গনোরিয়া কি ভালো হয়

সাধারণত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে এ রোগ তার বংশবিস্তার শুরু করে এবং সেই ব্যাকটেরিয়ার নাম হচ্ছে নেই ছেরিয়া গনোরিয়া। সাধারণত অ নিরাপদ যৌন সম্পর্কের কারণেই এই ব্যাকটেরিয়া একজনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেটা রোগ হিসেবে দেখা দেয়। যারা সাধারণত আক্রান্ত হয় আক্রান্ত হওয়ার পরে নারী ও পুরুষের মধ্যে নানা ধরনের লক্ষণ দেখা যায় যার মাধ্যমে যৌন অঙ্গ থেকে সবুজ হলুদ রঙের পদার্থ বের হওয়া এবং প্রস্তাবের সময় জ্বালাপোড়া হওয়া বা পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার মতন লক্ষণগুলো অন্যতম। তুমি সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা করা হয় তাহলে অবশ্যই এই রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন তবে এর জন্য বিস্তার জানার প্রয়োজন রয়েছে চলুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করি।

গনোরিয়া রোগের উপসর্গ

ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়ানো এই রোগের কি কি উপসর্গ রয়েছে সেটা ভাগ করা হয়েছে আলাদাভাবে পুরুষ এবং নারীদের মাঝে। এমন কিছু উপসর্গ আছে যে উপসর্গ গুলো আলাদাভাবে পুরুষ ও নারীদের শরীরে পাওয়া যায় যার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় তার গনোরিয়া রোগ হয়েছে। সাধারণত যে সকল পুরুষেরা গন্ডিয়া রোগে আক্রান্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট গ্রন্থি অথবা শুক্রনালী এছাড়াও অন্যানে তীব্র প্রধান সৃষ্টি হয়। অনেকের ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের সম্মুখভাগে পূজাতীয় পদার্থ লেগে থাকতে দেখা যায় এবং হালকা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। কিছুদিন পর রোগের উপসর্গ কিছুটা কমে যায় তবে এর মানে এই নয় যে রোগটি সেরে গেছে। এরপর এখান থেকে দীর্ঘ মাইতি সমস্যা দেখা দিতে পারে আরো জটিল সমস্যা যেমন শুকনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং উপ-শুক্রাশয় নষ্ট হয়ে যেতে পারে ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির পিতা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়।

আমরা যদি নারীদের শরীরের উপসর্গ গুলো খেয়াল করি তাহলে জরায়ুর মুখে গ্রন্থিগুলো জীবাণুযুক্ত আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং জীবাণু দিব্বন আলী কে আক্রমণ করতে পারে। সাধারণত জনপথে এবং উচ্চপথে উভয় আক্রান্ত হয়ে পূজ বের হতে পারে এবং প্রস্তাবের তীব্র ব্যথা জ্বালাপোড়া এবং পিরিয়ডের সময় প্রচুর ব্যথা হতে পারে এই রোগের কারণে। এই সমস্যার কারণে মেয়েদের দীর্ঘদিন ডিম্বোনালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে যার কারণে সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারাতে পারে ওই নারী। আরো বিপদজনক ঘটনা হচ্ছে আক্রান্ত নারী কোন সন্তান প্রসব করলে ওই সন্তানের চোখে এ জীবন আক্রান্ত হতে পারে।

গনোরিয়া রোগের প্রতিকার ও চিকিৎসা

সাধারণত প্রত্যেকটি রোগের সঠিক প্রতিকার এবং চিকিৎসা যদি গ্রহণ করা যায় তাহলে খুব সহজেই সেখান থেকে সুস্থ হওয়া যাবে। তবে সঠিকভাবে যদি এটা বাস্তবায়িত না হয় তাহলে কোন কিছুই কাজে আসবে না। প্রাপ্ত বয়স্ক সব নারী পুরুষের উপযুক্ত যৌন হাইজিন শিক্ষার প্রচলন জরুরী তার কারণ হচ্ছে এটা সঠিকভাবে প্রচলিত হলে তারা হাইজিন মেন্টেন করে তাদের যৌন সম্পর্ক করবে এতে করে গনোরিয়া ছড়ানো সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

অনেক সময় রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দ্বিধা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে চান না অনেকেই মনে করেন এটা অনেক বড় লজ্জার কারণ। কিন্তু হয়তো অনেকেই এটা জানে না যদি সঠিক সময়ে এবং উপযুক্ত সময় যদি চিকিৎসা করা হয় এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সঠিক হলে এটা সম্পূর্ণ সরে যাবে। চিকিৎসার না নিলে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়ায় সবথেকে উত্তম মাধ্যম।যদি কেউ গনোরিয়া তে আক্রান্ত হয় তাহলে যৌন সঙ্গ থেকে তাকে বিরত থাকতে হবে এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা অবশ্যই সকলের মাঝে ছড়ানো উচিত। কারণ আক্রান্ত অবস্থাতে সে যদি যৌন মিলন থেকে দূরে না থাকে তাহলে তার সঙ্গীও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে এটা অনেক খারাপ একটি দিক। গনোরিয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো অবশ্যই সকলকে সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল করতে হবে।