ছোলার ক্ষতিকর দিক

খুবই অল্প পরিমাণে থাকলেও ছোলার কিছু ক্ষতিকারক দিক আছে। অবশ্যই আমাদের জানার চেষ্টা করতে হবে চলার ক্ষতিকারক দিকগুলো কি তাহলে আমরা এই ক্ষতিকারক দিক থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারবো। কাঁচা ছোলা খাওয়া অবশ্যই আমাদের জন্য উপকারী কিন্তু তার পাশাপাশি এমন কিছু অপকার হতে পারে যেগুলো আমরা জানিনা। চলুন আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা কাঁচা ছোলা খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করি।

কাঁচা ছোলার উপকারিতা সবারে জানা তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারিত দেখা যায় যেটা জানা অত্যন্ত জরুরী। অনেকের ক্ষেত্রে কাঁচা ছোলা ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এই ওজন বৃদ্ধি যদি যাদের অতিরিক্ত ওজন আছে তাদের ক্ষেত্রে হয় তাহলে সেটা তাদের জন্য অপকারী তাই চেষ্টা করবেন যাদের ওজন কম আছে তারা নিয়মিত কাঁচা ছোলা খাবেন ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

ছোলার অপকারিতা

সাধারণত যাদের বমির সমস্যা আছে তাদের নিয়মিত কাঁচা ছোলার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। যাদের নিয়মিত বমি হয় তারা একটু কষ্ট করে কয়েক দিন কাঁচা ছোলা খাওয়া বন্ধ করে রাখবেন যদি বমি সমস্যা আর সমাধান হয় তারপরে পুনরায় কাঁচা ছোলা খেতে পারেন।ছোলা খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা তেল মশলা দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছে যেটা আমাদের কাছে অত্যন্ত মজাদার এবং অত্যন্ত মুখরোচক। কিন্তু আমরা এটা বুঝতে পারি না যে এই তেল এবং অতিরিক্ত মশলার মাধ্যমে তৈরি করা খাবার আমাদের পাকস্থলীর জন্য কতটা ক্ষতিকারক তাই আমরা চেষ্টা করব যাতে শুধুমাত্র কাদা ছোলা আলাদাভাবে খেতে বা শুধুমাত্র সেদ্ধ করা ছোলা আলাদাভাবে খেতে।

একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে যাদের বদহজমের শক্তি কম তাদের কাঁচা ছোলা সহজে হজম করার ক্ষমতা নেই অর্থাৎ এই ছরাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। তাই যাদের পাকস্থলীর সমস্যা আছে তারা নিয়মিত এ কাঁচা ছোলা খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন তার কারণ হচ্ছে তাদের ফাইবার ক্রমযুক্ত খাবার খেয়ে পাকস্থলীকে কার্যকরী রাখতে হবে।অনেক সময় যাদের কিডনির সমস্যা আছে বা কিডনির ডায়ালাইসিস চলছে ঠিক সেই সময় কাঁচা ছোলা খাওয়া যাবে না তার কারণ হচ্ছে এটা পাকস্থলীতে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে যা কিডনিতে ডায়ালাইসিস করতে অনেক বেশি অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও যাদের শরীরে ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি আছে তাদের কাঁচা ছোলা খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।

মধু ও ছোলার উপকারিতা

আমি ছোটবেলায় দেখতাম পারার এক বড় ভাই মধুর সঙ্গে ছোলা মিশিয়ে খেতো। তখন তার উপকারিতা আমি বুঝতে পারিনি কিন্তু আস্তে আস্তে যখন বড় হয়েছে তখন মধুর সঙ্গে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আলাদাভাবে মধু এবং ছোলার উপকারিতা আমাদের সকলের জানা কিন্তু একই সঙ্গে যদি এই জিনিসটা খাওয়া হয় তাহলে তার উপকারিতা বাড়বে কিনা সেটা প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন।

মূলত আলাদাভাবে খাওয়ার একই সঙ্গে খাওয়া একই ব্যাপার তবে একসঙ্গে খেলে বিষয়টি এমন হয় যে এমন একটি সময় আপনি এই জিনিসগুলো খাচ্ছেন যেগুলো আপনার শরীরে সাথে সাথে কাজে আসবে যেমন খালি পেটে সকালে অথবা খালি পেটে বিকেলে। এছাড়াও কাঁচা ছোলা খেতে খুব একটা সাধের নয় তাই মধুর সঙ্গে খেলে এটার সাদ বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি নিয়মিত কাঁচা ছোলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন তার জন্যও হয়তো এই মধু আর ঝোলা একসঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।

অঙ্কূরিত ছোলার উপকারিতা

বহুত আগে থেকেই অঙ্কুরিত ছোলার খাওয়ার প্রচলন আমরা দেখে আসছি এখন সেটা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে শুধুমাত্র বাড়িতে নয় এখন এই ছোলা নিয়ে বাজারেও ব্যবসা হচ্ছে। বাজারের বড় বড় হোটেল বা ফুটপাতের বড় বড় ভাজার দোকানে অঙ্কুরিত ছোলা বিক্রি হচ্ছে যা খাওয়ার জন্য মানুষের লাইন লাগছে। সাধারণত ছোলা ভিজিয়ে রাখা হয় এবং সেখান থেকে যখন বিজ হিসাবে অঙ্করিত হয় সেই অবস্থাতে নিয়ে এসে সেটা বিক্রি করা হয় যার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।