আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গের নাম হচ্ছে কিডনি। যখন এই কিডনিতে কোন সমস্যা হয় তখন আমরা অবশ্যই সেটা উপলব্ধি করতে পারি। কিডনি সমস্যা গুলো এতটাই প্রকোপ আকার ধারণ করতে পারে যে তার কারণে পুরো শরীর অচল হয়ে যেতে পারে। আর কিডনির সমস্যা নির্ণয়ের জন্য সবার প্রথমে যে টেস্ট আমাদের করতে বলা হয় সেটা হচ্ছে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির সমস্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
কিডনিতে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে সেটা নিশ্চিত করা যায়। তবে অনেকের মনে এই পরীক্ষা সম্পর্কে অনেক ধরনের ভুল ধারণা আছে। যেমন মনে করুন অনেকেই মনে করে কিডনিতে সমস্যা হলে যে পরীক্ষা করা হয় তার খরচ অনেক বেশি। কিন্তু আপনারা আপাত দৃষ্টিতে যদি একটু খোঁজখবর নিয়ে দেখেন তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে যে পরীক্ষা করা হয় সে পরীক্ষার খরচ একেবারেই কম।
কিডনি পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগে
কিডনি পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে যেটা করা হয় সেটাতে খুব বেশি খরচ হয় না। মনে করুন কিছু লক্ষণ নিয়ে যখন একজন ঢুকে চিকিৎসকের কাছে যায় তখন চিকিৎসক অবশ্যই তাকে কিছু স্বাভাবিক পরীক্ষা করতে বলেন। এ স্বাভাবিক পরীক্ষাগুলো করতে খুব বেশি খরচ হয় না। সাধারণত দুইটি পরীক্ষা করতে বলেন চিকিৎসকেরা এবং এই দুটি পরীক্ষার মধ্যে একটি হচ্ছে প্রস্রাবের পরীক্ষা এবং অপরটি হচ্ছে রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা। এই দুইটি পরীক্ষা করতে খুব বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়।
প্রসবের ইনফেকশন পরীক্ষা করতে ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা খরচ হতে পারে বিভিন্ন হাসপাতাল বা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে। আর রক্তের পরীক্ষাটা সম্পূর্ণ করতে ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মত খরচ হতে পারে। সত্যিই এই পরীক্ষাগুলার মাধ্যমে কিডনির সমস্যা খুব সহজেই বের করা যায়। যাদের প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ গুলো থাকে তারা এই টেস্টের মাধ্যমে কিডনির সমস্যা আছে কিনা সেটা খুব সহজে বুঝতে পারেন। তবে এটা শুধুমাত্র শেষ পরীক্ষা এমন নয়।
খুব বেশি সমস্যা যদি না মনে হয় তাহলে প্রাথমিক চিকিৎসাতেই রোগী সুস্থ হতে পারেন। তবে যদি এই সমস্যার পরিধি অনেক বড় হয় তাহলে আরো বড় বড় পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এই পরীক্ষাগুলার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে এটা বোঝা যায় কিডনিতে কি সমস্যা হয়েছে যেমন মনে করুন কিডনিতে পাথর হয়েছে না কিডনি ফুলে আছে। আমরা যদি পরীক্ষার খরচের দিকে তাকায় তাহলে খরচের কাছে যে সুবিধা পাওয়া যায় সেটা কিছুই না।
কিডনি পরীক্ষা কিভাবে করে
কিডনি পরীক্ষা সম্পর্কে অনেকের অনেক ধরনের ভুল ধারণা আছে। নিজের যে পরীক্ষাগুলো রয়েছে তার প্রত্যেকটি একেবারে সহজ পরীক্ষা এখানে রোগীকে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। অনেকেই মনে করেন কিডনি পরীক্ষা গুলো অনেক কষ্ট করতে হয় রোগীকে তবে এটা ভুল ধারণা কিডনি পরীক্ষা সাধারণত রক্তের মাধ্যমে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে করা হয়। যদি বড় কোন ধরনের সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফি এবং এক্সরে ব্যবহার করা হয় কিডনির সমস্যা খুঁজে বের করার জন্য।
কিডনির পরীক্ষার প্রস্তুতি
কিডনির পরীক্ষাগুলো করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। মনে করুন আপনার কিডনিতে পাথর হয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনার আল্টাসনোগ্রাফি করাতে হবে এখানে শুধুমাত্র আলট্রাসনোগ্রাফির যে প্রস্তুতি সেটা আপনাকে নিতে হবে আলাদা কোন প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিডনির পরীক্ষার ক্ষেত্রে রক্তের টেস্ট অথবা প্রস্রাবের টেস্ট করার ক্ষেত্রেও কোন ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন পড়ে না এছাড়াও এক্স এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না।।তবে কিডনিরে বড় যে পরীক্ষা অর্থাৎ আই ভি ইউ এই পরীক্ষা করাতে গেলে রোগীদের অবশ্যই প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে সেই ক্ষেত্রে ল্যাবে উপস্থিত চিকিৎসকেরা দিকনির্দেশনা দেবেন রোগীদের কিভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।