আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে ফ্যাটি লিভারের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করেছি। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন দেখে আমরা খুব ভয় পেয়ে যায় তার কারণ হচ্ছে সেই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে পৃথিবীতে এখন বর্তমানে সব থেকে বেশি যে রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে সেটা হচ্ছে ফ্যাটি লিভার। তবে এই রোগের সব থেকে খারাপ দিক হচ্ছে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয়ে মানুষ বুঝতে পারছে না তার সমস্যা হয়েছে এবং এই রোগে চিকিৎসা করানোর জন্য সবথেকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে।
আমাদের বাংলাদেশে এই রোগ নিয়ে কোন ধরনের চর্চা নেই এবং এই রোগ আছে কিনা সেটাও অনেকে জানেন। এরকম অবস্থা থেকে আজকে আমরা আপনাদের জন্য সচেতনতামূলক কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হলাম আশা করছি সেই তথ্যগুলো আপনাদের অবশ্যই কাজে আসবে। ফ্যাটি লিভার মোকাবেলা করার জন্য শারীরিক ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি কিভাবে খুব সুন্দর হবে এই জিনিসগুলোকে সাজিয়ে নেবেন সে সম্পর্কে আজকে আমরা দিকনির্দেশনা দেব।
ফ্যাটি লিভার হলে কোন কোন ব্যায়াম করবেন
শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম যাদের একেবারে হয় না তাদের ক্ষেত্রে ফ্যাটিলিভার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই অবস্থাতে অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম করতে হবে। জীবিকা নির্বাহের জন্য আপনি যেই কাজটি করছেন অবশ্য সেই কাজটি আপনাকে করতে হবে এরপরে আপনাকে একটু সময় খুঁজে বের করতে হবে খুব সকালের দিকে অথবা বিকেলের দিকে। আস্তে আস্তে শারীরিক ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে হঠাৎ করে আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকারক হবে।
আপনাকে একটা পরিকল্পনা করতে হবে যে পরিকল্পনাতে প্রথম এক মাসে আপনি শুধু হাঁটাচলা করেন এবং আস্তে আস্তে সেটাকে ব্যায়ামে রূপান্তরিত করেন। খুব অল্প অল্প করে আপনাকে শুরু করতে হবে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট এইভাবে এবং আস্তে আস্তে সেটাকে দিনে কিভাবে ২ ঘন্টা করা যায় এবং বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর থেকে কিভাবে চর্বি ঝড়ানো যায় সেই অভ্যাস করতে হবে। এরকমভাবেই আপনি যখন অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন তখন অবশ্যই আপনার শরীর থেকে এমনিতেই অতিরিক্ত চর্বি কমতে শুরু করবে।
ফ্যাটি লিভার কমানোর জন্য আলাদা যে ব্যায়াম আছে সেটাকে যোগব্যায়াম বলা হয়। সাধারণত সকলেই এই ব্যায়ামগুলো করতে পারেনা যোগব্যায়াম করতে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য এবং প্রচুর পরিমাণে অভ্যাস করতে হয়। আপনি যত বেশি অভ্যাস করবেন এই ব্যায়াম এর অ্যাকিউরিসি ততই বাড়বে।
ফ্যাটি লিভার হলে কোন কোন খাবার খাবেন
ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে সবথেকে বড় খাবার হচ্ছে ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার। মাছের চর্বিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি পাওয়া যায়। আর যেই মাছগুলোতে সবথেকে বেশি ওমেগা থ্রি থাকে সেগুলো হচ্ছে সমুদ্রের মাছ। যাদের ফ্যাটি লিভার হয়েছে তারা এই ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং পেটের চর্বি কাটানোর জন্য এই ওমেগা থ্রি খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে চেষ্টা করবেন এই অবস্থাতে মাছগুলো যাতে অতিরিক্ত তেল চর্বি দিয়ে বা মসলা দিয়ে না রান্না করা হয় সম্ভব হলে খুব অল্প পরিমাণ মসলা দিয়ে সেদ্ধ করে মাছগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ফ্যাটি লিভার এর ঔষধ
ফ্যাটি লিভারের ঔষধ সম্পর্কে বলতে গেলে ফ্যাটি লিভারের ঔষধ এখন পর্যন্ত বের হয়নি। সাধারণত এটা এমন একটি সমস্যা যেটা খাদ্যের অভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে এবং যদি খাবারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে এটা আবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে তাই এটার প্রয়োজন হয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে যারা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা তাদের ক্ষেত্রে ঔষধ অত্যন্ত জরুরী সে ক্ষেত্রে একটি মাত্র ওষুধ বের হয়েছে যেটা নিয়ে আমার অন্য একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তবে অবশ্যই আপনাকে ফ্যাটি লিভার নির্মূল করার জন্য সবার প্রথমে গুরুত্ব দিতে হবে নিজের খাবারের উপর।