সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি রোগ। এ রোগে যারা আক্রান্ত হন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মৃত্যুবরণ করেন। তবে ব্লাড ক্যান্সার রোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সবার প্রথমে জানতে পারা এই ক্যান্সার হয়েছে। ক্যান্সার সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা থাকে তাহলে অবশ্যই সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসায় রোগীকে সুস্থ করা যায়। তবে খুব অল্প পরিমাণ রোগী এটা বুঝতে পারেন যার কারণে তারা সুস্থ হতে পারেন অধিকাংশ লোকের ক্ষেত্রেই এটা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কিত বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল সাজানো হয়েছে। আপনার যদি খুঁটিনাটি এই তথ্যগুলো আমাদের এই আর্টিকেলে দেখতে চান তাহলে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব ব্লাড ক্যান্সার সাধারণত কোন কোন কারণে হতে পারে বা এই ব্লাড ক্যান্সার হলে কিভাবে সেটার চিকিৎসা করে সে সম্পর্কে। আপনারা যদি আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে সেটা খুবই ভালো হয়।
ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিভাবে বুঝবেন
ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে এটা বুঝবেন কিভাবে অবশ্যই কিছু উপসর্গ আছে যে উপসর্গের মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা। প্রাথমিক পর্যায়ে এই উপসর্গ গুলো যদি আপনি চিহ্নিত করতে পারেন তাহলে খুবই ভালো তবে যদি আপনি এই উপসর্গ বা লক্ষণগুলো চিহ্নিত না করতে পারেন তাহলে সেটা খুব দুঃখজনক। ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু সমস্যা আগে থেকেই বুঝতে পারবেন যে সমস্যাগুলো আস্তে আস্তে বড় হবে।
সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়লে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং রক্তশূন্যতা এতটাই গুরুতর হয় যে এই অবস্থাতে রোগীর শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যায় এবং রোগীর চেহারা ফ্যাকাস হয়ে যায়। সে রোগী কিছু খেতে পারে না অর্থাৎ খাওয়ার প্রতি তার রুচি কমে যায় এবং এ অবস্থাতে হঠাৎ করে তার ওজন হ্রাস পেয়ে যায়। এছাড়াও ঘন ঘন জ্বর বা দীর্ঘদিন ধরে জ্বর লেগেই থাকতে পারে ব্লাড ক্যান্সারের কারণে।
হঠাৎ করে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ এবং ওজন কমে যাওয়া থেকে শুরু করে হাড়ের বিভিন্ন জায়গাতে ব্যথা করা হতে পারে ব্লাড ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ। এই সমস্যাগুলো যদি একইসঙ্গে ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্লাড ক্যান্সারের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত এটাই উত্তম পন্থা।
ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা
বাট ক্যান্সারে চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং এই চিকিৎসার জন্য একজন রোগীকে অনেক কিছু করতে হয়। সাধারণত সঠিকভাবে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হলে ব্লাড ক্যান্সার ভালো হতে পারে তবে সেটা নির্ভর করছে ব্লাড ক্যান্সারের স্টেজ এর ওপর যে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় প্রথমে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যখন নিশ্চিত হওয়া যায় ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে তখন অবশ্যই চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
ব্লাড ক্যান্সার রোগে সচেতনতা
ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতনতা সবথেকে বড় জিনিস। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরে বেশিরভাগ মানুষই আস্তে আস্তে মৃত্যুবরণ করেন তাই আগে থেকে যদি আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি করি তাহলে এই ক্যান্সারের প্রতিরোধ আমরা আমাদের মধ্যে গড়ে তুলতে পারবো। সব সময় নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা এবং খাবার সময় ভালো খাবার গুলো খাওয়ার অভ্যাস যদি আমরা গড়ে তুলতে পারি তাহলে অবশ্যই এই ক্যান্সার আগে থেকেই আমরা প্রতিরোধ করতে পারব।
এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো একেবারে বর্জন করা উচিত এই ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য। সব মিলিয়ে আমরা যদি নিজের পরিবার এবং সমাজের মধ্যে এই ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে আস্তে আস্তে বাংলাদেশের বুকে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা কমে আসবে। এইভাবে একদিন বাংলাদেশ ক্যান্সার মুক্ত দেশের পরিণত হতে পারে যদি কিনা আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি নিজেদের পরিবার ও নিজেদের সমাজের মধ্যে।