ক্যান্সার এমন একটি রোগ যেটা থেকে মুক্তি পাওয়া মানে অনেক বড় ব্যাপার বলতে গেলে সৃষ্টিকর্তা নিজে হাতে আপনাকে এখান থেকে মুক্তি দেবেন তাছাড়া উপায় নেই মুক্তি পাওয়ার। আল্লাহতালার সৃষ্টি করা এই পৃথিবীতে বহু রোগ আছে কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রায় প্রত্যেকটি রোগের ঔষধ বের হয়েছে কিন্তু একটিমাত্র রোগের ঔষধ বের হয়নি সেটা হচ্ছে ক্যান্সার। আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্যই হয়তো এই বড় রোগ পৃথিবীতে এনেছেন।
আজকে আমরা কথা বলব ক্যান্সার ভালো হওয়া নিয়ে। ক্যান্সার রোগ সত্যি যদি ভালো হয় তাহলে কেন অনেক রোগী মারা যায় এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। ক্যান্সার রোগ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে দু-একটা কথাতে এই আলোচনা শেষ করলে হবে না তার কারণ হচ্ছে এখানে অনেক কিছু বোঝার আছে। অবশ্যই ক্যান্সার রোগ ভালো হয় এবং আল্লাহ তা’আলা যার উপর মুখ তুলে তাকান সে অবশ্যই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসতে পারে।
তবে এর জন্য অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা। সবার প্রথমে উপসর্গের মাধ্যমে যদি এটা বোঝা যায় যে ক্যান্সার হয়েছে তাহলে বাড়িতে বসে না থেকে ঝটপট চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে ক্যান্সার হয়েছে কিনা। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমরা প্রত্যেকেই এই উপসর্গ বা লক্ষণগুলোকে অবহেলা করি মনে করে এগুলো সাধারণ সমস্যা যার কারণে ক্যান্সার আস্তে আস্তে তার বিস্তার বাড়িই চলে এবং এমন সময় এই রোগ গুলো ধরা পড়ে যেখানে চিকিৎসা করে কোন উপায় হয় না।
প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে ক্যান্সার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা যাবে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার বলতে স্টেজ ওয়ান এবং স্টেজ টু ক্যান্সার কে বলা হয়েছে।কোন রোগীর ক্যান্সার পরীক্ষার মাধ্যমে যদি এটা নিশ্চিত করা যায় যে সে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আছে তাহলে বেশ কয়েকটি চিকিৎসার সমন্বয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে ক্যান্সার থেকে ১০০% সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেলা যাবে।
ক্যান্সার রোগের পরীক্ষা
ক্যান্সার রোগের জন্য যে পরীক্ষাগুলো করা হয় সেগুলো সম্পূর্ণ নির্ভর করে কোথায় ক্যান্সার হয়েছে তার ওপর। সাধারণত ক্যান্সার রোগের জন্য কমন যে টেস্ট করানো হয় সেটা হচ্ছে বায়োসিক যেখানে যে অঙ্গে ক্যান্সার হয়েছে বা যেই স্থানে ক্যান্সার হয়েছে সেই স্থান থেকে মাংস সংগ্রহ করে সেখানে ক্যান্সারে জীবাণু আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট আসার পরে নিশ্চিত হওয়া যায় ক্যান্সার হয়েছে কিনা তারপরে সেখানে সিটি স্ক্যান বা এই ধরনের এন্ডস্কোপি পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের বিস্তৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় যে সেটা কতটুক বিস্তৃতি ধারণ করেছে।
এরপরে যেই টেস্ট করা হয় সেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ রক্তে ক্যান্সারের অবস্থান আছে কিনা অর্থাৎ রক্তের মাধ্যমে ক্যান্সারের ভাইরাস শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে গিয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য রক্তের একটি পরীক্ষা করা হয়। এখান থেকে মূলত ক্যান্সারের স্টেজ নির্ধারণ করা হয় যার মাধ্যমে পরবর্তী চিকিৎসা সেবা শুরু করা হয়।
ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার খরচ
ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার খরচ বলে শেষ করা যাবে না। ক্যান্সার রোগে চিকিৎসায় রোগীর কতটি কেমোথেরাপির প্রয়োজন রয়েছে এবং কোন রেডিও থেরাপির প্রয়োজন পড়বে কিনা এছাড়াও অপারেশনের প্রয়োজন আছে কিনা এই বিষয়গুলো সব কিছু এক জাগাত করে রোগের চিকিৎসার খরচ নির্ধারণ করতে হয় যেটা অনেক ব্যয়বহুল। এছাড়াও রোগের শারীরিক সুস্থতার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে যাতায়াত খরচ এবং চিকিৎসকের খরচ সবমিলিয়ে ক্যান্সার খরচ অনেক বেশি। একবার কেমো থেরাপি দিতে গেলে প্রায় 40000 টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ হবে তাহলে ভাবুন সবমিলিয়ে কেমন খরচ হতে পারে।