কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো

কিডনির যে প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয় সে প্রাথমিক পরীক্ষাতে যে রেজাল্ট দেওয়া হয় সেই রেজাল্টের মান যদি সকলের জানা থাকে তাহলে নিজে নিজেই নিজের রিপোর্ট দেখার সামর্থ্য থাকবে। নিজের রিপোর্ট আপনি নিজেই দেখে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনির অবস্থা কেমন রয়েছে ভালো না খারাপ। আপনারা যদি একটু ধৈর্য সহকারে এবং মনোযোগ সহকারে এই পয়েন্টগুলো দেখেন তাহলে নিজে থেকে বুঝতে পারবেন কিডনি অবস্থা কেমন আছে।

আজকে আমরা জানানোর চেষ্টা করব পুরুষ এবং নারীদের উভয় কিডনির পয়েন্ট কত থাকলে সেটা ভালো সে সম্পর্কে। কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে। এবং এই বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য বিভিন্নভাবে চিকিৎসা করা হয়। কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগের ক্ষেত্রে একটি মাত্র পরীক্ষায় বোঝা যায় যে কিডনির অবস্থা কেমন। সাধারণত এই পরীক্ষাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তবে সবথেকে অবাক করা কথা হলো বড় বড় পরীক্ষার কাছে এই পরীক্ষার খরচ একেবারেই সামান্য।

ভালো যদি কিডনি র পয়েন্ট সম্পর্কে বলি তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ক্ষেত্রে কিডনির পয়েন্ট যদি ০.৫ থেকে ১.১ এর মধ্যে থাকে তাহলে সেটা সবথেকে ভালো। এই ধরনের রোগীদের সবথেকে সুস্থ রোগী বলা হয়। যাদের ক্রিয়েটি নিন পরীক্ষার পরে কিডনির মান এটা আসে তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন তার কারণ হচ্ছে তাদের কিডনিতে কোন ধরনের সমস্যা নেই। তবে যাদের কিডনি রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে এই ক্রিয়েটেনিন উঠানামা করতে পারে এবং এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই কিছু পদ্ধতি আপনাকে অবলম্বন করতে হবে।

প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ যারা আছেন তাদের ক্ষেত্রে এই কিডনির পয়েন্ট এর মান শূন্য দশমিক ছয় থেকে ১.২ পর্যন্ত স্বাভাবিক ‌। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরা যদি এই পরীক্ষা করান তাহলে যদি নিজের পরীক্ষার মান এর মধ্যে পান তাহলে তারা একেবারেই নিশ্চিত থাকতে পারেন। যদি মান এর থেকে বেশি হয় তাহলে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ এবং এর জন্য বাড়িতে বসে না থেকে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তার কারণ হচ্ছে কিডনির সমস্যাগুলো এমন একটি সমস্যা যেটা প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না করলে পরবর্তীতে চিকিৎসা করে আর কোন লাভ হয় না।

কিডনি রোগের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা

বর্তমান আধুনিক যুগে কিডনি রোগের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা বের হয়েছে। কিডনিতে যেমন বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় যেমন মনে করুন কিডনিতে পাথর হওয়া বা কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া ঠিক তেমনি বিভিন্ন রোগের আবার বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। একটি সহজ উদাহরণ এর মাধ্যমে আপনাদের বোঝাতে চাচ্ছি যেমন ধরুন কিডনিতে পাথর হয়েছে কোন কোন ব্যক্তির তবে সকল ব্যক্তির পাথরের সাইজ বা পাথরের অবস্থান এক নয়।

পাথরের সাইজ এবং পাথরের অবস্থান এর উপর নির্ভর করে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন সেই রোগীর কিডনির পাথর এমনিতেই বের হয়ে যাবে না সেখানে প্রয়োজন পড়বে অপারেশনের। এই ভাবেই মূলত চিকিৎসা ধরন বা চিকিৎসা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আবার অনেক রোগীর ক্ষেত্রে কিডনির প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন পড়ে আবার অনেক ত্রুটির ক্ষেত্রে কিডনি প্রতিস্থাপনের কোন প্রয়োজন পড়ে না ঔষধের মাধ্যমে এসে সুস্থ থাকতে পারে।

তবে আধুনিক যুগে অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত হচ্ছে এবং আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের জন্য আরও বড় বড় চিকিৎসা আবিষ্কৃত হবে। এই বিষয়গুলো থেকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা আমি মনে করি সেটা হচ্ছে অসুস্থ হওয়ার আগেই তার প্রতিকার করা। আপনার কোন সমস্যা হোক হবে সে সমস্যাকে আপনি যদি আগে থেকে প্রতিরোধ করেন তাহলে সে সমস্যা কখনোই আপনাকে ক্ষতি করতে পারবে না। তাই চেষ্টা করুন সব সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং সব সময় ভালো খাবার এবং শারীরিক ব্যায়াম ও পরিশ্রমের মধ্যে নিজের শরীরকে ভালো রাখতে।