আমরা যদি অসুস্থ হয় তাহলে আমরা চেষ্টা করি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় সবার প্রথমে রোগ নির্ণয় করাটাই হবে প্রধান কাজ। অনেক রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রসবের ইনফেকশন ব্যাপক আকার ধারণ করে। রোগীর শরীরে থাকা উপসর্গ এবং তার বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনার পরে চিকিৎসা কইরা যদি মনে করেন সেই রোগের প্রসাব ইনফেকশন হয়েছে তখন তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই তাকে প্রসবের পরীক্ষা করাতে বলবেন।
প্রসাবের পরীক্ষার মধ্যে এপিথেলিয়াল সেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস যেটা নির্দিষ্ট পরিমাণে যদি না থাকে তাহলে যে কোন রোগই অস্বাভাবিক অসুস্থ হতে পারে। অল্প সংখ্যক এপিথেলিয়াল কোষ যে কোন মানব শরীরে সবসময় প্রসবের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তবে হঠাৎ করে যদি প্রস্রাবে এই এপিথেলিয়াল কোষ বেশি হয় তাহলে সেটা কোন রোগের ইঙ্গিত করে অবশ্যই সেটা আমরা জানি। এই রোগ গুলোর মধ্যে কিডনি রোগ এই ধরনের সংক্রমণ বেশিরভাগ হয়ে থাকে তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
পুরুষ বা মেয়ে উবায়ের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে এপিথেলিয়াল ক্রসের স্বাভাবিক পরিষদ স্থির থাকে তবে এখানে যদি সর্বোত্তম পরিসর বলা হয় তাহলে সেটা হতে পারে ১৫ থেকে ২০ স্কোয়ামাস এপিথেলিয়াল কোষ।যদি পরীক্ষার মাধ্যমে এর থেকে বেশি পাওয়া যায় তাহলে সেটা অস্বাভাবিক এবং এর জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায়।
প্রস্রাব ইনফেকশন পরীক্ষা কেন করা হয়
প্রস্রাবের ইনফেকশন পরীক্ষা তখনই করা হয় যখন চিকিৎকেরা মনে করেন উপস্থিত রোগীর প্রসবের ইনফেকশন হয়েছে। অনেকে এই বিষয়টিকে একেবারে তাচ্ছিল্য করেন তবে প্রসবের ইনফেকশন বড় কোন রোগের লক্ষণ হিসেবেও দেখা দিতে পারে তাই কোনভাবে ছোট ছোট পরীক্ষাগুলোকে অবহেলা করা উচিত নয়। এটা এমন একটি পরীক্ষা যেখানে রোগীর পরীক্ষা করতে কোন ধরনের কষ্ট হবে না এবং খুব একটা সময়ও লাগে না এবং অর্থ খরচ হয় না তাই আমরা কেন এ পরীক্ষা করব না।
হতেও পারে এই প্রস্রাবের ইনফেকশন টেস্ট এর মাধ্যমে আপনার বড় কোন রোগ আগে থেকেই ধরা পরল এবং আপনি চিকিৎসার মাধ্যমে সেই রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারলেন। তাই সময়মত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যদি প্রস্রাবের ইনফেকশন পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেটা করিয়ে নিন এটা আপনাকে বড় রোগ থেকে মুক্তি দেবে নিশ্চিত।
প্রস্রাবের ইনফেকশন কিভাবে বোঝা যায়
প্রসবের ইনফেকশন বোঝার কিছু উপায় আছে অর্থাৎ যদি প্রস্রাবের ইনফেকশন হয় তাহলে কিছু কিছু লক্ষণ দেখে রোগী নিজে বুঝতে পারবে তার প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়েছে কিনা। এই ইনফেকশন গুলো পুরুষ অথবা মেয়েদের ক্ষেত্রে একই ধরনের হয়ে থাকে তাই আমরা জানার চেষ্টা করব এই লক্ষণগুলো যার মাধ্যমে খুব সহজে প্রসাবের ইনফেকশন চিহ্নিত করা যাবে।এই প্রস্রাবের ইনফেকশন গুলোর মধ্যে প্রধান ইনফেকশন হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং প্রস্রাব হওয়ার সময় আস্তে আস্তে প্রস্রাব হওয়া অর্থাৎ প্রস্রাবের বেগ অনেক কমে যাওয়া। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রস্তাবে অনেক বেশি দুর্গন্ধ এবং প্রস্রাবের কালার পরিবর্তন হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রস্রাব করার সময় সেখানে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে এগুলো সবই প্রস্তাবের ইনফেকশনের লক্ষণ।এছাড়া অনেক রোগীর ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা এবং পেটে ব্যথা বা বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া প্রস্রাবের লক্ষণের একটি কারণ।
প্রস্রাব পরীক্ষার প্রস্তুতি
প্রস্রাব ইনফেকশন পরীক্ষার জন্য কোন ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখলেই হবে। আপনি যদি এইভাবে প্রস্তুত থাকেন তাহলে যেকোনো সময় প্রস্তাব ইনফেকশন টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন এটা করতে খুব বেশি টাকার খরচ হবে না এবং খুব বেশি সময় লাগবে না।