ডিএনএ টেস্ট বিষয়টি অনেকের মাথায় ঢুকতে চায় না। সাধারণত অনেকেই বুঝতে পারে না এই ডিএনএ টেস্ট কি এবং এটা কিভাবে করানো হয়। আজকে আমরা চেষ্টা করব এই ডিএনএ টেস্ট কিভাবে করানো হয় এবং এটা কি এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে। বর্তমান যুগে এই ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন কতটা রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হলে আপনার অবশ্যই আমাদের এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন। অবশ্যই ডিএনএ টেস্ট কাকে বলে বা এর ধরন কি এবং এটা কিভাবে করা হয় এ সম্পর্কে জানতে পারলে আপনারা বুঝতে পারবেন ডিএনএ টেস্ট সম্পর্কে খুঁটিটাকে অনেক তথ্য।
সাধারণত আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি এখানে ডিএনএ এর গঠন উপর নির্ভর করে কোন ব্যক্তিকে স্বরনাক্ত করার কৌশল কেই বলা হয়ে থাকে ডিএনএ টেস্ট। সাধারণত ডিএনএ প্রোফাইলে বা জেনেটিক ফিঙ্গারপ্রিন্টিং ও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত ৯৮৪ সালের ইংল্যান্ডের একটি গবেষণা থেকে এই ডিএনএ সম্পর্কে বা ডিএনএ প্রোফাইল লিংক সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায় এবং বর্তমানে এটা ফরেনসিক বিজ্ঞানীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই একজন ব্যক্তির পরিচয় খুঁজে বের করা যায়।
ডি এন এ টেস্ট করতে কত টাকা লাগে
ডিএনএ টেস্ট করতে কত টাকা লাগে এ প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলতে হয় যে বেসরকারিভাবে দেশের বাইরে থেকে করাতে পারবেন এর খরচ হবে 25000 টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকার মত। তবে আপনি যদি ডিএনএ টেস্ট দেশের অভ্যন্তরে করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকার মত। ডিএনএ টেস্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য করানো হয় তাই ডিএনএ টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে এটা করাতে চান তাহলে আপনার প্রচুর কাগজপথে জমা দিতে হবে।
টেস্টের মাধ্যমে পিতৃপরিচয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায়
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহের পরে সেটার সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে এই বিষয়টি খুঁজে বের করে সাধারণত পিতৃপরিচয় খুঁজে বের করা হয়। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্ট করানো হয় বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে।মনে করুন মরদেহের পরিচয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা সম্ভব না গেলে তার শরীর থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয় এবং এই আলামতের ডিএনএ টেস্ট করে এবং সম্ভাব্য নিহতের ব্যক্তিদের আলামত সংগ্রহ করে মিলিয়ে দেখতে হয় ডিএনএ কার সঙ্গে কোনটা মিলছে এভাবে যার সঙ্গে ডিএনএ মিলবে তার সঙ্গে মৃত ব্যক্তির বিভিন্ন মিল খুঁজে দেখা হয় এভাবে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
নমুনা হিসেবে এই ক্ষেত্রে ভিকটিম বা মানব দেহের দাঁত এবং হাড়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অপরদিকে ভিকটিমের পরিবার বা স্বজনের রক্ত বা মুখের লালা সংগ্রহ করা হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে সঠিক পরীক্ষা করার জন্য অনেক ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত এই ভাবেই মূলত ডিএনএ টেস্ট করা হয় এবং এই টেস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়।
ডিএনএ টেস্ট কেন এত গুরুত্বপূর্ণ
ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় তাই এটাকে গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়। যেমন যে এন এ টেস্টের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করা যায় যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে অপরাধকারীকে শনাক্ত করা যায় খুব সহজে। এছাড়াও যারা ধর্ষণের শিকার হন তাদের ক্ষেত্রে কারা ধর্ষণ করেছে এই বিষয়টি নির্বাচনের জন্য ডিএনএ টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্ট। এছাড়াও ব্যতিক্রম ধর্মীভাবে বিশ্বে পিতৃ পরিচয় এর জন্য ডিএনএ টেস্ট এর ব্যবহার করা হয় তবে এটা সাধারণ পর্যায়ে করা সম্ভব নয় এর জন্য প্রচুর পরিমাণে কাগজ পাতির প্রয়োজন হয় এবং আইনি লড়াই করতে হয়। আইনি লড়াই করার পরে যদি অনুমতি পাওয়া যায় তখন আপনি ডিএনএ টেস্ট করাতে পারবেন।