ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়

মানুষ কখন মারা যাবে সেই কথা কেউ আগে থেকে বলতে পারে না। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালা জানেন তাই এটা আমরা আগে থেকে বলতে পারব না। তবে কিছু বৈশিষ্ট্য বা কিছু লক্ষণ দেখে এটা বোঝা যায় যে মানুষের হাতে আর সময় নেই এই পর্যায়কে মূলত একটি ধারণা করা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস কতটা সাংঘাতিক রোগ সেটা আমরা সকলেই জানি এবং ডাইবেটিস কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে সেটাও আমরা জানি।

এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা কখন মারা যেতে পারে। সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ বিভিন্নভাবে হতে পারে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ডায়াবেটিসের মান বেশি হওয়ার কারণে ও অনেকে মারা যায় আবার হঠাৎ করে ডায়াবেটিসের মান একেবারে পড়ে যাওয়ার কারণে অর্থাৎ ডায়াবেটিসের মান শূন্য হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক রোগী মারা যেতে পারে। অনেক সময় অত্যাধিক ডায়াবেটিসের কারণে উচ্চ রক্তচাপ বা স্ট্রোক হতে পারে এ ধরনের সমস্যার কারণে সে রোগী মারা যেতে পারে। অনেকের বেশি ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট হওয়া ইনফেকশনের কারণেও সে রোগী মারা যেতে পারে।

এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস একেবারে অনিয়ন্ত্রিত অবস্থাতে থাকে। এই ধরনের রোগীদের ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি ইনসুলিন দেওয়ার পরেও ডায়াবেটিস সব সময় ১৮ থেকে ২০ এবং কোন কোন সময় ২৫ অতিক্রম করতে পারে। কি ধরনের অনিয়ন্ত্রিত শরীরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মৃত্যুই হয়। তাই নিজের পরিবারে যদি ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগী থাকে তাহলে সব সময় তার খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করুন।

টাইপ টু ডায়াবেটিস কি

অনেকে জানতে চেয়েছেন টাইপ টু ডায়াবেটিস কি। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে টাইপ টু ডায়াবেটিস অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি পর্যায়ে যেখানে ডায়াবেটিস একেবারে নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সাধারণত ইনসুলিন স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে তৈরি হয়। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও ইনসুলিন শরীরের অভ্যন্তরে তৈরি হয় তাই এই ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস সহজে নিয়ন্ত্রণে আসে।

কিন্তু টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের শরীরে অভ্যন্তরে ইনসুলিন উৎপাদনের পরিমাণ খুব কমে যায়।যার কারণে যতটুকু ইনসুলিন প্রয়োজন ততটুকু ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না এবং অন্যান্য সমস্যাগুলো আস্তে আস্তে বেড়ে যায়। টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে শরীরের অভ্যন্তরে ইনসুলিন তৈরি না হওয়া যার কারণে চিকিৎসকেরা বাইরে থেকে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও শরীরের উপরের অংশে বা যে কোন জায়গাতে যদি কোন ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হয় তাহলে সেই ক্ষত থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না। সাধারণত এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রেই টাইপ টু রোগ অত্যন্ত সাংঘাতিক।

টাইপ টু ডায়াবেটিস হলে করণীয়

অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যাতে করে এ ধরনের রোগীরা খুব বেশি সমস্যায় না পড়ে। সাধারণত যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস হয়েছে তাদেরকে একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে সঠিক নিয়ম মেনে জীবন যাপন করা। সঠিক নিয়ম মেনে যদি কেউ জীবন-যাপন না করতে পারে তাহলে সেটা হতে পারে তার জন্য সমস্যার কারণ। এজন্য অবশ্যই তাকে সঠিক নিয়ম মেনে জীবন যাপন করতে হবে এবং যদি কেউ সঠিক নিয়ম মেনে জীবন যাপন করে তাহলে টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

এখানে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই এই টাইপ টু ডায়াবেটিস একেবারে হলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং পুনরায় আগের অবস্থানে ফিরে আসা যাবে। তবে এর জন্য অবশ্য রোগীর মানসিক শক্তির প্রয়োজন রয়েছে এবং যে যতটা মানসিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হবে তার ক্ষেত্রে এই জিনিসটা ততটাই কার্যকরী হবে। পরিবারের সদস্য হিসেবে প্রত্যেককে এ ধরনের রোগীদের পাশে থাকা উচিত এবং সে ঠিকঠাকভাবে জীবন যাপন করছে কিনা সে বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ নেওয়া উচিত।