সাধারণত ক্যান্সার মরণঘাতী রোগ তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে সেটা নিরাময় যোগ্য। যদিও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সরাসরি ওষুধ এখনো বের হয়নি তবে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যে পদ্ধতিগুলো একত্রিত করে কনসার্টের বিরুদ্ধে চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আজকে আমরা মলদ্বারে ক্যান্সার সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং মলদ্বারের ক্যান্সারের প্রাথমিক যে উপসর্গগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে কথা বলব।
প্রাথমিকভাবে যার শরীরে সমস্যা হয়েছে সে অবশ্যই কিছু না কিছু বুঝতে পারবে। তবে সে যদি বুঝার পরেও এগুলোকে অবহেলা করে তাহলে এখানে দোষ কারণেই তার কারণ হচ্ছে অবহেলা করা মানেই ভুল করা। ক্যান্সারের চিকিৎসায় আপনি যত বেশি দেরি করবেন আপনার সমস্যা ততই বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনি যদি মনে করেন ইচ্ছে করে তৈরি করবেন তাহলে সেটা হবে ভুল ধারণা। তা চলুন জানার চেষ্টা করি কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে বাড়িতে বসে থাকা চলবে না।
মলাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি
মলাশয় ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কিছু কিছু লক্ষণ দেখা যায় তার মধ্যে খুব খারাপ কোষ্ঠকাঠিন্য একটি। এছাড়াও রক্তযুক্ত মল অর্থাৎ যখন মলত্যাগ করবেন তখন মলের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া। এছাড়াও মল বের হওয়ার সময় খুব কম পরিমাণ মাল বের হওয়া কোলন ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ। এর পাশাপাশি রোগীদের আরো কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় যে লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষুধা কমে যাওয়ার মতন প্রবণতা এবং ওজন কমে যাওয়ার মতন প্রবণতা।
অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার মতন সমস্যাও দেখা দেয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে আরও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে রক্তস্বল্পতা এবং রক্তশূন্যতার কারণে রোগীগুলো আরো বেশি অসুস্থ হতে শুরু করে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে যদি কারো এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে বাড়িতে বসে না থেকে অবশ্যই অত্যন্ত উন্নত মানের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য একজন ভালো চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
কিভাবে বুঝবেন কোলোন ক্যান্সার হয়েছে
ব্রণ ক্যান্সার কিভাবে বুঝবেন সেটা বোঝার জন্য পাঁচটি লক্ষণ আমরা আপনাদের বলব যে লক্ষণগুলো যদি কোন ব্যক্তির শরীরে থাকে তাহলে বুঝতে হবে তার করুন ক্যান্সার হয়েছে। চলুন এগুলো সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়া যাক।অনিয়মিত মলত্যাগ অর্থাৎ আপনি দিনে দুই থেকে তিনবার মলত্যাগ করতেন কিন্তু সেটা অনিয়ন্ত্রিত হচ্ছে অর্থাৎ কোনদিন একবার হচ্ছে বা কোনদিন পাঁচবার হচ্ছে আবার দেখা যাচ্ছে যে সাত দিনেও একবার হচ্ছে না এরকম অনিয়ন্ত্রিত মলত্যাগ হতে পারে কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ।
হঠাৎ করে বমি বমি ভাব এবং গা গুলিয়ে ওঠা এবং খেয়াল করলে দেখা যাবে যে রোগীর ওজন কমে যাওয়া এবং খাওয়ার আগ্রহ কমে যাওয়া তরুণ ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।গরম ক্যান্সার হয়েছে বোঝা যায় আরেকটি সহজ কারণে সেটা হচ্ছে মলত্যাগের সময় ব্যথা। বলত্যাগের সময় অবশ্যই রোগের ব্যথা হবে এবং শুধু ব্যথা নয় এর পাশাপাশি মৌলের সঙ্গে রক্ত পরতে দেখা যাবে। এগুলো পলন ক্যান্সারের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
মলত্যাগের সময় অবশ্যই সে ব্যক্তি বুঝতে পারবে তার মলত্যাগের সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে যেটা কোন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। আপনারা যখন এই সমস্যা উপলব্ধি করবেন তখন বাড়িতে বসে থাকবেন না।কিছু কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা এবং রক্তস্বল্পতা করুন ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। তাই এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
কোলন ইনফেকশনের লক্ষণ
কোলন ইনফেকশন কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে এবং এই ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো উপরে আমরা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরলাম। অনুরোধ থাকবে যাদের এই সমস্যা হয়েছে তারা কখনোই বাড়িতে বসে থাকবেন না এবং অপেক্ষা করবেন না বড় কিছু হওয়ার জন্য। কারণ যদি বড় কিছু হয় তাহলে আপনার বেঁচে থাকার আশা ফুরিয়ে যাবে।