বিভিন্ন বড় ধরনের রোগ নির্ণয় করার জন্য সাধারণত সিটি স্ক্যান করা হয়ে থাকে। রোগী না করার ক্ষেত্রে এই সিটি স্ক্যান অনেক বড় ধরনের একটি টেস্ট এবং এটাতে বড় ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সিটি স্ক্যান এমন একটি মেশিন যেখানে খুব উন্নত মানের রেডিয়েশন এর মাধ্যমে রোগীর বিভিন্ন ধরনের রোগকে খুঁজে বের করা হয়। যেখানে খুব উচ্চমানের রেডিয়েশন ব্যবহার করা হয় সেখানে এ সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে আমরা বড় কোন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কিনা বা সিটি স্ক্যানের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা সেটা জানানোর চেষ্টা করব আজকের এই আর্টিকেলে।
অনেকেই বেশ কয়েকটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে থাকেন সিটি স্ক্যানের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে আজকে আমরা প্রত্যেকটি সম্ভাবনা নিয়েই আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। আপনারা যদি সঠিকভাবে সিটি স্ক্যানের এই সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হন তাহলে অবশ্যই নিজেকে সতর্ক রাখতে পারবেন এগুলোর পাশে প্রতিকার কারণে। সিটি স্ক্যান সাধারণত বড় ধরনের একটি পরীক্ষা যেখানে উচ্চমানের রেডিয়েশন ব্যবহার করে রোগীর মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুঁজে বের করা হয়।
সাধারণত রেডিয়েশন এর প্রভাবে বিকিরণের কারণে জন্মগত ত্রুটি আসতে পারে।তাই আমরা একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবো যারা গর্ভবতী অবস্থায় থাকেন তাদের বড় ধরনের সমস্যা হলেও সেখানে সিটি স্ক্যান করানো হয় না তার কারণ হচ্ছে এই অবস্থাতে সেটি স্ক্যান করানো উচিত হবে না। তাই গর্ভবতী মায়েদের সিটি স্ক্যান করানোর ক্ষেত্রে চেষ্টা করা হয় যতটা সম্ভব ততটা অপেক্ষা করতে তার কারণ হচ্ছে এর মাধ্যমে গর্ভে থাকা সন্তানের বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
সিটি স্ক্যান এর মাধ্যমে অবশ্যই ক্যান্সারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। এখানে এক ধরনের রেডিয়েশন এর প্রয়োগ করা হয় এবং এই রেডিয়েশন এর মাত্রা বেশি এবং এর সংস্পর্শে শরীরের ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যদি হঠাৎ করে শরীরের কোষের ডিএনএর ক্ষতি সাধন হয় এবং সেখানে কোন ধরনের পরিবর্তন হয় স্বাভাবিকভাবে সেখানে ক্যান্সারের কোষ উৎপাদন হবে এবং যা আমাদের জন্য মরণঘাতই হতে পারে। তাই অবশ্যই সিটি স্ক্যান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।
সিটি স্ক্যান এর প্রভাবে আরো অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় যেমন যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারকে জানিয়ে রাখা উচিত যে এই রোগের ডায়াবেটিস আছে সিটিস্ক্যান করানোর পূর্বে। সাধারণত সিটিস্ক্যান করার পূর্বে এবং পরে কিছু সময় ধরে ডায়াবেটিসের ওষুধ খাওয়া বন্ধ রাখা উচিত এ বিষয়ে চিকিৎসা করা পরামর্শ দেন। তবে খুব কম ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের কিডনির সমস্যা সিটি স্ক্যানের কারণে বাড়তে পারে তবে এটা খুবই বিরল।
সিটি স্ক্যান এর ব্যবহার
সিটি স্ক্যান এর ব্যবহার সাধারণত মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নির্ধারণের জন্যই করা হয়ে থাকে। বর্তমান বিশ্বে একটি রোগের রোগীর সংখ্যা প্রচুর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা হচ্ছে স্ট্রোক। সাধারণত স্ট্রোকের কারণে মানসিক অবস্থার যে পরিবর্তন হয় সেটা নির্ণয় করার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান ব্যবহার করা হয়। তবে এটা সামান্য একটি সমস্যা আরো বহু সমস্যা আছে যেগুলো নির্ধারণ করার জন্য সিটি স্ক্যান ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত হাড় এবং পেশীর বিভিন্ন ধরনের ব্যাধি বা টিউমার ও রক্ত জবা সংক্রমণ নির্ণয় করার জন্য এছাড়াও ক্যান্সার ও হৃদরোগ ও ফুসফুসের , লিভার ভরের মতো রোগ শনাক্ত করার জন্য এই সিটি স্ক্যান ব্যবহার করা হয়।
সিটি স্ক্যান এর খরচ
সিটি স্ক্যানের খরচ অনেক বেশি এবং আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি এই সিটি স্ক্যান খরচ ৩০০০ টাকা থেকে ছয় হাজার টাকার মত হতে পারে। সাধারণত সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে মূলত এই টেস্টের খরচ কম বেশি হতে পারে তাই আমরা আপনাদের একটি প্রাথমিক ধারণা দিয়ে রাখলাম।