ক্যান্সার কিভাবে হয়

ক্যান্সার কেন হয় এ বিষয়ে বহু গবেষণা পরিচালিত হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত সেই গবেষণা চলমান রয়েছে। তার কারণ হচ্ছে ক্যান্সারের সঠিক চিকিৎসা এখন পর্যন্ত বের করা যায়নি তাই সেই নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে এবং ক্যান্সারের উৎপত্তি নিয়েও গবেষণা চলমান আছে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে বিভিন্ন মতবাদ পাওয়া যায় তবে আমরা যেটা আজকে উল্লেখ করতে যাচ্ছি সেটা হচ্ছে এতদিন সকলের ধারণা ছিল সুস্থ কোষ থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হয় তবে কোন কারনে এই কোষের জেনেটিক করে অর্থাৎ জি এন এ তে বারবার পরিবর্তনও মিউটেশন ঘটে।

এবং সেটা একপর্যায়ে শরীরে সাধারণ নিয়মের বাইরে গিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে এবং তাকেই বলা হয় ক্যান্সার। পোস্টগুলো এমন ভাবে বৃদ্ধি পায় যেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়ায় এবং এই কোষগুলো আস্তে আস্তে শরীরে থাকা অন্যান্য ভালো কোষ গুলো কেউ নষ্ট করতে শুরু করে। যার কারণে মানব শরীরে ক্যান্সারের বিস্তৃতি লাভ করে এবং আস্তে আস্তে সেটা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে যদি বোঝা না যায়।

এই ভাবেই মূলত ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে তবে যাদের মনে ভুল ধারণা আছে ক্যান্সার এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ বা ক্যান্সার অন্যভাবে ছড়াতে পারে তাদেরকে বলবো এই ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে। ক্যান্সার শরীরের অভ্যন্তরে সংক্রমিত হয় এবং আস্তে আস্তে সেটা সেই স্থানে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এমন একটি পর্যায়ে আসে রক্ত এসে ক্যান্সারের ভাইরা ছড়িয়ে পড়ে এবং রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ক্যান্সার কিভাবে ছড়ায়

ক্যান্সার সাধারণত কোষের মাধ্যমে ছড়ায় অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে ওঠা কিছু ক্ষতিকারক কোষ যেটা শরীরের নিয়মের বাইরে চলে যায়। সাধারণ কোষগুলো যেভাবে আচরণ করে ক্যান্সারের কোষ গুলো ঠিক সেইভাবে আচরণ করে না তারা দেহের ক্ষতির জন্য কাজ করে যার কারণে সেগুলো ক্যান্সার এবং এগুলো আস্তে আস্তে এক কোষ থেকে আরেককোষে ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন নতুন ক্যান্সারের কোষের জন্ম দেয়।দের অভ্যন্তরে ক্যান্সার ছড়িয়ে যাই রক্তের মাধ্যমে অর্থাৎ এই কোর্সগুলো যদি রক্তের সঙ্গে মিশে যায় তাহলে সেটা অন্য জায়গাতে চলে যাবে এবং অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে। রাতে একবার ক্যান্সার প্রবেশ করলে সেটা ব্লাড ক্যান্সারের রূপান্তর হয় এবং ব্লাড ক্যান্সার অত্যন্ত সাংঘাতিক ক্যান্সার যেটা থেকে বেঁচে ফিরে আসা একেবারে অসম্ভব ব্যাপার।

ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা

ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার বর্তমানে বাংলাদেশে তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে কেমোথেরাপি। এই পদ্ধতিতে সফলতা পাওয়ার পরে অপারেশন করা হয় অর্থাৎ যে অঙ্গে ক্যান্সার হয়েছে সেই অঙ্গের উপর অপারেশন করা হয়। যে স্থানে ক্যান্সার হয়েছে সেই স্থানের ক্যান্সারের কোষগুলোকে অপারেশনের মাধ্যমে যদি সফলতা পাওয়া যায় তাহলে পরবর্তীতে আবার কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।এইভাবে যদি পরবর্তীতে রেডিওথেরাপির প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেই রোগীকে সর্বশেষ রেডিও খারাপের মাধ্যমে ক্যান্সারের চিকিৎসার পরিসমাপ্তি ঘটানো হয়। যাদের প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ স্টেজ ওয়ান অথবা স্টেজ টু ক্যান্সার ধরা পড়ে তাদের এই চিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যাদের শেষ পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে তাদের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।

কি কি কারনে ক্যান্সার হতে পারে

ক্যান্সার হওয়ার কারণ বলতে সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত কোষের বেড়ে উঠাকে বোঝানো হয়। এখানে রয়েছে বদ অভ্যাস যেমন ধূমপান অথবা মধ্যপান। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ইনফেকশন শরীরের অভ্যন্তরে পুষে রাখা। প্রচুর পরিমাণে তৈলাক্ত এবং বিষাক্ত খাবার খাওয়া যেগুলো আস্তে আস্তে ক্যান্সারের কোষ কে জন্ম দেয়।আমাদের শরীরে যে কোন ধরনের খারাপ জিনিস থেকে ক্যান্সার হতে পারে তাই প্রত্যেকটি জিনিসকে শরীরের অভ্যন্তরে পুষে না থেকে সেটাকে অবহেলা না করে আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারলে আমরা ক্যান্সার থেকে পুরোপুরি দূরে থাকতে পারবো।