আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যে হরমোন মিশ্রিত হয় সেই হরমোন যদি আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় থাকে তাহলে সেটা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই অনেকেই অনেক ধরনের চেষ্টা করে তবে যদি বিভিন্ন ঔষধ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সে পুরোপুরি সফল না হয় তাহলে বাড়িতে এমন একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে যে পদ্ধতি অবলম্বনের ফলে খুব সহজেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। আজকে আমরা এমন কিছু ব্যায়াম নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব যেই ব্যায়ামগুলো আপনারা বাসায় করতে পারেন এবং সেখান থেকে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
সাধারণত আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে এবং সেই তথ্যের আলোকে আমরা দেখতে পেরেছি তিন ধরনের ব্যায়াম আছে যেই ব্যায়ামগুলো আপনি নিয়মিত করতে পারেন। একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে পৃথিবীতে অন্তত ১৫ শতাংশ মানুষের থাইরয়েড জনিত সমস্যা আছে এবং এই সমস্যাগুলো অত্যন্ত পরিচিত। মহিলাদের মধ্যে এই থাইরয়েডের সমস্যা বেশি হয় এবং পুরুষদের মধ্যেও এ থাইরয়েডের সমস্যা আছে। থাইরয়েড হলে অবশ্যই আপনাকে একটি নিয়মের মধ্যে চলে আসতে হবে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু। তবে এই থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে আপনি যে কাজটি আলাদাভাবে করতে পারেন সেটা হচ্ছে ব্যায়াম করা।
থাইরয়েড কিভাবে কমানো যায়
ভুজঙ্গাসন সাধারণত এটি হচ্ছে এক ধরনের ব্যায়াম এর নাম যেটা আপনি নিয়মিত করলে অবশ্যই আপনার শরীরে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এই ব্যায়ামটি করতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে উপর হয়ে দু পা সোজা করে রেখে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখতে হবে। এরপরে কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে মাথা ঘাড়ের দিকে হেলিয়ে ওপরের দিকে তাকানো যায়। এ অবস্থাতে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে এইভাবে প্রতিদিন অন্তত ১০ বার করে এই ব্যায়াম আপনি করতে পারেন থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য।
হলাসন
এটা হচ্ছে আরেক ধরনের ব্যায়াম এই ব্যায়ামে সর্বপ্রথমে আপনাকে চিত হয়ে শুরু করতে হবে। এরপরে কোমরে ভর দিয়ে পা দুটি ধীরে ধীরে উপরে তুলতে হবে এবং খেয়াল করতে হবে যেন ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দুটিকে মাথার ওপর দিয়ে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে হবে এবং ধীরে ধীরে পিঠ মাটি থেকে এমন ভঙ্গিতে তুলতে হবে যাতে পায়ের আঙ্গুল গুলি মাটি স্পর্শ করে। এবার বুকের কাছে থুতনি নিয়ে আসতে হবে এবং হাতের তালু পিঠ এভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এই আসনটি কিছু সময় ধরে আপনাকে থাকতে হবে।
সর্বাঙ্গসন
এই জায়গাতে সাধারনত উপরে আসনটির মতন আসন করার জন্য প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়তে হবে তারপর পিঠের উপর ভর দিয়ে দুহাত তাহলে সাহায্যের কোমর ও পা দুটি উপরে তুলে ধরতে হবে। এবার কোন থেকে হাতবাজ করে পিঠটা ছেড়ে দিয়ে তালুর ওপর এবং কাঁধ ও কোমর পায়ের পাতা যেন একসাথে সরলরেখায় থাকে এগুলো খেয়াল করতে হবে। বুকের সঙ্গে থুতনি স্পর্শ করে সৃষ্টি স্থির করে সরাসরি পায়ের পাতার দিকে তাকাতে হবে।
থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে যোগ ব্যায়াম
থাইরয়েড অনেক জটিল একটি সমস্যা এ সমস্যার সমাধানে ওপরে উল্লেখিত তিনটি ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকরী। তবে সমস্যার বিষয় হল আমাদের ওজন যদি কম না থাকে তাহলে এই ব্যায়ামগুলো আমরা করতে পারবো না। এছাড়াও এই যোগ ব্যায়ামগুলো করার জন্য প্রচুর পরিমাণে অভ্যাসের প্রয়োজন রয়েছে তাই আপনি একদিনে সবকিছু করতে পারবেন না। আপনাকে শুরু করতে হবে একমাস অথবা ২ মাস অথবা ছয় মাস সময় লাগতে পারে পুরোপুরি ব্যায়ামগুলো করার জন্য এখানে ধৈর্য হারা হলে চলবে না।