ফুসফুস ক্যান্সার কি ভালো হয়

আমাদের শরীরের যে কোন অঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে সেটা যে কোন জায়গাতেই হতে পারে। অনেকেই মনে করে ফুসফুসে ক্যান্সার হয় না কিন্তু এটা একেবারেই ভুল ধারণা ফুসফুসে যে ক্যান্সার হয় সেটা থেকে মৃত্যুবরণ করার সংখ্যা অনেক বেশি। সাধারণত ফুসফুস ক্যান্সারের কারণে রোগীকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় তবে এই ফুসফুস ক্যান্সারে যে চিকিৎসা ব্যবস্থা বাংলাদেশের চালু আছে সেই চিকিৎসার ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করা যায় কিনা সে সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করব।

আমাদের জন্য ফুসফুস কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা প্রত্যেকে জানি তাই এই ফুসফুসে যদি ক্যান্সার হয় তাহলে সেটা সারিয়ে নেওয়ার চেষ্টা আমাদের সকলের থাকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য। ফুসফুসের যে ক্যান্সারের চিকিৎসা আছে সেই ক্যান্সারের চিকিৎসায় সার্জারির মাধ্যমে ফুসফুস ক্যান্সার পুরোপুরি নির্মূল করা যাবে। তবে এখানে ফুসফুসের ক্যান্সারের মাত্রার উপর নির্ভর করছে সবটুকু যদি স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে তাহলে সেটা সম্ভব যদি অস্বাভাবিক মাত্রায় থাকে তাহলে কখনো সেটা ছাড়িয়ে তোলা সম্ভব নয়। ফুসফুস ক্যান্সার নিয়ে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের এখানে আছে যেগুলো আপনারা জানতে পারেন।

ফুসফুস ক্যান্সার এর চিকিৎসা

ফুসফুস ক্যান্সারের বাংলাদেশের যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুযায়ী আজকে আপনাদের সঙ্গে কিছু কথা বলব। সাধারণত ফুসফুস ক্যান্সারকে লাইন ক্যান্সার বলা হয় এবং এটা হচ্ছে দ্বিতীয় কমন ক্যান্সার। সাধারণত যাদের বয়স ৬৫ বছরের উপরে তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে এবং শুরুতে যদি ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে সেটা ৯০% পর্যন্ত নিরাময় করা সম্ভব।

আমাদের দেশে ফুসফুস ক্যান্সারের যে চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হয়েছে সেই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞাত। সাধারণত ফুসফুস ক্যান্সারে তারা সার্জারি এবং কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আরো কিছু থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন টার্গেটেড থেরাপি ও ইমিউনো থেরাপি। এই চিকিৎসাগুলোর সমন্বয়ে রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয় যদিও এই চিকিৎসাগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অত্যন্ত শক্তিশালী চিকিৎসা।

তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকে গত কয়েক বছরে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। ফুসফুস ক্যান্সারকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেতে করে চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা হয়েছে।

ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ

তাদের ফুসফুস ক্যান্সার হয়েছে তাদের কোন লক্ষণের মাধ্যমে সেটা বোঝা যাবে সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করা হবে। সাধারণত ফুসফুস ক্যান্সারের ক্ষেত্রে আমাদের শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং সেই সমস্যাগুলো কি চলুন একে একে জানার চেষ্টা করি।

প্রাথমিক পর্যায়ে প্রচন্ড কাশি হবে এবং কাশি এর সাথে কফ বা রক্ত উঠতে পারে। এ সমস্যা যদি কারো হয় তাহলে অবশ্যই তাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে তবে এখানেই শেষ নয় এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্বাসকষ্ট। শ্বাসকষ্ট অনেক জটিল মাত্রায় শুরু হবে হঠাৎ করে এবং রোগীর ক্ষেত্রে গভীর শ্বাস নেওয়া এবং হাসিবা কাশির চলাকালীন বুক তীব্র ব্যথা অনুভূত হবে।

হঠাৎ করে মনে হবে কেন জানিনা দুর্বলতা তৈরি হয়েছে এবং ক্লান্তিক ঘিরে রেখেছে। এ অবস্থাতে রোগীদের খাওয়ারের প্রতি অনীহা তৈরি হবে যার কারণে সে আর খেতে চাইবে না এবং হঠাৎ করে এর কারণে ওজন কমতে শুরু করবে। শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে ঘা বের হতে পারে ফুসফুস ক্যান্সারের কারণে।

ফুসফুস ক্যান্সারের প্রতিরোধ

ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ধূমপানে ত্যাগ করা। যারা ধূমপান একেবারেই খান না তারা এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন তবে তারপরও তাদের বাইরে বের হওয়ার সময় মার্কস ব্যবহার করতে হবে তার কারণ হচ্ছে প্রকৃতি যেভাবে দূষিত হচ্ছে সেই দূষিত হওয়ার কারণেও ফুসফুস ক্যান্সার তৈরি হতে পারে। যেকোনো ধরনের ঠান্ডা লাগা বা সর্দি লাগান সমস্যা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সমাধান করিয়ে নিতে হবে এগুলো দীর্ঘদিন ধরে থাকলেও সেখান থেকে ইনফেকশনের মাধ্যমে ক্যান্সার হয়।