সেগুলো ফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড এমন একটি ঔষধ যেটা বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম। এই হেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ইচ্ছেমতো নামকরণ করে বাজারজাতকরণ করছে বাজারে এই ট্যাবলেট গুলো। এখানে আপনি ১২০ মিলিগ্রামের ভেরিয়েন্ট এর সঙ্গে পেয়ে যাবেন ষাট মিলিগ্রাম এর সঙ্গে ১৮০ মিলিগ্রাম এর ফেক্সোফেনাডিন ট্যাবলেট। এখানেই শেষ নয় যেহেতু এটা একটি অ্যান্টিহিস্টামিন তাই শিশুদের ক্ষেত্রেও এটা প্রয়োগ করা যায়।
শিশুদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের ক্ষেত্রে 30 মিলিগ্রাম অথবা 5 এম এল এর সিরাপ পাওয়া যায় বাজারে। তবে বাজারে যেটাই পাওয়া যাক না কেন বা যেই কোম্পানি এটা বাজারজাত করুক না কেন সবার প্রথমে জানতে হবে এর কাজ কি। শুধু কাজ জানলে হবে না সঠিক মাত্রা কি সেটাও জানতে হবে তার কারণ হলো আমাদের দেশে একটি প্রবণতা আছে অসুখ হলেই টুক করে ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলা। কি অসুখ হলো বা তার জন্য এই ঔষধ সঠিক কিনা অথবা আপনি যে পরিমাণ খাচ্ছেন সেটা সঠিক আছে কিনা সেটা বলার বা জানার কেউ নাই শুধু কেনার আর খাওয়ার লোক আছে।
ফেক্সোফেনাডিন ট্যাবলেট এর সঠিক নির্দেশনা
ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেট একজন ডাক্তার কেন নির্দেশনা দেবেন সেটা এখন জানবো। চিকিৎসা ভাষায় বলতে গেলে এলার্জিক রাইনাইটিস নামক অসুখে যদি আপনি আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই এই ঔষধ ডাক্তার আপনাকে নির্দেশ করবে। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে মৌসুমী এবং অন্যান্য এলার্জিক রিএকশন যদি দেখা যায় তাহলে এটা নির্দেশিত হয়। এই গুলোর মধ্যে রয়েছে ঘনঘন হাঁচি হওয়া শরীরে চুলকানির মতন বের হওয়া এছাড়াও চোখ লাল হয়ে যাওয়া এই ধরনের লক্ষণ।
এছাড়াও আরও একটি সমস্যার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় এবং চিকিৎসার ভাষায় ক্রনিক ইডিয়প্যাথিক আটিক্যারিয়ার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। এখানে মূলত ছত্রাক এর লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিলে অথবা চাকার সংখা এবং উল্লেখযোগ্য হারে এটার উপসর্গ বৃদ্ধি পেলে সাধারণত ফেক্সোফেনাডিন ঔষধ দেওয়া হয়।
ফেক্সোফেনাডিন ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক মাত্রা
যদি কোন এলার্জিক রিএকশন এর কারণে আপনি এই ওষুধটি খেতে চান তাহলে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ যে সকল রোগীর বয়স 12 বছরের উপরে তাদের ট্যাবলেট ৬০ গ্রাম করে দৈনিক দুইবার অথবা ১২০ মিলিগ্রাম করে দৈনিক একবার খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও বৃক্কীয় কার্যকারিতা কমে গেলে দৈনিক ৬০ মিলিগ্রাম করে খাওয়া যেতে পারে একভাগ।
এ সকল রোগীদের বয়স ৬ থেকে ১১ বছর তাদের জন্য ট্যাবলেট ৩০ মিলিগ্রাম করে দৈনিক দুইবার অথবা ৬০ মিলিগ্রাম করে দৈনিক একবার এবং বিক্রিয় কার্যকারিতা কমে গেলে ৩০ মিলিগ্রাম করে দিনে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও যারা একেবারেই কম বয়স অর্থাৎ ২ থেকে ১১ বছর বয়সের শিশু তাদের জন্য ৩০ মিলিগ্রাম অথবা ৫ মিলি লিটার এক চা চামচ দৈনিক দুইবার খাওয়াতে হবে। এছাড়াও বৃত্তীয় কার্যকারিতা কমে গেলে ৩০ মিলিগ্রাম অথবা পাঁচ মিলিমিটার এক চা চামচ দৈনিক একবার খাওয়াতে হবে। এটা উল্লেখ্য যে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধের পরিমাণ কম বেশি করা যেতে পারে।
ফেক্সোফেনাডিন ট্যাবলেট এর বিশেষ ব্যবহার
ফেক্সোফেনাডিন ট্যাবলেট এর বিশেষ ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গেলে আমরা বলতে পারি চিকিৎসার ভাষায় রেনাল এবং হেপাটিক প্রতিবন্ধী রোগের ক্ষেত্রে। এছাড়াও বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন কিডনি ফাংশন কমে যাওয়ার রোগীদের প্রাথমিক ডোজ হিসেবে প্রতিদিন ৬০ মিলিগ্রাম ডোজ সুপারিশ করা হয়। মাঝারি থেকে গুরুতর হেপাটিক রোগাফেনাডিনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ৬৫ বছরের কম বয়সী রোগীদের তুলনায় এই গ্রুপের প্রতিকূল ঘটনাগুলি একই রকম ছিল তবে এই বয়সের বেশি রোগীদের ক্ষেত্রে ফিক্সোফেনাডিনের ফার্মা পরিবর্তিত হয়।