লিভার ক্যান্সারের রোগী কত দিন বাঁচে

বাঁচা ভরা সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার হাতে। সাধারণত ক্যান্সার এমন একটি রোগ যেটা অনেক আগেই পৃথিবীতে এসেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তার প্রতিষেধক মানুষ আবিষ্কার করতে পারেনি। তাই গোটা বিশ্বব্যাপী এটা তার প্রভাব এখন পর্যন্ত দেখেই চলেছে। আশ্চর্যজনকভাবে নানা প্রচার-প্রচারণা এবং নানা সচেতনতার পরেও বর্তমানে ক্যান্সারের প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কেমন থাকে এবং তারা কত দিন বাঁচতে পারে এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন।

সাধারণত প্রাথমিক অবস্থাতে সফলভাবে ডায়াগনোসিস করা হলে একজন লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সুস্থ থাকতে পারেন ৫ থেকে ১০ বছর। সাধারণত যদি প্রাথমিক অবস্থাতেই ক্যান্সারের না ধরা পড়ে তাহলে একটি বিষয় নিশ্চিত সেই রোগীর চিকিৎসাতে আশানুরূপ বা সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া যাবে না এখানে চেষ্টা করা হবে রোগীর কষ্ট কমানো। আর যাদের অবস্থার প্রচুর অবনতি হয়েছে যেমন মনে করুন ৮০ পার্সেন্ট ছড়িয়ে পড়েছে তার লিভার ক্যান্সার তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার মাধ্যমে শুধু তাকে আরাম দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

লিভার ক্যান্সারের রোগীর বাঁচার উপায়

লিভার ক্যান্সার রোগীরা সাধারণত খুব কষ্টে জীবন যাপন করে এবং এই অবস্থাতে তাদের চেষ্টা থাকে কিভাবে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাবে। সাধারণত লিভার ক্যান্সারের একটি মুখ্য কারণ হচ্ছে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। যারা সাধারণত এই হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন না এবং সঠিক ভ্যাকসিন দেন না তাদের ক্ষেত্রে এই হেপাটাইটিস বিভাগ ফিরে এসে সেটা ক্যান্সারের রূপান্তরিত হতে পারে।

যদি এই রোগ থেকে বাঁচার চেষ্টা আপনি করেন তাহলে আপনাকে সরাসরি লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে হবে। তবে আমাদের যে কাজটি করা উচিত আমাদের পরিবার এবং সমাজে লিভার ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রত্যেকটি রোগ এই সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে প্রতিরোধ করা যাবে এবং আমরা যদি সেই কাজটি করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের জন্য সেটা অনেক বড় একটি পদক্ষেপ হবে। এখানে লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ এবং এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো অভ্যাস এবং ভালো লাইফস্টাইল গড়ে তুলতে হবে।

লিভার ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

লিভার ক্যান্সারের খাবারের তালিকা সাধারণত চিকিৎসকেরা নির্ধারণ করে দেয়। এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে লিভার ক্যান্সারের যে অবস্থা তার উপর নির্ভর করে সাধারণত সেই দিনগুলিতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। এই ক্ষেত্রে রোগীর ক্যান্সারের পরিমাণ অর্থাৎ রক্তে কি পরিমানে ক্যান্সার ছাড়িয়েছে এবং যে টিউমার লিভার অবস্থান করছে সে টিউমারের অবস্থান কেমন এরকম অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে মূলত খাদ্য তালিকা তৈরি করা হয়।

আমরা আপনাদের একটি আভাস দিতে পারি যেখানে নিশ্চিতভাবেই এমন কিছু খাবার দেওয়া হয় যেগুলো পাকস্থলীতে কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে না যেমন মনে করুন তরল ও নরম জাতীয় খাবার। তবে অবশ্যই এই খাবারগুলোতে যেন সঠিক পুষ্টিগুণ থাকে সেটা নিশ্চিত করা হয় এর পাশাপাশি এমন কিছু খাবার দেওয়া হয় যে খাবারগুলো থাকে একেবারেই তেল চর্বিভুক্ত। এই অবস্থাতে রোগীর খাবার হয় একেবারেই তেল চর্বি মুক্ত। সাধারণত এই ধরনের খাবারের একটি তালিকা চিকিৎসকরা তৈরি করে দেন যেটা অনুসরণ করলে এই অবস্থাতে রোগী অনেক বেশি আরাম পাবে।

লিভার ক্যান্সার কি ভালো হয়

জি অবশ্যই লিভার ক্যান্সার ভালো হয় তবে এটার জন্য অনেক কিছু নির্ভরশীল। সাধারণত একটি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ক্যান্সারের পরিমাণ কি এবং এটার স্টেজ কেমন তার ওপর নির্ভর করে মূলত তার চিকিৎসা করা হয় এবং তাকে সুস্থ করা হয়। তাই ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তার প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং ক্যান্সারের যে প্রাথমিক লক্ষণগুলো রয়েছে সেগুলো সকলকে জানান দেওয়া।