আমাদের শরীরের ওজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। আমাদের শরীরের অনেক কিছুই নির্ভর করে শারীরিক ওজনের ওপর। সাধারণত একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে আমাদের শরীরের উচ্চতার সঙ্গে ওজনের একটি সামঞ্জস্য থাকার প্রয়োজন রয়েছে। উচ্চতার সঙ্গে যদি আমরা ওজনকে মেলাতে না পারি তাহলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। প্রত্যেকের উচ্চতার সঙ্গে তার ওজনের মিল রেখে চলতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা দেখা যায় যে কারো উচ্চতা থেকে ওজন কম আবার কারো উচ্চতা থেকে ওজন বেশি।
তবে আপনার যদি উচ্চতা থেকে ওজন বেশি থাকে তাহলে কিভাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করবেন সেই সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। যাদের উচ্চতা থেকে ওজন বেশি তারা অবশ্যই এই সমস্যা নিয়ে পড়ে আছেন। যখন উচ্চতা থেকে ওজন বেশি হয় তখন সেটা সত্যি অনেক কষ্টকর ব্যাপার। তবে উচ্চতা থেকে ওজন বেশি হলে সবার প্রথমে যেই কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং মনোবল বৃদ্ধি। আপনার মনোবল যতটা শক্তিশালী হবে আপনি ততটাই তাড়াতাড়ি এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন।
দ্রুত ওজন কমানোর কিছু টিপস
দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবথেকে প্রথম টিপস হচ্ছে আমার পক্ষ থেকে দ্রুত ওজন কমানোর কোন প্রয়োজন নেই। তার কারণ হচ্ছে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটা আপনি যত দ্রুত করতে যাবেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ততটাই খারাপ হবে। এটা এতটাই খারাপ হবে যে আপনার শরীরের ওজন অবশ্যই কমবে কিন্তু সেটা আপনার শরীরকে কতটা দুর্বল করে দেবে আপনি চিন্তাও করতে পারেন না। আমি এটা বোঝাতে চেয়েছি যে অবশ্যই ওজন কমাতে হবে কিন্তু তার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম মেনে এবং একটু সময় দিয়ে আস্তে আস্তে ওজন কমাতে হবে। আপনি মনে করছেন এক মাসে 10 কেজি ওজন বা এক মাসে 5 কেজি ওজন কমাবেন এটা একেবারেই ভুল চিন্তা ভাবনা যার কারণে আপনার শারীরিক দুর্বলতা তৈরি হতে পারে এবং এখান থেকে অস্বাভাবিক কিছু ঘটতে পারে।
দ্রুত ওজন কমাতে যা করবেন
দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা উপরে যে কথাটি উল্লেখ করেছি সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু পরিকল্পনা করতে হবে প্রথম পরিকল্পনা হচ্ছে আপনি কত দিনে কতটুকু ওজন কমাতে চান। এক্ষেত্রে আপনি যদি শুরুর দিকে খুব অল্প পরিমাণে শুরু করেন যেমন প্রতি মাসে অন্তত দুই কেজি ওজন কমাবেন তাহলে সেটা ভালো।এরপরে আপনাকে যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনি এই দুই কেজি করে ওজন কিভাবে কমাবেন। অবশ্য এখানে আপনাকে দুটি কাজ করতে হবে সেটা হচ্ছে শারীরিক পরিশ্রম এবং খাবার নিয়ন্ত্রণ।এখন আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন সারাদিনের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করার পরে আপনি যে শারীরিক ব্যায়াম বা পরিশ্রম করবেন সেটা কখন করবেন এবং কতটুকু করবেন। সাধারণত খুব সকালে এবং বিকেলের দিকে শারীরিক পরিশ্রম করলে সেখানে বেশি ক্যালরি বার্ন করা যায় তাই আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে আপনি কখন এটা করতে চাচ্ছেন।
খাবারের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি সতর্ক হতে হবে। অনেকে আছে শরীরের ওজন কমাতে গিয়ে একেবারেই না খেয়ে থাকে যার কারণে তার শরীর ভেতরে ভেতরে দুর্বল হয়ে যায়। এই অবস্থাতে আপনি শর্করা খাওয়া কমিয়ে দিতে পারেন তবে আপনাকে আমিষ খেতে হবে। সাধারণত আমিষ বলতে বোঝানো হয়েছে প্রোটিন এবং সেটা হতে হবে উপকারী প্রোটিন।লাল মাংস বাদে যে প্রোটিন গুলো রয়েছে উপকারি প্রোটিন সে প্রোটিন গুলো যত বেশি পরিমাণে খাবেন সেটা আপনার শরীরে জমা থাকা খারাপ ছবিগুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করবে পাশাপাশি আপনার শরীরকে শক্তিশালী রাখবে।এই বিষয়গুলো নিয়ে বসুন এবং যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করার তথ্য সংগ্রহ করুন চাইলে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া কেউ ব্যবহার করতে পারেন তথ্য সংগ্রহের জন্য। আশা করছি ধৈর্য সহকারে আপনি যদি মনোবল বজায় রাখতে পারেন এবং পুরো বারো মাস চেষ্টা করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনি সফল হয়েছেন।