অসুস্থ হওয়ার পরে আমরা একটু বেশি চিন্তায় পড়ে যায় তার কারণ হচ্ছে বিভিন্ন জনের মতামত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। মূলত সকলেই অসুস্থ মানুষকে একটু সহায়তা বা সাহায্য করার জন্য নিজের মতামত পোষণ করে কিন্তু বিভিন্ন জনের মতামত বিভিন্ন হওয়ার কারণে অসুস্থ ব্যক্তি পড়ে যায় একটি বড় ঝামেলায়। এই তো কিছুদিন আগের কথা একজন কিডনির সমস্যার রোগী যখন কারো কাছে সমাধান চায় তাহলে তাকে প্রায় চার-পাঁচটি সমাধান দেওয়া হয় চার-পাঁচ পক্ষ থেকে। সে এখন ভেবে পায় না কোন সমাধানটি সে খুঁজে নেবে এটা করতে করতে সে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যায়।
বর্তমানকালে কিডনি চিকিৎসার জন্য হোমিও ঔষধের ব্যবহার এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক যুগে হোমিও ঔষধের প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি পাওয়া এবং চিকিৎসকের শতভাগ চিকিৎসার গ্যারান্টি দেওয়ার কারণে মূলত এই হোমিও ঔষধের বিস্তার লাভ করছে। অনেকেই এই হোমিও ঔষধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন আবার অনেকেই রয়েছে যারা হোমিও ঔষধ খাওয়ার পরে তাদের অবস্থার উন্নতি হয়নি বরং অবনতি হয়েছে। হোমিও ঔষধের মাধ্যমে কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করার সম্ভাবনা খুব কম থাকে এবং যাদের এটা সফলভাবে কাজ করে তারাই কেবলমাত্র এটার উপর বিশ্বাস রাখতে পারে।
যারা কিডনি রোগের সমাধানের জন্য হোমিও ঔষধ খাওয়ার চিন্তা করছেন তাদেরকে বলব আপনার সঠিক রোগ নির্ণয় করুন আগে। এবং আপনি যদি হোমে ওষুধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে খুব বড় পরিকল্পনা না করেন সব সময় দুইটি পরিকল্পনার সাথে থাকুন সেটা হচ্ছে হোমিও ঔষধ অল্প সময়ের মধ্যে খেয়ে দেখুন আপনার কাজ বা উন্নতি হচ্ছে কিনা। তা না হলে দেরি না করে ঝটপট চিকিসকের পরামর্শ নিন প্রয়োজন পড়লে অপারেশন করে ফেলুন তার কারণ হচ্ছে কিডনি একবার ড্যামেজ হওয়া শুরু করলে সেটা ২৪ ঘন্টার মধ্যেও পুরোপুরি ড্যামেজ হতে পারে
কিডনিতে পাথর হলে কি করা যায়
কিনেতে পাথর হলে কি করবেন এরকম দোটানে অনেকেই পড়ে যান। সবার প্রথম এবং সবথেকে সঠিক কাজ হচ্ছে সঠিক রোগ নির্ণয়। কিডনিতে পাথর বলতে পাথরের অবস্থান কোথায় এবং পাথরের সাইজ কতটুকু এবং কয়টি পাথর আছে এ বিষয়গুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করার পরেই চিকিৎসার কথা চিন্তা করতে হবে। যখন এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করবেন তখন এগুলো দেখেই বোঝা যাবে কোন চিকিৎসার প্রয়োজন এটা অনেক সহজ ব্যাপার।যাদের কিডনির পাথরের সংখ্যা ১ এর অধিক এবং পাথরের সাইজ অনেক বড় তাদের অপারেশনের বিকল্প নেই। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্ভব হলে দু একদিনের মধ্যে অথবা সর্বোচ্চ 15 দিনের মধ্যে ল্যাবরোস্কপে সার্জারির মাধ্যমে এই পাথরগুলো অপসারণ করে নিন।
তবে হ্যাঁ কিডনির পাথরগুলোর স্থায়ী যদি একেবারে ছোট হয় তাহলে আপনাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে এবং ঔষধ সেবন করতে হবে। ঔষধ এবং শারীরিক পরিশ্রম ভাব ব্যায়াম লাফালাফি ইত্যাদির মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে যেন সেই পাথরগুলো নিজে থেকেই প্রস্রাবের দ্বার বেয়ে বেরিয়ে যায়। এটা আপনি যদি করতে পারেন সেটা সত্যি অবাক করা ঘটনা হবে যেটা অনেকেই করছে।
কিডনিতে পাথর হয়েছে কিভাবে বুঝব
শরীরে কোন ধরনের সমস্যা হলে সে ব্যক্তি নিজে থেকেই বুঝতে পারে কোন সমস্যা হয়েছে তবে কি সমস্যা হয়েছে সেটা নিশ্চিত করতে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। বেঁচে যদি পাথর হয় স্বাভাবিকভাবে কোমরে ব্যথা হবে এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং অনেক সময় প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতন প্রবণতা হতে পারে। ঠিক এই সময় নিশ্চিত করার জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হন আপনার কি নিতে পাথর হয়েছে কিনা। এ বিষয়গুলো ছোটখাটো বিষয় নয় অনেক বড় বিষয় ।তাই অনেক বিষয়গুলো একসঙ্গে করেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।