মানব শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে ক্যান্সার হচ্ছে বড় ধরনের সমস্যা। যাদের লিভার ক্যান্সার হয় তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়। তবে যতটুকু সম্ভবনা থাকে সেই সম্ভাবনা অনুযায়ী একজন ব্যক্তি লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসায় কি কাজ করতে পারে বা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে সে সম্পর্কেই দিকনির্দেশনামূলক আজকের এই আর্টিকেল । আশা করছি অবশ্যই আপনারা সকলেই আমাদের এই আর্টিকেল থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন যা আপনার জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করবে।
লিভার ক্যান্সার থেকে যদি কেউ মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি লিভার ক্যান্সার চিকিৎসা করা যেতে পারে তবে এটা অনেক দীর্ঘস্থায়ী একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেন। তবে সুস্থতার হাড় নির্ভর করছে অনেক কিছুর উপর যেমন ক্যান্সারের তীব্রতা এর পাশাপাশি টিউমারের অবস্থান ও রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর। সবকিছু যদি একেবারেই প্রথম স্টেজে থাকে তাহলে সেই চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভাবনা ৯০%।
লিভার ক্যান্সারের রোগের মৃত্যুর লক্ষণ
লিভার ক্যান্সার হওয়ার পরে রোগী যখন অনেক চেষ্টা করার পরেও বেঁচে থাকার মতন শারীরিক সুস্থতা অর্জন করতে পারে না তখন চিকিৎসকেরা বলে দেন সেই রোগী আর কতদিন বাঁচবে বা সেই রোগের পরিণতি কি হতে চলেছে। এই অবস্থাতে কিছু উপসর্গ থাকে যেই উপসর্গগুলো দেখা দিলেই বোঝা যায় সেই ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং সে আর খুব বেশিদিন এই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে না। সাধারণত এই অবস্থাতে রোগীর চোখের রং পরিবর্তন করতে শুরু করে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি ও নড়াচড়া কমতে শুরু করে।
লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যে লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বোঝা যাবে সেই ব্যক্তি মারা গেছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে রক্ত বমি এবং সেটা এতটাই দুর্গন্ধযুক্ত হবে যে সকলে অবাক হয়ে যাবে। কথা বলার সময় রোগীর মাথা এমনিতে নিচের দিকে নেমে যাবে সেটা সে কন্ট্রোল করতে পারবেনা এবং কথা বলার সময় জিহবা বাইরে বের হয়ে আসতে থাকবে। খাওয়া-দাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেবে অনেক সময় রোগীরা অচেতন অবস্থায় চলে যায়। এই ধরনের প্রাথমিক লক্ষণ এবং শারীরিক বিভিন্ন দুর্বলতার কারণে চিকিৎসা করা বুঝতে পারেন সেই ব্যক্তির অবস্থার অবনতি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
লিভার ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে
সাধারণত বাঁচা মারার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে ক্যান্সারের একটা তো রোগীদের হারতে হয় বেশি। সাধারণত লিভার ক্যান্সারে রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি কিন্তু এই ক্যান্সার থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যায়। সাধারণত যাদের ক্যান্সারের অবস্থা খুব খারাপ তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা একটি সময় বেঁধে দেন যে সময়ের মধ্যে সেই রোগী মারা যেতে পারে যেমন মনে করুন ৬ মাস অথবা তিন মাস। এই অবস্থাতে কিছু কিছু রোগী এর থেকেও বেশি বেঁচে থাকেন আবার কেউ এর আগেও মারা যান।
লিভার ক্যান্সার এর চিকিৎসা
ক্যান্সারের চিকিৎসা যেমন অনেক বড় ধরনের চিকিৎসা তেমন এটা অনেক দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা এবং অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এই চিকির সাথে ধৈর্য একটি বড় জিনিস যে যত ধৈর্য ধরতে পারবে এবং চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবে তার জন্য এটা মঙ্গল কর হবে। লিভার ক্যান্সার চিকিৎসায় বাংলাদেশে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় বিশ্বপ্রায় প্রত্যেকটি দেশেই একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যেখানে কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি ও সার্জারির মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়।
সাধারণত এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোকে একত্রিত করে চেষ্টা করা হয় রোগীকে সুস্থ করতে। এটা অনেক বড় একটি সমস্যা আমরা যদি ঘরে ঘরে এ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করি তাহলে হয়তো এটা প্রতিরোধ করতে পারবে আর এটা প্রতিরোধ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তার কারণ হচ্ছে এখন পর্যন্ত বড় কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়নি।