সাধারণত কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে সবার প্রথমে খেয়াল রাখতে হয় কিডনি রোগের খাবারের উপর । কারন এতটা অসুস্থ হওয়ার পরেও যারা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না তারা পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেনা কিডনি রোগ থেকে। আজকে আমরা আমাদের এই ছোট্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে কোন কোন খাবার আপনি খেতে পারেন।মূলত এই খাবারগুলো খাওয়ার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে এর কারণে যাতে করে এই খাবারগুলো খেয়ে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন। চলুন আজকের আলোচনা থেকে আমরা জানার চেষ্টা করি কিডনি রোগের জন্য যে খাবারগুলো খেতে হবে তার একটি তালিকা আশা করছি এই তালিকা আপনাদের পছন্দ হবে।
কিডনি রোগ হলে কি খাবেন
বিভিন্ন অবস্থাতে রোগীদের শারীরিক অবস্থা বিভিন্ন থাকে তাই সবার ক্ষেত্রেই যে একই জিনিস বারবার প্রযোজ্য হবে এটাও ভুল ধারণা। কিডনির সমস্যা ধরা পড়ার পর থেকেই চেষ্টা করতে হবে প্রোটিন এবং আমিষ জাতীয় খাবার একেবারেই কমিয়ে দিতে। সাধারণত আমি জাতীয় খাবার অত্যাধিক কমিয়ে দিলে পুষ্টিহীন হয় এতে প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। তবে এটার জন্য কিডনির উপর চাপ পড়তে পারে তাই এই বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে।কিডনির সমস্যা হলে ফল ও শাকসবজি খাওয়া যাবে। এটা ভুল ধারণা যে কিডনি রোগীর সবসময় যেকোনো ধরনের শাকসবজি খাওয়া যাবেনা এটা একেবারেই ভুল ধারণা। শুধুমাত্র কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের কিছু কিছু খাবার অল্প খেতে হবে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ডাবের পানি এর পাশাপাশি রয়েছে কলা ও খেজুর এছাড়াও শুকনা ফল অনেকের ক্ষেত্রে আলু টমেটো খাওয়া নিষেধ করা যেতে পারে তবে এগুলো শুধুমাত্র এক শ্রেণীর রোগীদের জন্য।
অন্যান্য রোগীরা এই খাবারগুলো বেশি বেশি খাবে এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাবে অবশ্যই। খাবারে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।অবশ্যই এই বিষয়গুলো খুঁটিনাটি বিষয়ে তাই খুব গুরুত্ব দিতে হবে এই বিষয়গুলোতে যাতে করে এগুলো কোনভাবেই মিস না হয়।
কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে
অনেকেই জানতে চান কিডনি রোগের দুধ খাওয়ার অনুমতি আছে কিনা আমরা বলব কিডনির জিএফ আর শার্ট এরকম হলে দিনে ১০০০ গ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম না খাওয়া ভালো। ছয় মাস অন্তর রক্তে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করে প্রয়োজন হলে খেতে হবে বলে চিকিৎসা করা বলেন তাই এখানে দুধ খাওয়া যাবে কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় দুধ খাওয়া যাবে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে।
কিডনি রোগের ঔষধের নাম
অনেকে কিডনি রোগের ঔষধের নাম জানতে চেয়েছেন। কিডনি অনেক জটিল একটি লোক এই রোগের সমস্যার সমাধান করতে হলে সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন। যদি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করা হয় তাহলে রোগের জন্য সেটা খারাপ হতে পারে।বিভিন্ন ধরনের রোগের ক্ষেত্রে কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এটার মূল কারণ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রোগের শারীরিক অবস্থা বিভিন্ন ধরনের এবং এই কিডনি রোগ এত তাড়াতাড়ি ওঠা নামা করে যে সেটা অকল্পনীয়।
ভাই অনেক কিছু বিবেচনায় এনে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন কোন রোগীকে কোন ঔষধ দিলে সেটা সব থেকে ভালো হবে। শুধুমাত্র ঔষধ খেলে চলবে না কিডনিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিয়ম।কি দিয়ে সুস্থ থাকতে আপনি যে নিয়ম মেন্টেন করেছেন অসুস্থ হওয়ার পরেও আপনাকে ঠিক তেমন নিয়ম মেন্টেন করতে হবে তবে সেটা ভালো নিয়ম হতে হবে। সব সময় নিয়মের মধ্যে না থাকলে কোনভাবে কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না এটা আমরা সকলেই জানি।