আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে যদি কোন কোষ বেড়ে ওঠে তাহলে সেটাকে টিউমার হিসেবে ধরা হয়। এই টিউমারের বিভিন্ন ধরনের স্টেজ আছে অর্থাৎ আপনি কোন স্টেজে টিউমার ধরতে পেরেছেন তার উপর নির্ভর করে সাধারণত এর চিকিৎসা। টিউমার আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ হতে পারে তার মধ্যে যেই টিউমার গুলো আমাদের শরীরে চামড়া নিচে এবং মাংসের উপরে এই দুইটার মাঝখানে হয় সেগুলো আমরা এমনিতেই বুঝতে পারি। তবে যদি শরীরের অভ্যন্তরে হয় যেমন মনে করুন পেটে তাহলে সেটা আমরা বাইরে থেকে বুঝতে পারব না তাই অবশ্যই পরীক্ষার নিক প্রয়োজন আছে।
এটা টিউমারের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে সাধারণ লক্ষণগুলো ফলো করা উচিত যেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সাধারণ লক্ষণগুলো ফলো না করেন তাহলে বুঝতে পারবেন না এটি টিউমার হয়েছে কিনা আর এটা না বুঝতে পারলে সে টিউমার ক্যান্সারের রূপান্তর হলে সেটা মরনঘাতি হতে পারে। চলুন আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানার চেষ্টা করি পেটে টিউমার হলে কোন কোন সমস্যা হতে পারে।
এটা টিউমার হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা যায়
প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে অনেকের বদহজম হতে পারে। পেটের অস্বস্তি হওয়া এবং খাওয়ার পর পেট ফুলে যাওয়ার মতন অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত এই অবস্থাতে রোগীদের ক্ষুধা পায় না যদিও খুধা পায় অল্প খেতে বসলেই পেট ভরে যায়। খাওয়ার পরে আবার সেই একই সমস্যা কোন কোন ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব বা বদহজম তৈরি হয়। ক্ষুধামান্দা অত্যন্ত সাংঘাতিক হয়ে দাঁড়ায় এই অবস্থাতে এবং পেটে জ্বালাপোড়াও দেখা যেতে পারে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে।
প্রাথমিক লক্ষণের সঙ্গে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেখা উচিত সেটা হচ্ছে মলের সঙ্গে রক্তপাত ও রক্ত বমি। হঠাৎ করে কোন কারন ছাড়াই দেখা যাচ্ছে যে প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন অথবা এক মাসের মধ্যে একজন ব্যক্তির অস্বাভাবিক ওজন কমতে শুরু করেছে তাহলে সেটা সন্দেহজনক। অনেকের ক্ষেত্রে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া চোখ এবং ত্বকের মাধ্যমে বোঝা যায় যেমন চোখ ও ত্বকের রং হলুদ হয়ে যাওয়া এবং খাবারের সময় খাওয়ার গিলতে কষ্ট পাওয়া।
টিউমারের এই প্রাথমিক লক্ষণগুলো বোঝা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে জিনিসটা সবথেকে বেশি উপলব্ধি করতে পেরেছি সেটা হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এই সাধারণ উপসর্গ গুলো বুঝতে পারে না। তারা নিজের প্রতি একটুও যত্নবান নয় যার কারণে সাধারণ উপসর্গগুলো না বুঝে তারা অবহেলা করে।যখন টিউমার অনেক বড় হয়ে যায় এবং টিউমার ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয় তখন যে অস্বাভাবিক লক্ষণগুলো আসে তখন সে তারা বুঝতে পারে। তখন তারা চিকিৎসা করতে চায় কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।
পেটে টিউমার হলে ক্যান্সার হয়
অবশ্যই পেটে টিউমার হলে ক্যান্সার হতে পারে। বেশিরভাগ টিউমারের অভ্যন্তরে ক্যান্সারের ভাইরাস থাকে তাই সেই টিউমার যদি এমন স্টেজে ধরা পড়ে যে স্টেজে সে ক্যান্সারের ভাইরাস ছড়িয়ে ফেলেছে শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে তাহলে তখন আর উপায় থাকে না।
তবে হ্যাঁ সব টিউমারে ক্যান্সার নেই কিছু কিছু টিউমার আছে যেগুলো ক্যান্সার ছাড়া সেই টিউমার গুলো শরীরের অভ্যন্তরেও থাকে। তবে সবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে যেকোনো ধরনের টিউমার বুঝতে পারেন তাহলে দেরি করবেন না চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
যে সকল টিউমারগুলো প্রাথমিক স্টেজের ধরা পড়ে এবং তাড়াতাড়ি অপারেশন করে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় সেগুলোতে আর কোন ধরনের সমস্যা থাকে না। সমস্যা কেবল হয় ক্যান্সারের আক্রান্ত টিউমার গুলোর ক্ষেত্রে এবং এই টিউমার রক্তের মাধ্যমে ক্যান্সারের ভাইরা শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেয় এবং ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রোগী খুব দ্রুত মৃত্যুবরণ করে। তাই সবসময় সচেতনতা বজায় রাখা উচিত প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে।