কিডনি সিস্ট এর ঘরোয়া চিকিৎসা

কিডনিতে যখন সিস্ট হয় তখন সেটা অনেক চিন্তার কারণ। কিডনি কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে আমরা সমস্যায় পড়বো অর্থাৎ পুরো শরীর সঙ্গে সঙ্গে সেটা বুঝতে পারবে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস যদি আমরা অবহেলা করি তাহলে যেকোনো সময় সমস্যায় পড়তে পারি তাই কিডনিতে সিস্ট হলে কি করতে হবে সে সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা উচিত।আধুনিক যুগে নতুন নতুন রোগের আবিষ্কার হয়েছে এবং এই নতুন রোগের মধ্যে কিডনিতে সিস্ট হচ্ছে একটি। যদিও এটা অনেক আগে থেকেই ছিল কিন্তু প্রকাশ্যে মানুষের মধ্যে এর পরিচিতি খুব দেরিতে আসে। কিডনি সিস্ট নিয়ে আজকের এই আলোচনায় আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে তথ্য তুলে ধরব।

কিডনিতে সিস্ট হলে করণীয়

কিডনির সিস্ট সত্যিই অনেক বড় চিন্তার কারণ এবং সেই চিন্তার কারণ সম্পর্কে অনেকেই অনেক ধরনের মতবাদ দিয়েছেন। সাধারণত কারো যদি বয়স 15 থেকে 39 বছর হয় তবে এই ক্ষেত্রে প্রতি কিডনির তিন বা তার বেশি সিস্ট থাকতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে বয়স যদি 40 থেকে 59 হয় তাহলে প্রতি কিডনিতে নূন্যতম দুইটি করে সৃষ্টি থাকতে পারে।এছাড়াও আরো বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে যে বয়স যদি ষাটের বেশি হয় তাহলে একে কিডনিতে চার বা তার অধিক সিস্ট থাকতে পারে এবং পরিবারে অন্য কারো যদি সেট থাকে তাহলে এটি কে পলিসিস্টিক কিডনি রোগ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই শিষ্ট এর কারণে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং রক্তচাপ নিয়মিত মাপতে হবে এবং সেটা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করতে হবে। পাথর ও রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়মিত পরিমাপ করতে হবে তার কারণ হচ্ছে এগুলো অত্যন্ত জটিল সমস্যা। এইভাবে চলতে চলতে যদি কিডনি রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্য বড় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে প্রয়োজন পড়লে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করতে হবে। আশা করছি বিষয়গুলো আপনাদের সামনে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কিডনি সিস্ট কি এবং কিডনি সিস্টেম লক্ষণ ও চিকিৎসা

যদি কেউ প্রশ্ন করেন কিডনিতে সিস্ট বলতে কী বোঝানো হয়েছে তাহলে আমরা এখানে একটু আলাদাভাবে সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। কিডনিকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং দুই ভাগের মধ্যে বাইরের অংশে রয়েছে কর্টেক্স আর ভেতরের অংশ রয়েছে মেডুল।সিস্ট হলো এক ধরনের পানির থলি কর্টেক্স অঞ্চলে থাকতে পারে আবার পেলভিসের আশে পাশেও থাকতে পারে। সাধারণত এগুলোকে সিম্পল সিস্ট বলা হয় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমপ্লেক্সিস্ট বা জটিল কোন সিস্ট ধরা দিতে পারে। অনেক সময় এমন স্থানে এই সিস্টগুলো জন্ম নেয় যেখানে পিকনিকে দুইটি ভাগে ভাগ করা যায় না।

সাধারণত ছয় মাস পরপর দেখতে হবে সিস্ট বড় হচ্ছে কিনা কিংবা সিস্টের ভেতরে কোন অন্য পদার্থ তৈরি হচ্ছে কিনা। এক্ষেত্রে রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে তার কারণ হচ্ছে ২০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের কিডনিতে সিস্ট থাকলে তারা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন। অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়ার উপসর্গও থাকতে পারে তাই সব বিষয়ে চোখ কোন খোলা রেখে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

কিডনিতে সিস্ট কেন হয়

কিডনিতে সিস্ট হওয়ার কারণ হিসেবে আলাদা করে বলার কিছু নেই স্বাভাবিক কারণে কিডনিতে সিস্ট হতে পারে। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে কিডনি সিজ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে নিজের কিডনিকে নিয়মিত যত্ন করতে। এর জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে পরিমাণ মতো পানি পান করা এবং কোনভাবেই ধূমপান বা মদ পান না করা এগুলো হচ্ছে কিডনির যত্ন নেওয়ার কাজ।