গনোরিয়া রোগের টেস্ট

সাধারণত উপসর্গ গুলোর মাধ্যমে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে সেই ব্যক্তি বা সেই মহিলা গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সাধারণত গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় এবং সেই উপসর্গ গুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় তবে আলাদাভাবে যদি টেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে কিছু পরীক্ষা করাতে হবে যার মাধ্যমে আপনার যদি গনোরিয়া রোগ সনাক্ত হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। গনোরিয়া টেস্টের চিকিৎসা করতে হলে সাভার প্রথমে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে কি কি টেস্ট করাতে হবে সে বিষয়ে

সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এটা অত্যন্ত ভয়ানক একটি রোগ তাই কখনো এটাকে অবহেলা করা যাবে না এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত এটি একটি যৌন রোগ সেটা সকলে অবশ্যই জানেন।এ রোগে আক্রান্ত সাধারণত রোগীদের মূত্রনালী এবং বায়ু পথে বা মুখ গহ্বর এবং চোখের বিভিন্ন জায়গাতে গনোরিয়ার জীবাণু দ্বারা সংক্রমণ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এটা মহিলা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই অনেক বড় একটি ভয়ের কারণ তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

গনোরিয়া রোগের লক্ষণ মহিলাদের

গনোরিয়া রোগের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে সেটা আলাদা আলাদা ভাবে দেখা দিতে পারে। সাধারণত যৌন পথে বিভিন্ন স্থানে গনোরিয়া রোগের লক্ষণ বা গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এ সময় মহিলারা যৌনি পথে বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া অনুভব করে। যারা পুরুষ সাদৃশ্য হলুদ স্রাব বের হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা এবং ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। গনোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে যদি শরীরে থাকে তাহলে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে যেটা অনেক বড় ক্ষতি।সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের উপসর্গ গুলো দেখা দেয় তবে এগুলো দেখে ভয় পাওয়ার কিছু কারণ নেই তার কারণ হচ্ছে যেহেতু ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ হয়ে গেছে সেও তো চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। সঠিক সময় যদি সঠিক চিকিৎসা করা হয় তাহলে খুব সহজেই সুস্থ হওয়া যাবে এখান থেকে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে গনোরিয়া রোগ বোঝার উপায়

পুরুষদের ক্ষেত্রে গনোরিয়া রোগ হয়েছে এটা বোঝার উপায় কি হতে পারে। সাধারণত মূত্রনালীতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ সৃষ্টি হতে পারে পুরুষদের ক্ষেত্রে গনোরিয়া আক্রমণের জন্য। পুরুষদের মূত্রনালী হতে পূজের মত বের হতে পারে এই গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে। অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়ার মতন সমস্যায় এবং জ্বালাপোড়া করে এ ধরনের সমস্যাও তৈরি হতে পারে অনেকের আবার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে হাটু বা অন্যান্য গেটে ব্যথা বা ফুলে ওঠার মতন সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীন হয়ে যাওয়ার মতন ঘটনাও ঘটতে পারে। সব সময় সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা করার চেষ্টা করতে হবে যাতে করে এই রোগ বড় কোন ক্ষতি না করতে পারে।

গনোরিয়া প্রতিরোধে উপায়

সাধারণত যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করতে পারলে সেটা সবথেকে ভালো হয় এবং সেটা এই রোগ প্রতিরোধে সব থেকে ভালো উপায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে যখন মাসিক হয় তখন পরিষ্কার কাপড় অথবা পরিষ্কার প্যাড ব্যবহার করতে হবে যেটা অত্যন্ত হাইজিন মেন্টেন করে চলার মধ্যে একটি। শামীম ভাই শ্রী একজন অসুস্থ হলে দুইজনে রয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। চেষ্টা করতে হবে স্বামী স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন নারী বা পুরুষের সঙ্গে দৈহিক মিলন যাতে না করা হয় এটা সব দিক দিয়ে অনৈতিক। যৌন মিলনের স্বামী স্ত্রী বিশ্বস্ততা জরুরী এবং এই ক্ষেত্রে অবশ্যই দুইজনকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। সাধারণত এই বিষয়গুলো যদি কেউ ফলো করে তাহলে গনোরিয়া সম্পর্কে তার ভালো একটি ধারণা হবে এবং গণডিয়া রোগ প্রতিরোধে এসে অনেক এগিয়ে থাকবে।