আমাদের জীবনে সবথেকে বড় যে রোগ গুলো রয়েছে তার মধ্যে একটি রোগ হচ্ছে ব্রেন স্টক। এই সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যেই হতে পারে এবং এটা এতটাই সাংঘাতিক যে ঝড়ের মতো এসে সবকিছু তছনছ করে দিয়ে চলে যায়। এটা সত্যিই বড় ধরনের একটি রোগ এবং এই রোগ কারো ক্ষেত্রে খুব সামান্য ক্ষতি করে যায় আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এতটাই বড় ক্ষতি করে যায় যেটা সারাজীবন তাকে পোহাতে হয়। এই সমস্যার কারণে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় নিশ্চিত হতে হবে সেটা হচ্ছে সঠিক খাবার রোগী পাচ্ছে কিনা।
এখানে যে দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে সে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এমন কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে খাবারগুলো অবশ্যই এই সময় প্রয়োজন আছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই রোগীকে নিশ্চিত করতে হবে যা আমরা বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি ফলমূল থেকে সংগ্রহ করতে পারে। সাধারণত এই উপাদানগুলোতে থাকা কিছু উপকারী জিনিস ক্ষতিপূরণ করতে এবং মস্তিষ্কের কোষ গুলোকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও চিকিৎসকরা সব সময় এই ধরনের রোগীদের বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন বাদাম এছাড়াও অত্যন্ত পুষ্টিগুণ এবং ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ ও ডিম খেতে বলেন। এছাড়াও আঙ্গুর ও আঙ্গুর জাতীয় ফলগুলো খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে। গ্রিন টি এবং পুষ্টিকর মাছ ও মাংস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি তবে এগুলো অবশ্যই ভেজাল মুক্ত হতে হবে।
স্ট্রোক প্রতিরোধের খাবার
স্ট্রোক সাধারণত কোন উপসর্গ দেখে আসে না হঠাৎ করেই চলে আসে। হঠাৎ করে স্ট্রোক হতে পারে এটা আপনি বুঝতে পারবেন না কিন্তু আপনি কিভাবে এটাকে প্রতিহত করবেন। এখানে প্রতিহত করার কিছু নেই আপনাকে আগে থেকেই প্রতিরোধ তুলতে হবে এবং প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে।
সাধারণত গুরুত্ব দিতে হবে শাকসবজির ক্ষেত্রে। তার কারণ হচ্ছে এই শাকসবজিতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার রক্ত নারীকে ক্ষয় হ্রাস করতে সহায়তা করে এবং এখানে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অত্যন্ত বড় ভূমিকা পালন করে। একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে যারা পটাশিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খায় তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি 24% কমে যায়।
এর মধ্যে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার হতে পারে কলা এছাড়াও ডাবের পানি ও আমরা ও আমলকি, বড়ই, লেবু, কমলালেবু, আম ও জাম। আলু, টমেটো ,গাজর ও ফুলকপি পটাশিয়ামযুক্ত খাবারের আরো কিছু তালিকা।
ব্রেন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম এর গুরুত্ব
ব্রেন স্টক এমন একটি জিনিস যেটা ঝড়ের মতো আসে এবং অনেক বড় ক্ষতি করে চলে যায়। এই ক্ষতি হওয়ার পরে অবশ্যই আপনি সেটাকে পুরোপুরি সারাতের না পারলেও কিছু নিয়ম আছে যার মাধ্যমে সে ৭০ পার্সেন্ট থেকে ৮০ পার্সেন্ট সুস্থ হতে পারবেন। এখানে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যায়াম । যারা প্যারালাইজড হয়ে যান তাদের ক্ষেত্রে ব্যায়াম হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক সময় সঠিক ব্যায়াম যদি করা হয় তাহলে সে অবস্থা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার নজিরও দেখা গেছে । বিভিন্ন চিকিৎসা করা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম দিয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন সমস্যার উপর নির্ভর করে এই সাধারণত ব্যায়ামগুলো নির্ধারণ করা হয় তবে চেষ্টা করতে হবে কোনভাবেই এটা যেন মিস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে।
ব্রেন স্টোক রোগের চিকিৎসা
এ রোগের প্রাথমিক যে চিকিৎসা আছে সেটা হচ্ছে রোগীকে সুস্থ রাখা। স্টক হয়ে যাওয়ার পরে রোগীর আর বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তার কারণ হচ্ছে ক্ষতি আগে হয়ে গেছে এখন শুধু উন্নতির চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই ঔষধ খেতে হবে এবং নিজের অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে কিছু কিছু রোগীর খেতে ব্যায়াম ও শরীর চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। মানসিক দিক দিয়েও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সমস্যা।