বিভিন্ন গবেষণা থেকে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে মানব শরীরের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু যখন এই বয়স অতিক্রম করে তখন এই হরমোন উৎপাদনের মাত্রা কমে আসতে শুরু করে। কিন্তু কিছু প্রকৃতিক নিয়ম আছে যে প্রাকৃতিক নিয়মের মাধ্যমে পুরুষ অথবা মেয়ে যে কোন লিঙ্গের মানুষ এই হরমোন নিজের শরীরে উৎপন্ন করাতে সক্ষম হবে। এবং এই অভ্যাস গুলো যদি নিয়মিত সে করতে থাকে তাহলে অবশ্যই আর কখনো তার শরীরে এই হরমোন গুলোর ঘাটতি হবে না।
গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে যদি শারীরিক ব্যায়াম নিয়মিত করা হয় তাহলে এই হরমোন উৎপন্ন হবে শরীরের অভ্যন্তরে। আপনি একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন অন্যরা যখন এই হরমোন কমে যাওয়ার কারণে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতার শিকার হচ্ছে ঠিক একই বয়সে আপনি যদি সামান্য ব্যায়ামের মাধ্যমে পুনরায় এই হরমোনের স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারেন শরীরের অভ্যন্তরে তাহলে আপনি কতটা সুখী থাকবেন তাদের থেকে।
আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি যে টেস্টোড়ন হরমোন বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম এর আলাদা কোন নিয়ম নেই। কিছু নিয়ম আছে যেটা আপনাকে ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হবে আপনারা চাইলে আমাদের লিংক ব্যবহার করে সেটা দেখে নিতে পারেন। তবে স্বাভাবিক যে ব্যায়ামগুলো আমরা করে থাকি সেই স্বাভাবিক ব্যায়াম এর মাধ্যমেও টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করা যায়। আশা করছি বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা অবগত হতে পেরেছেন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি প্রাকৃতিক উপায়
এই হরমোন একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয়। কিন্তু এই সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরে আমাদের শরীরে যে পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রয়োজন হয় সে পরিমাণে উৎপন্ন হওয়া না হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। ছেলেরা সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ে তাদের সেক্স লাইফ নিয়ে তাই এই হরমোন যাতে শরীরে সমানভাবে থাকে তার জন্য প্রাকৃতিক কিছু নিয়ম সকল পুরুষদের মেনে চলা উচিত।
প্রথমে পুরুষদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম গ্রহণ করতে হবে। আমরা সকলে অবগত আছি যে অন্তত ছয় থেকে আট ঘন্টা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ রাতে যদি ঘুম না পারে তাহলে তার সবকিছু উল্টাপাল্টা থাকে। অবশ্যই ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম পারতে হবে এই হরমোন বৃদ্ধির জন্য এছাড়াও স্টেজ ম্যানেজমেন্ট ঠিক রাখতে হবে। অর্থাৎ মানসিক চিন্তা বা মানসিক যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে ম্যানেজ করে চলতে পারেন তাহলে এই হরমোন আপনার শরীর সঠিকভাবে উৎপন্ন হবে।
নিয়মিত খেলাধুলা এবং শারীরিক পরিশ্রম বা শারীরিক ব্যায়াম এই হরমোন বৃদ্ধিতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে অবশ্যই নিজেই নিজের হরমোন বৃদ্ধি লেভেল সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। এই হরমোন বৃদ্ধিতে আপনাকে অবশ্যই সুষম ওজন বজায় রাখতে হবে। যারা নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন তাদেরকে আমি জানাচ্ছি যে অত্যাধিক অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে টেস্টোস্টোরেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।
চেষ্টা করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ খাদ্য গ্রহণ করা এছাড়াও চেষ্টা করতে হবে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন শরীরে মজুদ থাকে। এক্ষেত্রে যারা অতিরিক্ত পরিমাণের ডায়েট করেন তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট করুন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন ট্যাবলেট
টেস্টোস্টেরন সাপ্লিমেন্ট অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি জিনিস। যারা সাধারণত নিজের শরীরে এই হরমোন বৃদ্ধির জন্য ট্যাবলেট খান এবং সেটা না জেনেই খান তাদেরকে বলবো একেবারেই বন্ধ করে দিন এই ট্যাবলেট খাওয়া। এটা যাদের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে সেটা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে এ সময় শরীরে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন হওয়ার মান খুব কম। কিন্তু যাদের বয়স কম তারা কোনভাবেই এই ট্যাবলেট খাবেন না এবং এই ট্যাবলেট খাওয়ার কিছু খারাপ দিক আছে যেগুলো শুনলে আপনি অবাক হবেন।