Epithelial cells এর কাজ কি এপিথেলিয়াল কোষ

আমাদের শরীরে প্রত্যেকটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক অবাক করা ব্যাপার হলো যে প্রস্রাব আমরা শরীর থেকে বের করে ফেলে দেই সেই প্রস্রাবে এমন কিছু উপাদান থাকে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। প্রসাবে তেমনি একটি উপাদান নিয়ে আছে কথা বলব আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকবেন যাতে অজানা অনেক তথ্য আপনাদের জানা হয়ে যায়। আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আমরা কিভাবে আর্টিকেল তৈরি করি এবং এই আর্টিকেলগুলো কতটা সুন্দর হয়ে থাকে।

মূলত এপিথেলিয়াল কোষ গুলো কি এটা অনেকেই জানেন না। সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে এ পৃথিবী আল কোর্সগুলি এমন এক ধরনের কোষ যা অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় ভাবেই শরীরকে আচ্ছাদিত করে এবং মানব শরীরকে ভাইরাস প্রবেশ থেকে রক্ষা করার জন্য বাধা হিসেবে কাজ করে। এপিথেলিয়ালগোশগুলো ত্বক ও পাচনতন্ত্র থেকে শুরু করে রক্তনালী ও মুত্রনালী এবং বিভিন্ন অঙ্গগুলিতে পাওয়া যায়। বিষয়টি যদি আরও সহজ ভাবে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরি তাহলে বলতে হয় যে এই এপিথেলিয়াল সেল বা কোষ এমন একটি উপাদান যেটা আমাদের শরীরের ভেতরে প্রত্যেক জায়গাতে পাওয়া যাবে প্রায়। এরা বিভিন্ন অঙ্গে অবস্থান করে এবং সেই অঙ্গে প্রবেশ করা ভাইরাস বা অন্যান্য এই ধরনের জীবাণু থেকে রক্ষা করে আমাদের শরীরকে।

Epithelial cells কি নির্দেশ করে

সাধারণ এপিথেলিয়াল সেল আমাদের শরীরে কয়েকটি অঙ্গে থাকে যেমন পাচনতন্ত্র থেকে শুরু করে রক্তনালী ও মূত্রনালী ও ত্বক এগুলোতে বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু এই কোষগুলো যখন আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় বের হয়ে যায় তখন আমাদের শরীরে যে ভাইরাসগুলো বা এই অঙ্গে যে ভাইরাস গুলো প্রবেশ করে সেই ভাইরাসগুলোকে প্রতিহত করার ক্ষমতা আমরা হারিয়ে ফেলি। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ আমাদের বাড়তে পারে। স্বাভাবিক কথা চিন্তা করলে প্রসাবের মধ্যে কিছু এপিথেলিয়াল কোষ থাকা স্বাভাবিকরা কারণ হচ্ছে এই পোস্টগুলো মাঝেমধ্যে অল্প অল্প করে বের হয়ে যায় এবং নতুন ভাবে আবার শরীরের মধ্যে তৈরি হয়।

কিন্তু প্রস্রাবের মধ্যে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় এই কোষ অর্থাৎ এপিথেলিয়াল কোষ বেরিয়ে যায় তাহলে সেটা কি নির্দেশ করে অনেকেই জানতে চায়। এটা নির্দেশ করে শারীরিক দুর্বলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আমাদের সব সময় এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। এর ফলে ইঙ্গিত হয় যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূত্রনালীর বিভিন্ন ধরনের সংক্রমনের সৃষ্টি হয়েছে অথবা কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার ইঙ্গিত দিতে পারে এই এপিথেলিয়াল সেল।

Epithelial cells স্বাভাবিক মাত্রা কত

বিভিন্নভাবে এপিথেলিয়াম ছেলের পরীক্ষা করা হয় তাই এখানে সঠিক স্বাভাবিক মাত্রা বলা সম্ভব হবে না। বিভিন্ন ল্যাবে এটা টেস্ট করা হয় এবং লেবে টেস্ট করার সময় যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেই ঔষধের আদর্শ মান অনুযায়ী রিপোর্ট দেওয়া হয়। তবে আপনাকে যে রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে সেই রিপোর্টেই আদর্শবান উল্লেখ করা হয়েছে আপনি একটু ভালোভাবে চেক করলেই বুঝতে পারবেন। চিন্তার কোন কারণ নেই এটা যদি স্বাভাবিক মাত্রা একটু কম বেশি হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই তবে অতিরিক্ত মাত্রার পরিবর্তন হলে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

Epithelial cells কিভাবে পরীক্ষা করতে হয়

এপিথেলিয়াল সেল মূলত আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় প্রস্রাবের মাধ্যমে তাই প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে এটা জানা যায় আমাদের শরীর থেকে কি পরিমাণ এপিথেলিয়াল সেল বেরিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়মিত এপিথেলিয়াল সেল বের হতে পারে কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় যদি এটা বের হয়ে যায় তাহলে সেটা আমাদের শরীরের জন্য ঝুঁকির কারণ এবং বড় কোনো অসুখের লক্ষণ।