যদি কারো ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ে তাহলে সে কি করবে এরকম চিন্তা ভাবনা অনেকের মধ্যে থাকে। হঠাৎ করে যদি এই রোগ ধরা পড়ে তাহলে অনেকেই ঘাবড়ে যায় তার কারণ হচ্ছে এটা অত্যন্ত অপরিচিত একটি লোক যেই রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অনেকেই হিমশিম খায়। যদি এ রোগা আক্রান্ত হয় তাহলে সবার প্রথমে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে হয় সেটা হচ্ছে খাবারের অভ্যাস। চলুন জানার চেষ্টা করি যে ধরনের খাদ্যাভ্যাস আপনি মেনে চলতে শুরু এই সময়ে।
ফ্যাটি লিভার হলে খাবারের তালিকা
সাধারণত যারা অ্যালকোহলিক আছেন তাদের জন্য ফ্যাটি লিভার স্বাভাবিক একটি সমস্যা। এলকোহলিকরা যেকোনো সময় ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হতে পারে। এটা নতুন কোন সমস্যা না যারা অ্যালকোহলিক আছেন তাদের ফ্যাটি লিভার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাই এটা একেবারে বর্জন করতে হবে।এই অবস্থাতে বর্জন করতে হবে চা খাওয়ার অভ্যাস অর্থাৎ যারা বেশি বেশি চা খেতে পছন্দ করেন এবং সেটা দুধ অথবা কফি দিয়ে হোক না কেন এগুলো অত্যন্ত সাংঘাতিক ব্যাপার। যারা ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্য এই খাবার একেবারেই বর্জন করতে হবে।
ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে চেষ্টা করতে হবে নিজের খাদ্য তালিকা কে খুব সুন্দর ভাবে সাজাতে। ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো বেশি প্রাধান্য দিতে হবে তার কারণ হচ্ছে ফাইবারযুক্ত খাবারগুলো পাকস্থলীতে বেশিক্ষণ থাকে এবং তারা খুব সহজেই হজম হয় যার কারণে আপনার ক্ষুধা কমতে শুরু করবে এবং আপনার ওজন কমে আসবে এবং এভাবে ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে আপনাকে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং সবুজ ফলমূল খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শাক আপনি খেতে পারেন এর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন মিষ্টি কুমড়া থেকে শুরু করে গাজর বা সিম বরবটি এ ধরনের ছুটি জাতীয় খাবার নিয়মিত আপনাকে অবশ্যই খেতে হবে এই রোগ প্রতিরোধের জন্য।
ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যদি একেবারে প্রোটিন গ্রহণ করা বন্ধ করে দেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা সাধারণত যেই তেল ছবিগুলো খাই সেগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকারক তেল চলবে যেগুলোর কোন উপকার নেই সেগুলোকে একেবারেই বর্জন করতে হবে এই অবস্থাতে। কিন্তু যেগুলো উপকারী প্রোটিন বা তেল চড়বে যেমন ওমেগা থ্রি ফ্যাট এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এ অবস্থাতে।এই চর্বি আসবে সমুদ্রের মাছ থেকে এছাড়াও বাদামের মধ্যে যে চর্বিগুলো রয়েছে এবং ডালের মধ্যে যেই চর্বিগুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের অল্প অল্প করে খেতে হবে নিজের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে।
ফ্যাটি লিভার এর পরীক্ষা
ফ্যাটি লিভারের জন্য সাধারণত যে চিকিৎসা করা হয় সেখানে অবশ্যই কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা আপনাকে করতে হবে। সবার প্রথমে যে পরীক্ষার মাধ্যমে ফ্যাটিলিভার সনাক্ত করা হয় সেটা হচ্ছে আলট্রাসনোগ্রাফি। এরপরে সমস্যা গুরুতর হলে সিটি স্ক্যান করাতে হবে এবং এমআরআই পরীক্ষাও অনেকের ক্ষেত্রে করানো লাগতে পারে। সাধারণত দুই ধরনের ফ্যাসিলিভার শনাক্ত হয় একটা হচ্ছে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ আর একটা হচ্ছে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। এছাড়াও ফ্যাটি লিভার এর গ্রেট পরীক্ষা করার জন্য রক্তের মাধ্যমে একটি পরীক্ষা করা হয়।
ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা
যদি ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসার কথা বলি তাহলে এটার জন্য আলাদাভাবে কোন ঔষধ বের হয়নি। শুধুমাত্র একটি ওষুধ বের হয়েছে যেটা নিয়ে আমরা আগে কথা বলেছি আমাদের অন্য আর্টিকেলে এবং সেই ওষুধের নাম হচ্ছে ওবিটাকলিক। শুধুমাত্র এই ওষুধের ব্যবহারে কখনোই ফ্যাটি লিভার ভালো হয় না।এ চিকিৎসায় আপনাকে নিজের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে কিছু উপকারী চর্বি খেতে হবে যেমন ওমেগা থ্রি যেটা পাওয়া যায় সমুদ্রের মাছের মধ্যে।