কিডনিতে যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যেটা সকলের জন্যই খারাপ দিক। যে সমস্যার কারণে এটা বেড়ে যায় সেই সমস্যার সমাধান করলেই এটা আবার সঠিক স্থানে ফিরে আসে তবে এর জন্য আমাদের সঠিক খাবার খেতে হবে।সবার প্রথমে মাথায় রাখতে হবে যাতে প্রোটিনে লাগাম পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য দরকারি হলেও চেষ্টা করতে হবে পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন খেতে। আপনারা যারা পরিণত পরিমাণে প্রোটিন খান তাদের অতিরিক্ত প্রোটিন খাবার প্রয়োজনীয়তা নেই এই সময়।কিডনি সমস্যা থাকলে আর জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে তার কারণ হচ্ছে এই আস জাতীয় খাবার শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে তাই চেষ্টা করতে হবে বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার যেমন ফলমূল ও শাকসবজি খেতে।
কিডনির সমস্যা হলে আরেকটি বিষয় খুব গুরুত্ব সহকারে দেখতে হয় সেটা হচ্ছে পানি। এটা এমন একটি সমস্যা যেখানে পানি অতিরিক্ত খেলেও আপনার কিডনিতে সমস্যা হতে পারে অথবা আপনি যদি অল্প পরিমাণে পানি খান তাহলে সেটাও আপনার কিডনির সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে 10 থেকে 12 ক্লাস পানি খেতে হবে প্রতিদিন এটা একটি সঠিক মাত্রা যেটা আপনার কিডনিকে খুব সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে।আমরা অনেকেই জানিনা লবণে উপস্থিত থাকা সোডিয়াম কিডনির পাথর তৈরি হতে সাহায্য করে। তাই যতটা সম্ভব আমাদের এই লবণ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে একেবারেই অল্প অল্প করে কমাতে কমাতে লবণ খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারলে সবথেকে ভালো হয়।
কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের কোনোভাবেই অ্যালকোহল সেবন করা যাবে না।এমনিতেই ভালো জিনিস গুলোই এই সময়ে খারাপ প্রভাব ফেলে তারপরে যদি আপনি যদি অ্যালকোহল খান তাহলে সেটা আপনার কিডনিকে আরো বেশি প্রভাবিত করবে এবং কিডনির অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাবে।
ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে
এটা বাড়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে এবং প্রত্যেকটি কারণে কিডনির রোগ রিলেটেড। কিডনিতে যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে স্বাভাবিকভাবে এটা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই কিডনির সমস্যা গুলো আগে চিহ্নিত করতে হবে অর্থাৎ রক্তে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেয়েছে কিডনির কোন সমস্যার কারণে সেটা আপনাকে সবার প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে। আপনি যদি এটা খুঁজে বের করতে না পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর হোমিও ঔষধ
ইদানিংকালে কিডনির বিভিন্ন সমস্যার জন্য হোমিও ঔষধ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। আমি দুই তিনজন ইউরোলজিস্ট চিকিৎসকের সঙ্গে হোমিও ঔষধ নিয়ে পরামর্শ করেছে এবং তাদের ভাষ্যমতে হোমিও ঔষধ এ কোন ধরনের কাজ হয় না। তারা এটাও বলেছেন যে প্রতিদিন তাদের চেম্বারে কিছু না হলেও পাঁচটি রোগী এমন আসে যারা প্রায় এক থেকে দুই বছর ধরে চিকিৎসার জন্য হোমিও ঔষধ ব্যবহার করেছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি।হতে পারে হোমিও ঔষধের মাধ্যমে দু একজন রোগীর চিকিৎসা হয়েছে কিন্তু সকল রোগী যে হোমিও ঔষধের মাধ্যমে সুস্থ হতে পারবে এর গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঔষধ
এটা কমানোর সরাসরি কোন ঔষধ নেই অর্থাৎ কিডনিতে যদি সমস্যা হয় তাহলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায়। কিডনির যে সমস্যার কারণে রক্তে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায় সে সমস্যার সমাধান করলেই আবার ক্রিয়েটিনিন কমে আসতে শুরু করে এবং নরমাল হয়ে যায়।