সাধারণত এখানে বোঝানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য যে পরীক্ষা করা হয় তার হলে সেটা আমার। কিডনি আমাদের শরীরের অপরিহার্য একটি অঙ্গ এবং এই কিডনিতে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল এবং অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যাবে। তবে কিডনির কিছু লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক একটি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় কিডনিতে কোন সমস্যা আছে কিনা।সেই পরীক্ষার নাম হচ্ছে ক্রিয়েটেনাইন। সাধারণত এই টেস্ট এর ক্ষেত্রে যে মান আসে সাধারণ চোখে সেই মান দেখে অনেকে বুঝতে পারে না কি সমস্যা হয়েছে বা কতটুকু সমস্যা হয়েছে। আপনাদের এই সকল ধরনের সমস্যা সমাধান করতে আজকে আমরা আপনাদের নিয়ে কিছু তথ্য আলোচনা করবো আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
কিডনি পয়েন্ট কত হলে ভালো
সাধারণত স্বাভাবিক পুরুষের ক্ষেত্রে যদি লক্ষ্য করা যায় তাহলে প্রতিবেশী লিটারে রক্তের মান হতে হবে ০.৬ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম। একটা কিডনি যাদের নেই তাদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা প্রতি ডেসিমিটারে হতে হবে ১.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত । যদি টেস্টের পরে এই মান ঠিক থাকে তাহলে অবশ্যই তার কিডনি ভালো আছে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তাই অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানার প্রয়োজন রয়েছে এখন থেকে পরীক্ষার পরে নিজের রিপোর্ট নিজেই দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনির অবস্থা কেমন আছে। আশা করছি বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন।এছাড়াও দেখা যায় যে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রক্তের ক্রিয়েটিনিন ৫.০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটারের চেয়ে বেশি হলে কিডনি ড্যামেজ হয়েছে বোঝা যায়। এই অবস্থাতে রোগীকে কোনভাবে বাড়িতে রাখা যাবে না সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে এবং তার জন্য উন্নত মানের চিকিৎসার ব্যবহার করতে হবে। যেখানে সবার প্রথমে প্রয়োজন পড়বে কিডনির ডায়ালাইসিস এর। এরপরে আরো উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে এই ধরনের রোগীদের সুস্থ রাখার জন্য।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে আছেন তাদের অনেকে জানতে চান কি পরিমান কিডনির সমস্যা হলে ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন রয়েছে। এখানে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে কিডনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং আপনাকে নিজের যত্নের পাশাপাশি নিজের কিডনির যত্নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।আপনারা হয়তো নিজের আশেপাশে এমন রোগী অনেক দেখেছেন যে রোগীগুলো একদিনে কিডনি ড্যামেজ হয়ে মারা গেছে। তাই এমন ঘটনা যেন আপনার সঙ্গে বা আপনার পরিবারের কারো সঙ্গে না হয় তার জন্য আগে থেকে কিডনি সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞান আপনাকে রাখতে হবে। রক্তে যদি ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ 5.0 এর বেশি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে রোগীকে কোন ভাবে বাড়িতে রাখা যাবে না সঙ্গে সঙ্গে তাকে ডায়ালাইসিসে নিয়ে যেতে হবে তার কারণ হচ্ছে তার কিডনি ড্যামেজ হয়েছে এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে।
কিডনি রোগের বিভিন্ন লক্ষণ
কিডনি রোগ অনেক বড় রোগ এবং অনেক সাংঘাতিক রোগ। এই রোগে যারা আক্রান্ত হয় তারাই কেবলমাত্র এর কষ্ট বুঝতে পারে। সব থেকে বড় ব্যাপার হলো এই কিডনি রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে খরচ করতে হয় যেটা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে টাকার অভাবে এই কিডনি রোগ অনেকেই নিজের শরীরে পুষ্টি থাকে এবং আস্তে আস্তে সেটা প্রকোপ আকার ধারণ করে।আগে থেকে আপনি যে লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে কিডনি রোগ চিহ্নিত করতে পারবেন সেই লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রসাবের জ্বালাপোড়া। অনেকের ক্ষেত্রে প্রসাবের জ্বালাপোড়ার পাশাপাশি প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ দেখা দিতে পারে।এছাড়া অনেকের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফোলাফলা ভাব অনুভূত হতে পারে কিডনির সমস্যার কারণে। কোমর ব্যথা থেকে শুরু করে শরীরের সর্বাঙ্গে ব্যথা এবং শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যাওয়া কিডনি ড্যামেজ এর অন্যতম লক্ষণ।