ক্যান্সারের চিকিৎসায় ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি আছে যে পদ্ধতিগুলো থেকে ক্যান্সার পুরোপুরি সুস্থ হবে। এটা এখন পর্যন্ত বাস্তবসম্মতভাবে প্রমাণিত হয়নি। তবে ইতালির এক চিকিৎসক একটি বিষয়ে দাবি করেছেন এবং তিনি বলেছেন মাত্র 5 থেকে 10 টাকা মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যে ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। বাস্তবে এটা সম্ভব কিনা সেই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন ক্যান্সার এক ধরনের ফুসকুড়ি যা বেকিং সোডার সাহায্যে সহজে দূর করা যায়।
তার একটি বই আছে যে এই বইয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন বেকিং সোডার সাহায্যে সিমনসিনী শত শত রোগী চিকিৎসা করেছেন বলেও দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেছেন এই পদ্ধতির সাহায্যে তিনি সব রকম স্টেজের ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা করেছেন এবং এই ঔষধ সবার জন্য একশভাগ কার্যকর হবে। ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে বেদনাদায়ক বাস্তবতা রয়েছে তা কোনো না কোনো ভাবে অনকোলজি বা ক্যান্সার প্রতিরোধে অব্যর্থ উপায় আবিষ্কার ব্যর্থতার সাথে যুক্ত।
তিনি আরো অবাক করা বিবৃতি দিয়েছেন এবং এই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন যে কোন পর্যায়ের ক্যান্সার মাত্র ১০ দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে বেকিং সোডা খাবার সোডা ব্যবহার করে। তারমধ্যে যে ফুসকুড়ি জাতীয় ছত্রাক সব সময় তার সঙ্গে একটি টিউমার নিয়ে আসে এবং এটা সকল ধরনের গবেষণা তে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বিগত ২০ বছরের বেশি চিকিৎসা করেছেন এবং এমন কিছু রোগী পেয়েছেন যাদের সুস্থ ওঠার বিষয় অধিকাংশ চিকিৎসক হাল ছেড়ে দিয়েছেন কিন্তু তার চিকিৎসায় সেই রোগীগুলো সুস্থ হতে পেরেছে। ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের বেকিং সোডার সংস্পর্শে নিয়ে আসা। তবে বড় বড় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণা করে এই বিবৃতির সঠিক বাস্তবতা খুঁজে পাননি।
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
মেয়েদের ভয়ের আরেক কারণ হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার। মেয়েদের ক্যান্সারের মধ্যে সবথেকে বেশি ব্রেস্ট ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে রোগীরা মারা যাচ্ছে। পৃথিবীতে এমন বহু রোগীকে খুঁজে পাওয়া যাবে যারা ব্রেস্ট ক্যান্সারে যুদ্ধ করে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন। তবে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রত্যেকটি মহিলাকে নিজে থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।
যেসকল কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সার হয় সেই সকল কারণগুলোকে একেবারে বর্জন করতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে নিজে থেকেই সব সময় উপসর্গগুলোকে ফলো করতে। তার কারণ হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে তার সমাধান রয়েছে তবে আপনি যদি লাস্ট স্টেজে ক্যান্সার নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান তাহলে সেখানে চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।
কোলন ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
কোলন ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের চেষ্টা করে। বাংলাদেশে এই ক্যান্সারে চিকিৎসা পদ্ধতিতে তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সবার প্রথমে কেমোথেরাপি দেওয়া হয় এবং কয়েকটি কেমোথেরাপি দেওয়ার পরে সেই রোগীকে অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ করানোর চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে ল্যাপারোস্কপি অপারেশনের মাধ্যমে রোগের পেট কোনভাবেই কাটাছেঁড়া ছাড়াই কোলন ক্যান্সারের অপারেশন করানো হচ্ছে। এরপরে আবার কেমোথেরাপি দেওয়া হয় যদি প্রয়োজন পড়ে অপারেশন সময় রেডিও থেরাপের মাধ্যমে রোগীর সুস্থতা নিশ্চিত করা হয়। তবে এগুলো সবকিছু নির্ভর করবে ক্যান্সারের স্টেজ এর ওপর অর্থাৎ যদি স্টেজ খুব কম থাকে তাহলে সে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবে।
কি খেলে ক্যান্সার ভালো হয়
সাধারণত যদি কেউ প্রশ্ন করে কি খেলে ক্যান্সার ভালো হয় তাহলে সে প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব এমন কিছু উপাদান এখন পর্যন্ত বের হয়নি যেগুলো খেলে ক্যান্সার ভালো হয়। তবে ক্যান্সার প্রতিরোধে এমন কিছু খাদ্য আছে যেগুলো আমরা সাধারণ জীবনেই খেতে পারে এবং সেই খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারি যেটা ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের সাহায্য করবে। এই অভ্যাসটা প্রত্যেকটি পরিবারেই থাকা উচিত যাতে করে কোনোভাবেই ক্যান্সারের ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করতে না পারে।