বীর্য তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে

বৈজ্ঞানিকভাবে একটি গবেষণায় দেখা গেছে স্পার্মাটিড পর্যায়ে শুক্রাণুর পরিচিতি লেজের বিকাশ ঘটে এবং এখানে পরবর্তী পর্যায়ে সম্পূর্ণরূপে এটার পূর্ণরূপ পেতে সময় লাগে প্রায় ৬০ দিনের মতো। আমার সাথে যখন এটা পূর্ণতা পায় তখন একে যে নামে ডাকা হয় সেটা হচ্ছে স্পার্মাটোজাউন। সাধারণত শুক্রাণুর এই কোর্সগুলিকে পুরুষের দেহে থেকে বীর্য নামে পরিচিতি আনা হয় তরলের মাধ্যমে। এখন এই সম্পর্কে আরো অনেক আলোচনা করা হবে।

সাধারণত যারা এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন তাদের চিন্তা দূর করার জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া থাকবে যে তথ্যগুলো অবশ্যই শতভাগ সঠিক। আপনারা এ সম্পর্কে যদি কোন গোপন সমস্যায় থাকেন তাহলে সেগুলো অবশ্যই আমাদের অবগত করবেন। আপনি যদি এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে চান তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের উপদেশ আপনার কাজে আসবে।

বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় কোন খাবার খেলে

বীর্যের ঘনত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে যাদের বৈবাহিক জীবন আছে তাদের এই বৈবাহিক জীবনে সন্তান গ্রহণের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা এটাকে মজা ভাবেন তাদেরকে বলব এটা মজার ব্যাপার না অবশ্যই বীর্যের ঘনত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সন্তান গ্রহণের জন্য আর এই বিষয়টি চিকিৎসকেরা বারবার চেক করেন যদি কারো সমস্যা থাকে সেই ক্ষেত্রে। তাই অবশ্যই আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনি যথেষ্ট ভাবে সুস্থ যার কারণে আপনার সন্তান হতে কোন সমস্যা নেই এবং এই অবস্থাতে ছেলেদের যে খাবারগুলো খেতে হবে যেটা আপনার বীর্যকে যথেষ্ট পরিমাণে ঘনত্ব করবে সেই খাবারগুলোর তালিকা এখন আমরা আপনাদের সামনে দেব।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস আছে এমন খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বাদাম। আপনারা আপনাদের বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে পারেন। এর সঙ্গে যে খাবারটি আপনার বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে সেটা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং সেই প্রোটিনের উৎস আপনি পূরণ করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের মাছ এবং সামুদ্রিক মাছ থেকে। এছাড়াও ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত এবং প্রোটিনযুক্ত যে শাকসবজি আছে সেগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। আরেকটা জিনিস বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে আপনাকে সাহায্য করবে সেটা হচ্ছে যারা শিমুল গাছের গোড়া।

ছেলেদের কত বছর বয়সে বীর্য হয়

সাধারণত ছেলেদের বয়সন্ধিকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সকল ধরনের দৈহিক কার্যক্রম শুরু হয়। এই অবস্থাতে তার শারীরিক গঠনের পরিবর্তন হয় এবং একজন পুরুষের যে শারীরিক গঠন সেই গঠন অর্জনের জন্য সকল হরমোন শরীরের নিঃসরণ হতে শুরু করে। লিঙ্গের আকার বড় হওয়া থেকে শুরু করে সকল ধরনের পরিবর্তন হয় যেমন দাড়ি অথবা লোম বের হওয়া। এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে একজন পুরুষের বীর্য তৈরি হয় কত বছর বয়সে তাহলে সে প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় বয়সন্ধিকাল থেকেই।

বীর্যের শক্তি বৃদ্ধি করার সঠিক পদ্ধতি

আজেবাজে চিন্তাভাবনা করে কোন লাভ নেই। আর যারা আজেবাজে ওষুধ খান তাদের তো সব কুল হারাতে হয়। এই বিষয়ে সবার প্রথমে আপনাকে মানসিক দিক দিয়ে শান্তি গ্রহণ করতে হবে এবং জানতে হবে সত্যি কি আপনার প্রয়োজন আছে এর শক্তি বৃদ্ধি করার। একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে ১০০ জনের মধ্যে প্রায় 70 জন পুরুষের এর কোন প্রয়োজন নেই কিন্তু বাকি যারা ৩০ জন আছে তারা যদি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তাহলে সেটা অবশ্যই সম্ভব।

এজন্য সাধারণত সঠিক খাদ্যাভ্যাস অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যকে পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে এবং সঠিক পুষ্টিগুণ এবং তেল চর্বি বাদে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শরীরে থাকতে হবে পর্যাপ্ত প্রোটিনের মজুদ এবং শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে খেলাধুলার মাধ্যমে। নিয়মিত খেলাধুলা টেস্টোড়ন হরমোন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা পুরুষদের এই ধরনের সকল সমস্যার সমাধানে কাজ করে।