যারা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের ব্যাপার হলো যে তারা তার আগের মত ইচ্ছে মত খাবার খেতে পারেন না। তার কারণ হচ্ছে এই রোগে আক্রান্ত হলে আপনার পাকস্থলী আর আগের মত শক্তিশালী থাকবে না। খাবার গুলোর মধ্যেও অত্যন্ত সাধারণ কিছু খাবার আছে যেগুলো খাবার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সমস্যা শুরু হয়ে যাবে। আরেকটি অবাক করার কথা হচ্ছে এই আইবিএস এ আক্রান্ত রোগীদের ভিটামিন খাওয়া যাবে না ভিটামিন খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সমস্যা হবে তাই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সকলেকে আগে থেকে সাবধান হতে হবে।
অবশ্যই নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। হঠাৎ করে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আপনাকে সম্পূর্ণ আইবিএস থেকে মুক্ত করতে পারবে না এর জন্য আপনাকে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আলাদা কোন ব্যায়াম নেই সাধারণত আপনাকে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে এবং ফলো করতে হবে ভালো একটি খাবার তালিকা।
আই বি এস রোগের মুক্তির উপায়
যারা এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছেন তারা অনেক বেশি কষ্ট করেন এবং ছোটাছুটি করেন কিভাবে এই রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে। আসলে যেটি একেবারে বাস্তব ঘটনা সেটা হচ্ছে আল্লাহতালা আমাদের এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং আমাদের জন্য সুন্দর সুন্দর খাবার তার নিয়ামত হিসেবে উপহার দিয়েছেন কিন্তু সেই খাবারগুলোর অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আসলে এর মাধ্যমে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না আর অতিরিক্ত ভেজালের কারণে বাংলাদেশের খাবার খেয়ে আক্রান্ত হওয়ার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই সবার প্রথমে যে জিনিসটা আমাদের করতে হবে সেটা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার দেওয়া যে নিয়ামত আছে সেই নিয়ামতের খাবারগুলো আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অবশ্যই প্রোটিনযুক্ত মাংস আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আপনার শরীরে যতটুকু মাংস প্রয়োজন আপনি ততটুকু খান এর বেশি কখনোই খাবেন না এর বেশি খেলে সেই অতিরিক্ত মাংস টুকু আপনার শরীরের জন্য ক্ষতি হবে। শুধু মাংসর ক্ষেত্রেই নয় তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার এবং বাইরের ভাজাপোড়া খাবার ইত্যাদির জন্য ঠিক একই জিনিস। দুধ এবং বুদ্ধজাত খাবার চিনি এবং চিনি জাত খাবার প্রত্যেকটি জিনিসই আইবিএস এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাংঘাতিক।
ভাই সবার আগে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করতে হবে এখানে যে খাবারগুলোর কথা উল্লেখ করা হলো সেই খাবারগুলো একেবারে পরিমাণ মতো খাব একেবারে শুরু থেকে। আপনি যদি অভিভাবক হয়ে থাকেন তাহলে একটি জিনিস পাঠায় রাখুন সেটা হচ্ছে আপনার সন্তানের সঠিক শিক্ষা আপনার পরিবার থেকেই শুরু হবে তাই সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে শিক্ষা দিন এবং তাদের সামনে অল্প অল্প করে এ ধরনের খাবার খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন দেখবেন আপনার যতটুকু সমস্যা হয়েছে আপনার সন্তান তার থেকে আরও অনেক ভালো আছে।
আইবিএস রোগের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
কিছু কিছু রোগ আছে যেগুলো সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে না গেলেও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে গেছে। আয়ুর্বে চিকিৎসাতে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছরা এবং বিভিন্ন ধরনের উপাদানের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয় যেটা আদিকালে পৃথিবীর আদি মানুষেরা আবিষ্কার করেছিল। তবে সঠিকভাবে এর ব্যবহার যদি করা যায় তাহলে অবশ্যই রোগমুক্ত হওয়া যাবে।
আইভিএস রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক অনেক ঘটনা পাওয়া গেছে যেখানে দেখা গেছে সেই রোগী আয়ুর্বেদ চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হতে পেরেছে। আপনি যদি আয়ুর্বেদ চিকিৎসা গ্রহণ করতে চান তাহলে যেতে পারেন তবে অবশ্যই একটি বিষয় সতর্ক থাকতে হবে এই চিকিৎসা গুলো যদি সঠিকভাবে হয় তাহলে ভালো কিন্তু যদি সঠিক চিকিৎসার না হয় তাহলে সেটা আপনার শরীরের আরো বেশি ক্ষতি করবে বিশেষ করে আপনার পাকস্থলী।