ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

দেখুন বাঁচা মরার ক্ষেত্রে মানুষের হাত নেই বললে চলে। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি ঠিক করে রেখেছেন আমরা কবে মারা যাব। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল যখন যেই মুহূর্তে আমাদের মৃত্যু লেখা আছে তার এক সেকেন্ড দেরি হবে না মৃত্যু হতে। এখানে কোন কিছু তার মৃত্যুর জন্য বা তার মৃত্যুকে প্রভাবিত করছে এটা বলা একেবারে ভুল হবে।একজন রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গিয়েছে আমরা অনেকেই ভুলবশত এই কথাটা বলে থাকি যে সেই রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এবং সে যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত না হতো তাহলে হয়তো এতদিন বেঁচে থাকত। কিন্তু এটা বলা ভুল হবে। অর্থাৎ ক্যান্সার তাকে বাঁচানোর বা মেরে ফেলার কেউ না এখানে সৃষ্টিকর্তা তার ওই মুহূর্তে মৃত্যু অবধারিত করে রেখেছিল বলেই সেই মৃত্যুবরণ করেছে।

ক্যান্সারের রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্যনীয় সেটা হচ্ছে যারা মৃত্যুবরণ করেন তাদের বেশিরভাগ এরে কিছু কমন সমস্যা থাকে। এই সমস্যা গুলোর মধ্যে প্রধান এবং প্রথম সমস্যা হচ্ছে তাদের ক্যান্সারের প্রাথমিক স্টেজে থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা যখন ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে চিকিৎসকের কাছে যান তখন তার স্টেজ খুব খারাপ অবস্থানে থাকে। তবে যাদের প্রাথমিক অবস্থানে ক্যান্সার ধরা পড়ে তাদের সঠিক চিকিৎসা সঠিক সময় দেওয়া হলে ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা অনেক বেশি। মৃত্যুবরণ করেন যারা তারা অনেক আগে থেকেই বুঝতে পারেন এবং তাদের চিকিৎসা কেডা সাধারণত তার বিভিন্ন লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখে একটি ধারণা দিতে পারেন যে সেই ব্যক্তি কতদিন বেঁচে থাকবে। তাই এখানে সঠিকভাবে বলা যাবে না ক্যান্সার হলেই যে ব্যক্তির মৃত্যুবরণ করবে কিনা এবং যদি মৃত্যুবরণ করো তাহলে কতদিনের মধ্যে করবে । এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে রোগীর শারীরিক অবস্থা তাই নিশ্চিত করে আলাদাভাবে এটা কেউ বলতে পারবে না।

ক্যান্সার রোগের স্টেজ কয়টি

ক্যান্সার রোগ নির্ণয় এর পরে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ক্যান্সারের স্টেজ নির্ণয়। একজন সুস্থ মানুষ হঠাৎ করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হলো এটা তার পরিবার এবং তার সমাজের কাছে সত্যিই আশ্চর্যের ব্যাপার। জীবনে কতইনা পরিকল্পনা ছিল এবং কত স্বপ্ন দেখেছিল সেই মানুষটি কিন্তু হঠাৎ করে তার মাথার ওপর এত বড় একটি জিনিস ভেঙে পড়বে সেটা কখনোই ভাবতে পারেনি। যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তাদের বেশিরভাগ মানুষই বাঁচার আশা ছেড়ে দেন তার কারণ হচ্ছে এটাই বাস্তবতা। তবে পরীক্ষার মাধ্যমে যদি স্টেজ নির্ণয় করা হয় তাহলে বোঝা যায় সেই রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনার ব্যাপারটা।ক্যান্সার রোগের সাধারণত চারটি স্টেজ আছে। এই চারটি স্টেজের মধ্যে প্রাথমিক যে স্টেজগুলো রয়েছে অর্থাৎ স্টেজ ওয়ান এবং স্টেজ টু এই দুইটি অবস্থানে যদি রোগীর সার্বিক অবস্থা থাকে তাহলে এখান থেকে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা রুগীতে সুস্থ করতে পারে। তাই সবার প্রথমে এটা নিশ্চিত করতে হবে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে তার শারীরিক অবস্থা কেমন।

ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ

ক্যান্সার রোগীর ওপর একটি গবেষণা চালানো হয় এবং গবেষণা থেকে কিছু লক্ষণ নিশ্চিত করা হয় যে লক্ষণ গুলো দেখে বোঝা যায় যে ক্যান্সার রোগীর সময় শেষ হয়ে এসেছে। সাধারণত এই গবেষণায় কিছু লক্ষণ চিহ্নিত করা হয় যেখানে ৫৭% রুগী এই লক্ষণগুলো নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে কিছু লক্ষণ হচ্ছে চোখের কার্যক্ষমতা কমে আসা এবং চোখে কম দেখা। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে কথা বলার মধ্যেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে অনেক রোগী শারীরিক দুর্বলতার বৃদ্ধি পায় অনেকের মাথা নিচের দিকে বা সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে। এ ধরনের আরো কিছু লক্ষণ আছে তবে লক্ষণ নিয়ে আমরা সম্পূর্ণ একটি আর্টিকেল তৈরি করেছি আশা করছি আপনারা সেখান থেকে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।